লোকসভা ভোট যত এগিয়ে আসছে, ততই বিরোধীদের দলগুলির উপর প্রতিহিংসার রাজনীতি বাড়াচ্ছে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার। এক্ষেত্রে কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপির হাতিয়ার এজেন্সি। ইডি-সিবিআইকে কার্যত বিজেপির শাখা সংগঠনে পরিণত করেছে মোদি সরকার।এজেন্সি লেলিয়ে বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করতে চাইছে বিজেপি। অথচ বিজেপি সাংসদ, বিধায়ক, নেতা, মন্ত্রীদের আয় বহির্ভূত সম্পত্তির দিকে কোনও নজর নেই কেন্দ্রীয় এজেন্সির। যা নিয়ে সোমবার দুপুরে সাংবাদিক বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল তৃণমূল ভবনে।

এই সাংবাদিক বৈঠক থেকে বিজেপি সাংসদ, মন্ত্রীদের নাম করে সরব হয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা। তিনি বলেন,”সিবিআই-ইডিকে অপব্যবহার করা হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাদের বিরুদ্ধে। বিজেপির মধ্যে দুর্নীতি দেখা গেলে তাদের ব্যবহারই করা হচ্ছে না। আমি অন্তত ৬ জনের নাম বলতে পারি, যাঁদের সম্পত্তি ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। যার তদন্ত হওয়া দরকার। কিন্তু ইডি-সিবিআই তা দেখতে পাচ্ছে না।”
এরপরই শশী পাঁজা দুর্নীতিতে যুক্ত বিজেপি নেতাদের সরাসরি নাম ধরে বলেন, “বেছে বেছে টার্গেট তৃণমূলকে। কিন্তু বিজেপি সাংসদ, বিধায়কদের আয় বহির্ভূত সম্পত্তি বৃদ্ধি নিয়ে পেয়েছে এমন ৬ জনের নাম বলছি। কেন্দ্রের পেট্রোলিয়াম প্রতিমন্ত্রী রামেশ্বর তেলি, বাংলার সাংসদ সৌমিত্র খাঁ, জ্যোতিতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, জগদম্বিকা পাল, কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে যাওয়া অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার সম্পত্তি প্রচুর বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া অধিকারী পরিবারের আয় বৃদ্ধি নিয়ে কোনও তদন্ত করছে না ইডি বা সিবিআই। এই ৬টি জায়গায় কেন কোনও নোটিশ যাবে না কেন?” রাজ্যের আরেক মন্ত্রী একই সুরে প্রশ্ন তোলেন, “কাঁথির অধিকারী পরিবারের সম্পত্তি নিয়ে কেন তদন্ত হচ্ছে না? আর এত যে তদন্ত হচ্ছে, বিরোধীদের এত হেনস্থা করা হচ্ছে তার কোনও ফল সামনে আসছে না কেন?”

অন্যদিকে, এদিন সাংবাদিক বৈঠক থেকে রাজ্যপাল স8 ভি আনন্দ বোসকে কটাক্ষ করেন পার্থ ভৌমিক। ঘটনার সূত্রপাত রবিবার ইডেনে ভারত–দক্ষিণ আফ্রিকার ম্যাচ দিয়ে। রাজভবনের লনে ওয়াইড স্ক্রিনে ম্যাচ দেখানোর আয়োজন করছিলেন রাজ্যপাল। আর ভারতের জয়ের পর উল্লাসে রাজ্যপাল বলেন, “ইন্ডিয়ার জন্য গর্বের মুহূর্ত। ক্রিকেটের জন্যও। ইন্ডিয়া আবারও তার শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করল। নরেন্দ্র মোদির আত্মনির্ভর ভারতের ধারণা দেশের প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। ইন্ডিয়া যে আত্মনির্ভর, বিশ্বের বুকে আবারও সেটা প্রমাণ করলেন ইন্ডিয়ার ক্রিকেটাররা। সারা বিশ্ব আজ উপলব্ধি করে ইন্ডিয়ার শ্রেষ্ঠত্ব।” এই বিষয়টিকেই কটাক্ষ করেন মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। তিনি বলেন,“রাজ্যপালের একটা কথা আমি সহমত পোষণ করি, রাজ্যপালও বুঝতে পারছেন ইন্ডিয়া জিতবে!”
