এক নম্বরে শ্রেয়া! গান প্রতি কত উপার্জন গায়িকার?

এখনকার দিনে সঙ্গীত শিল্পীদের পারিশ্রমিকের কথা জানতে পারলে হয়তো সব থেকে বেশি খুশি হতেন কিংবদন্তি লতা মঙ্গেশকর ।

গানের জগতে পুরুষ প্লেব্যাক সিঙ্গারদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে নিজেদের জায়গা প্রতিষ্ঠিত করেছেন মহিলা প্লেব্যাক সিঙ্গাররাও (Female Playback Singer)। একটা সময় ছিল যখন গায়ক বা গায়িকার থেকে নায়ক -নায়িকাদের জন্য বেশি খরচ করতে পছন্দ করতেন প্রযোজকরা। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতি বদলেছে। এখনকার দিনে সঙ্গীত শিল্পীদের পারিশ্রমিকের কথা জানতে পারলে হয়তো সব থেকে বেশি খুশি হতেন কিংবদন্তি লতা মঙ্গেশকর (Lata Mangeshkar), যিনি এই বিষয় নিয়ে সোচ্চার হয়েছিলেন। তাঁর পর অনেক শিল্পী হয়তো এসেছেন কিন্তু বঙ্গ তনয়া শ্রেয়া ঘোষালের (Shreya Ghoshal) সঙ্গে পাল্লা দিয়ে টিকে থাকতে পারলেন কজন? এই মুহূর্তে বলিউডে যেকোনও ‘ডুয়েট সং’ মানেই অরিজিৎ -শ্রেয়া যুগলবন্দি। তবে শুধুমাত্র বলিউড বললে ভুল হবে টলিউডের ক্ষেত্রেও ছবিটা একই। এই মুহূর্তে উপার্জনের ভিত্তিতে টিনসেল টাউনে ধনী ফিমেল প্লেব্যাক সিঙ্গারের তালিকায় এক নম্বরে শ্রেয়া (Shreya Ghoshal)। তাহলে কি আশা ভোঁসলে কিংবা লতা মঙ্গেশকরকে টপকে গেলেন তিনি? বাকি গায়িকাদেরই বা উপার্জন কত?

গান মানুষকে ভাল থাকতে সাহায্য করে। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন মুডে তৈরি হওয়া গানের গল্প আজ সোশ্যাল মিডিয়ায় রিলস হয়ে ঘুরে বেড়ায়। জনপ্রিয়তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সঙ্গীত শিল্পীদের পারিশ্রমিকও। বাংলা হোক অথবা হিন্দি, বঙ্গললনা শ্রেয়া (Shreya Ghoshal) নিজের গানের বৈচিত্রের ছাপ রেখেছেন সর্বত্র। সম্প্রতি পঞ্চম বারের জন্য জাতীয় পুরস্কারে পুরস্কৃত (National Award winner) হয়েছেন তিনি। ভারতীয় সঙ্গীত জগতের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র এই গায়িকা শুধু সুরেলা কণ্ঠেই নয়, সুমিষ্ট স্বভাবের জন্যও সকলের কাছে খুব প্রিয় হয়ে উঠেছেন। এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে এক একটি গানের জন্য শ্রেয়া ২৫ থেকে ২৭ লক্ষ টাকা পারিশ্রমিক নিয়ে থাকেন। প্রায় ১২৫ কোটি টাকার সম্পত্তি রয়েছে তাঁর। এই মুহূর্তে এক নম্বরে তিনিই আছেন।

এই তালিকায় দ্বিতীয় নাম সুনিধি চৌহানের (Sunidhi Chauhan)। মাত্র ১৩ বছর বয়সে গায়িকা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। এতগুলো বছর ধরে নিজের গানের স্টাইলের জাদুতে মুগ্ধ করে রেখেছেন শ্রোতাদের। এমনই তাঁর কণ্ঠের যাদু যে একবার মিউজিক অন হলে বিন্দুমাত্র সময় না নিয়ে বলে দেওয়া যায় এটা সুনিধির গান। অনেকেই ‘আধুনিক যুগের আশা ভোঁসলে’ বলে তাঁকে আখ্যা দেন। এক একটি গানের জন্য প্রায় ১৬ লক্ষ টাকা পর্যন্ত চার্জ করেন গায়িকা। তাঁর ১০০ কোটি টাকার সম্পত্তি রয়েছে বলে জানা যায়।

