Thursday, December 25, 2025

জয়নগরে শ্যু.টআউট! মসজিদে যাওয়ার পথে ম.র্মান্তিক পরিণতি তৃণমূল নেতার

Date:

Share post:

কালীপুজো (Kali Puja) কাটতে না কাটতেই ফের খুন রাজ্যে। সোমবার ভোরে জয়নগরে (Jaynagar) এক তৃণমূল নেতাকে (TMC Leader) গুলি করে খুন করা হয়েছে। এদিন তিনি মসজিদে যাচ্ছিলেন। আর সেই সময় তাঁকে আক্রমণ করেন দুষ্কৃতীরা। এক রাউন্ড গুলিও চালানো হয়। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগর থানা এলাকার বামনগাছি গ্রামের ঘটনা। ওই গ্রামেরই গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য ছিলেন সইফুদ্দিন লস্কর (৪৩)। তিনি এলাকার তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতির দায়িত্বও সামলাতেন। অন্যদিকে, সইফুদ্দিনর স্ত্রী বামগাছি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান। তবে ইতিমধ্যে এক অভিযুক্তকে স্থানীয়রা পিটিয়ে মেরে ফেলেছেন বলে অভিযোগ। অপর এক দুষ্কৃতীকে পুলিশ গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে গিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। ঘটনার পরই বামনগাছি গ্রাম পঞ্চায়েতের দলুয়াখাঁটি গ্রামে একের পর এক বাড়িতে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। কার্যত দাউদাউ করে জ্বলেছে গোটা গ্রাম। বাড়ি ঘর, গাছপালা দোকান সব পুড়ে গিয়েছে। কালো ধোঁয়ায় ঢেকেছে আকাশ। মজুত রাখা ধান ও ধানের গোলা জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে যে দুষ্কৃতীরা গুলি চালিয়েছে তাঁরা এই গ্রামের বাসিন্দা। সেই আক্রোশ থেকে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে গ্রামের বাড়িগুলি। ভাঙচুর হয়েছে ঘরের টেবিল-চেয়ার। রান্নাঘরের যাবতীয় আসবাব পত্র ছুড়ে ফেলে দেওয়া হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে খবর, সোমবার ভোর ৫টা নাগাদ মসজিদে নমাজ পড়তে যাচ্ছিলেন ওই তৃণমূল নেতা। পথে তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হলে তাঁর কাঁধে লাগে। রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন সইফুদ্দিন। এদিকে গুলির শব্দ শুনে স্থানীয় বাসিন্দারা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। রক্তাক্ত অবস্থায় সইফুদ্দিনকে উদ্ধার করে তাঁরা জয়নগর ১ ব্লকের পদ্মেরহাট গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। এদিকে সইফুদ্দিনের মৃত্যুতে বামগাছি এলাকা শোকের ছায়া নেমে এসেছে। এলাকায় তিনি যথেষ্ট জনপ্রিয় ছিলেন। তবে মৃতের বাবা ইলিয়াস লস্কর সিপিএমের দিকে আঙুল তুলেছেন। তিনি বলেন, আমার ছেলের সঙ্গে কারও কোনও শত্রুতা নেই। কারও কোনও ক্ষতি করেনি। অঞ্চল দখল করার জন্য। বিরোধীরা চক্রান্ত করে এটা করল। সিপিএম-এর সঙ্গে জড়িত আছে।

এদিকে তৃণমূল নেতার মৃত্যুর খবর পেয়ে হাসপাতালে যান বারুইপুর পূর্ব বিধানসভার তৃণমূল বিধায়ক বিভাস সর্দার। তিনি এই ঘটনার নেপথ্যে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রকেই দায়ী করেছেন। বিভাস বলেন, ‘‘নমাজ পড়তে গিয়ে যে সইফুদ্দিন এ ভাবে খুন হবে, আমরা ভাবিনি। ও এলাকায় জনপ্রিয় ছিল। মানুষকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করত। গরিব মানুষের জন্য অনেক কাজ করেছে। ওর কোনও শত্রু আছে বলে আমার জানা নেই। তবে যারা এমন কাজ করেছে, তাদের কঠোর শাস্তি হওয়া উচিত।’

 

 

 

 

spot_img

Related articles

এক দশক পর শীতলতম বড়দিন পেল বাংলা!

যিশু জন্মদিনের সকালে (Christmas morning) কলকাতার তাপমাত্রা (Kolkata temperature) নামলো ১৩.৭ ডিগ্রিতে। শীতের আমেজে জমজমাট বড়দিনের আবহাওয়া। দক্ষিণবঙ্গে...

মধ্যরাতে কর্নাটকের ট্রাক-বাসের ভয়াবহ সংঘর্ষে ঝলসে মৃত্যু অন্তত ১০ জনের

বড়দিনে ভয়াবহ দুর্ঘটনা কর্নাটকে। বেসরকারি একটি বাসের সঙ্গে ট্রাকের সংঘর্ষের (bus truck accident) ফলে বাসে আগুন ধরে যাওয়ায়...

ক্রিসমাসে রক্তাক্ত ঢাকা, চার্চ টার্গেট করে বিস্ফোরণে মৃত ১

বড়দিনের উৎসব শুরু হবার আগেই বুধবার সন্ধ্যায় ককটেল বিস্ফোরণে রক্তাক্ত বাংলাদেশের ঢাকা (Blast in Dhaka, Bangladesh)। মগবাজার ফ্লাইওভারে...

ক্রিসমাসে ঝলমলে পার্কস্ট্রিট, সান্টা টুপি মাথায় বড়দিনের সকালে পিকনিক মুডে বাঙালি

দেখতে দেখতে বছর প্রায় শেষ হতে চলল। ক্রিসমাসের মধ্য দিয়েই যেন বর্ষবরণের আনন্দ অনুষ্ঠানের সূচনা হয়ে যায়। বড়দিনের...