ফৌজদারি মা.মলায় ‘অপ.রাধী’ রাজনীতিবিদরা ভোটে ল.ড়তে পারবেন কি? সুপ্রিম সিদ্ধান্ত আজ 

অপ.রাধী জনপ্রতিনিধি হলে তিনি ছাড় পাবেন আর সাধারন মানুষ হলে তার ক্ষেত্রে কঠিন নিয়ম বলবৎ করা হবে, এই দ্বিচারিতা কী করে সম্ভব?

গুরুতর ‘অপরাধ’ করে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন যে রাজনীতিবিদরা, তাঁরা কি আজীবন নির্বাচনে (Election) লড়াই করার সুযোগ পাওয়ার যোগ্য? আর মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মিলবে এই প্রশ্নের উত্তর। ফৌজদারী মামলায় (Criminal Case) দু বছর বা তার বেশি সময় জেল খেটেছেন যে সমস্ত নেতারা তাঁদের আজীবন ভোটে দাঁড়ানোর উপর নিষেধাজ্ঞা চাপানো হোক— এই আবেদন জানিয়ে আজ থেকে বছর সাতেক আগে শীর্ষ আদালতে মামলা করেন অশ্বিনীকুমার উপাধ্যায় (Aswini Kumar Upadhyay)। আজ সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, জেবি পারদিওয়ালা এবং মনোজ মিশ্রের (Justices DY Chandrachud, JB Pardiwala and Manoj Mishra) বেঞ্চ রায় ঘোষণা করতে চলেছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)।

যাঁরা অপরাধ করেছেন তাঁদের জন্য ‘ছ’বছরের নিষেধাজ্ঞা যথেষ্ট নয়’। বরং আজীবন তাদেরকে ভোটের ময়দানে লড়াই না করার আদেশের মধ্যেই অপরাধীর সঠিক বিচার হবে বলে সওয়াল করা হয়েছিল।এই মামলায় সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত বিজয় হংসরিয়া প্রশ্ন তুলেছিলেন যে একজন সরকারি কর্মী ফৌজদারি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে জেলে গেলে স্থায়ী ভাবে চা়করি থেকে বিতাড়িত হন। তাহলে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিকে সাজার মেয়াদ শেষের ছ’বছরের মধ্যেই কীভাবে ফের ভোটে দাঁড়ানোর সুযোগ পেতে পারেন? ১৯৫১ সালের জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ৮(৩) ধারায় বলা হয়েছে, ফৌজদারি অপরাধে দু’বছরের বেশি কারাদণ্ডপ্রাপ্ত কোনও ব্যক্তি সাজা ঘোষণার দিন থেকেই জনপ্রতিনিধি হওয়ার অধিকার হারাবেন। এবং পরবর্তীতে মুক্তির পাওয়ার ছ’বছর পর্যন্ত আর ভোটে দাঁড়াতে পারবেন না। অথচ ওই বছরেরই ‘সর্বভারতীয় সরকারি কর্মচারি আইন’ জানাচ্ছে, ফৌজদারি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলে প্রথম শ্রেণী থেকে চতুর্থ শ্রেণির কর্মী পর্যন্ত সকলকেই স্থায়ী ভাবে চাকরি থেকে বরখাস্ত হতে হবে। সে ক্ষেত্রে কেউই দ্বিতীয় কোনও সুযোগ পাবেন না। এখন প্রশ্ন অপরাধী জনপ্রতিনিধি হলে তিনি ছাড় পাবেন আর সাধারন মানুষ হলে তার ক্ষেত্রে কঠিন নিয়ম বলবধ করা হবে, এই দ্বিচারিতা কী করে সম্ভব? আজ সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ এই নিয়ে কী রায় ঘোষণা করে সেটাই দেখার।

Previous articleBreakfast news : ব্রেকফাস্ট নিউজ
Next articleToday’s market price : আজকের বাজার দর