রোজগারের দিক থেকে তৃতীয় স্থানে রয়েছেন নেহা কক্কর (Neha Kakkar)। কয়েক বছর আগে একটা সময় এসেছিল যখন প্রতিটা সিনেমাতেই নেহার গলা পাওয়া যেত। এক একটি গানের জন্য তিনি ১০ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা নেন বলে রিপোর্টে জানা যাচ্ছে। ২০২২- এর হিসেবে তার ৩৭ কোটি টাকার সম্পত্তি আছে।

কিংবদন্তি আশা ভোঁসলে (Asha Bhosle) এখনও মঞ্চে গান গাইতে শুরু করলে শ্রোতারা অন্যদিকে তাকানোর অবকাশ পান না। বর্ষীয়ান গায়িকার গলায় যেন মা সরস্বতীর অধিষ্ঠান। বিমর্ষ রোগী বা মন খারাপের পেশেন্টকে জীবনের অনুপ্রেরণা দিতে চিকিৎসকরা তাঁর গান ব্যবহার করেন। প্রায় ৮০ কোটি টাকার সম্পত্তি রয়েছে তাঁর। এখন সেভাবে প্লেব্যাক না করলেও ধনী মহিলা সিঙ্গারদের তালিকায় চতুর্থ স্থানটি তাঁর জন্যই পাকা হয়ে আছে।

৯০ এর দশকের মেলোডি কুইন অলকা ইয়াগনিক (Alka Yagnik)। মাধুরী দীক্ষিত থেকে কাজল কিংবা জুহি চাওলা থেকে করিনা কাপুর, রানি মুখোপাধ্যায়- সকলের জন্যই প্লেব্যাক করেছেন তিনি। সিনেমার গান থেকে ভক্তিগীতি, সবেতেই অনবদ্য। প্রায় ৬০ কোটি টাকার সম্পত্তি রয়েছে গায়িকার।

রোজকারের দিক থেকে ষষ্ঠ স্থানে রয়েছেন পলক মুচ্ছল। মনে ধরে রাখার মতো বেশ কিছু রোমান্টিক গান বলিউডকে উপহার দিয়েছেন তিনি। চোখ বন্ধ করে তাঁর গান শুনতে শুনতে এক অন্য প্রেমের জগতে প্রবেশ করা যায়। একটি গানের জন্য প্রায় তিন লক্ষ টাকা করে পারিশ্রমিক নেন পলক। ৮ থেকে ৯ কোটি টাকার সম্পত্তি রয়েছে তাঁর।

৯০ এ দশকে অ্যালবাম সং মানেই টি সিরিজের (T Series) নাম জ্বলজ্বল করতো। সেই সময়ের সিনেমাতেও প্রযোজক গুলশান কুমার নামটাই ভীষণভাবে কাঙ্খিত ছিল। তার কন্যা তুলসি কুমার (Tulshi Kumar) বলিউডের অত্যন্ত প্রতিভাবান এক গায়িকা।প্রতি গানের জন্য ৭ থেকে ১০ লক্ষ টাকা নেন তিনি। তবে শুধু গান নয় পাশাপাশি একাধিক ব্যবসার সঙ্গেও নিজেকে যুক্ত করেছেন তুলসি। সেই সব কিছু মিলিয়ে সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ২০০ কোটির কাছাকাছি। যেহেতু এই পরিমাণ শুধুমাত্র গানের জগত থেকে আয়ের ভিত্তিতে নয়, সে কারণেই এক একটি গানের পারিশ্রমিকের ভিত্তিতে তাঁর নামটি সপ্তম স্থানে রাখা হয়েছে।

Previous articleএকনজরে আজকের পেট্রোল -ডিজেলের দাম 
Next articleভাইফোঁটার পরেই বৃষ্টি, জানিয়ে দিল হাওয়া অফিস!