Thursday, August 28, 2025

আসানসোল কম্বল কা.ণ্ডের উদাহরণ টেনে বাঁকুড়ায় শুভেন্দুর সভায় ‘না’ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

Date:

সকালে যা বলেছিলেন, বিকালে ঠিক তার বিপরীত মত প্রকাশ করলেন। বুধবার দুপুরে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানান, আধ ঘণ্টার মধ্যে বাঁকুড়ায় সভা করার অনুমতি না দিলে বাঁকুড়ার পুলিশ সুপারকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে হাজির হতে হবে।আর তাতেই ঘটে যাওয়া আসানসোল কম্বল কাণ্ডের কথা শোনার পর মত বদল করে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়ে দিলেন, বাঁকুড়ার কোতুলপুরে বিজেপির বিজয়া সম্মিলনীর অনুমতি দেওয়া যাবে না। আগামী ৪ নভেম্বরের আগে সভা করতে পারবে না বিজেপি।

ওই মামলার শুনানিতে বিকেলে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের মন্তব্য, পুলিশ সুপার বলছেন, সভার ময়দানটি অনেকটা বড়। সেখানে একটি মাত্র প্রবেশ এবং বাহিরের পথ রয়েছে। এই অবস্থায় পদপিষ্টের ঘটনা হলে আদালতের তো কিছু করার থাকবে না। জালিয়ানওয়ালাবাগের মতো ঘটনা হলে দায় কে নেবে? আসলে বাঁকুড়ার পুলিশ সুপারের বক্তব্য শোনার পরেই মত বদলান বিচারপতি।

কোতুলপুরে বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠান করতে চেয়ে পুলিশের অনুমতি চায় বিজেপি। সেখানে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর উপস্থিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মঞ্চ বাঁধার কাজ শেষ হয়ে গেলেও পুলিশের অনুমতি না মেলায় হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয় গেরুয়া শিবির। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণ, সভা করার অনুমতি চেয়ে বিজেপির আবেদনে ত্রুটি রয়েছে। গত ২৮ অক্টোবর ইমেল মারফত অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। আদালতের কাছে ওই পদ্ধতি গ্রহণযোগ্য নয়। গত ৩০ অক্টোবর লিখিত ভাবে অনুমতি চাওয়া হয়। কিন্তু এত অল্প সময়ের মধ্যে আবেদন গ্রহণযোগ্য হয়নি। তাই শেষ মুহূর্তে আদালতেরও কিছু করার নেই।

বিজেপির আইনজীবীর উদ্দেশে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, আপনারা কয়েক দিন পরে কর্মসূচি করুন। পুলিশকে চার দিন সময় দিচ্ছি। এই সময়ের মধ্যে তারা সভার অনুমতি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। তার পরেই সভা করা যাবে।যদিও বিজেপির আইনজীবীর বক্তব্য ছিল, সভার জন্য সবাই তৈরি। আদালতের অনুমতি মিললেই সভা শুরু হবে। সবাই চলে এসেছেন সভাস্থলে। তিনি যুক্তিতে বলেন, তা ছাড়া এটা কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচি নয়। বিজয়া সম্মিলনীর সভা। অনুমতি দেওয়া হোক। যা নিয়ে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের মন্তব্য, আমি বুঝি এটা রাজনৈতিক সভা নয়। কিন্তু কোনও অঘটন ঘটলে তার দায় কে নেবে? এ ভাবে অনুমতি দেওয়া যায় না।

বিজেপির আইনজীবী এরপরও বলেন, অনেক বড় মাঠ। ওই মাঠে ২৫-৩০ হাজার লোক ধরবে। আর এই সভায় খুব বেশি হলে ৫ হাজার জমায়েত হয়েছে। প্রবেশ এবং বাহিরের আলাদা আলাদা পথ রয়েছে। এই সংখ্যক লোকে সমস্যা হওয়ার কথা নয়। কোনও ঘটনা ঘটলে মামলকারী তার সম্পূর্ণ দায় নেবে। পুলিশের সাহায্য দরকার নেই। অতিথিদের কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা রয়েছে।তবুও বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় সাফ বলেন, আসানসোলে কম্বল বিতরণ কর্মসূচিতে দুর্ঘটনা ঘটেছিল। শিশুসুলভ আচরণ করবেন না। পুলিশের গ্রিন সিগন্যাল ছাড়া অনুমতি দেওয়া সম্ভব নয়।

 

Related articles

সাত লুকের ‘বহুরূপ’ সোহমের, চ্যালেঞ্জ নিয়ে চমকে দিলেন অভিনেতা

যা কখনও হয়নি তা এখন হবে, এবার হবে। সেলিব্রেটিদের রিল - রিয়েলের আলাদা রূপ আর লুক নিয়ে কম...

উন্মুক্ত শৌচমুক্ত ৯৪ পুরসভা, স্বচ্ছতার শংসাপত্র বাংলাকে

শহরাঞ্চলে আর খোলা শৌচের দৃশ্য নেই। পুরসভাগুলির উদ্যোগ এবং পুর দফতরের তদারকিতে উন্মুক্ত শৌচমুক্ত হয়েছে কলকাতা সহ রাজ্যের...

ফাঁকা কেন্দ্রগুলিতে দ্রুত ইআরও–এইআরও নিয়োগের নির্দেশ কমিশনের 

ফাঁকা পড়ে থাকা একাধিক বিধানসভা কেন্দ্রে দ্রুত ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন আধিকারিক (ইআরও) এবং অ্যাসিসটেন্ট ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন আধিকারিক (এইআরও) নিয়োগের...

নথিভুক্ত অথচ নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলিকে শুনানিতে তলব করল কমিশন 

নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে ফের সক্রিয় হল রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর। নথিভুক্ত হলেও কার্যত নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলিকে শুনানিতে...
Exit mobile version