মণীশ সিসোদিয়ার জামিন না পাওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুললেন সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি

সুপ্রিম কোর্টে জামিন মেলেনি দিল্লির প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়ার। সর্বোচ্চ আদালতের এই রায় নিয়ে এবার প্রশ্ন তুললেন সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি মদন বি লোকুর। আদালতের জামিন না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে একাধিক প্রশ্ন তুলে তিনি বলেছেন, মনে হচ্ছে আদালত জামিন মঞ্জুর বা প্রত্যাখ্যানের মূল নীতিগুলো ভুলে গেছে। এর পাশাপাশি তিনি তদন্তকারী সংস্থার অসম্পূর্ণ চার্জশিট দাখিল এবং অভিযুক্তদের কারাগারে রাখার জন্য নথি না দেওয়ার মতো পদক্ষেপগুলি খতিয়ে দেখতে, বিচার বিভাগের অনীহাকে অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক বলে অভিহিত করেছেন।

এক প্রশ্নের জবাবে বিচারপতি লোকুর বলেন, ‘সাধারণভাবে মনে হচ্ছে আদালত জামিন মঞ্জুর বা প্রত্যাখ্যান করার মূল নীতিগুলি ভুলে গেছে। একজন ব্যক্তি গ্রেপ্তার হলে, আপনি নিশ্চিত থাকতে পারেন যে তিনি অন্তত কয়েক মাস জেলে থাকবেন। প্রাক্তন বিচারক বলেন, পুলিশ প্রথমে ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে, তারপর গুরুত্ব সহকারে তদন্ত শুরু করে, একটি অসম্পূর্ণ চার্জশিট দাখিল করা হয় এবং তারপর একটি সম্পূরক চার্জশিট দাখিল করা হয় এবং নথি জমা করা হয় না। তিনি বলেন, সবচেয়ে দুর্ভাগ্যজনক ও বিরক্তিকর বিষয় হলো কিছু আদালত এ বিষয়ে নজর দিতে প্রস্তুত নয়।

বিচারপতি লোকুর আরও বলেন, ‘কিছু রাজনীতিকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা নতুন কিছু নয়। কিছু রাজনীতিকের বিরুদ্ধে আরও ফৌজদারি মামলা রয়েছে। সব ক্ষেত্রেই রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ তোলা কঠিন, তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে সত্যতা থাকতে পারে। এই সবের বিরক্তিকর দিকটি হল তদন্ত শুরু হওয়ার পরে এবং সন্দেহভাজন ব্যক্তি আনুগত্য পরিবর্তন করার পরে, তদন্ত পরিত্যক্ত হয়, যা রাজনৈতিক প্রতিহিংসার ক্ষেত্রে গুরুতর সন্দেহের জন্ম দেয়।’ প্রাক্তন বিচারপতি বলেন, সুপ্রিম কোর্ট অনেক রায়ে জামিনের ক্ষেত্রে বিচক্ষণ ক্ষমতা প্রয়োগের জন্য মৌলিক নীতি গ্রহণ করেছে। তিনি বলেন, সমস্যা হলো কিছু আদালত সব জেনেও এই মৌলিক নীতিগুলো প্রয়োগ করে না। তাই প্রশ্ন উঠছে কেন এমন করা হচ্ছে?

 

Previous articleবিদ্যুৎ বিদায়ের পরই গোবর-গঙ্গাজলে শুদ্ধকরণ বিশ্বভারতীতে, উড়ল সবুজ আবির
Next articleদিল্লি-গুরুগ্রাম এক্সপ্রেসওয়ের চলন্ত বাসে আ.গুন, মৃ.তের সংখ্যা বাড়ার আ.শঙ্কা