এক সপ্তাহ কেটে গেছে, এখনও পর্যন্ত উত্তরকাশিতে নির্মীয়মান টানেলে (Under construction tunnel) আটকে থাকা শ্রমিকদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে উৎকণ্ঠা। ঠিক কোন জায়গায় খনন কাজ শুরু করলে শ্রমিকদের কাছে দ্রুত পৌঁছনো যাবে তা এখনও পর্যন্ত চিহ্নিত করাই যায়নি। আজ বিকেল থেকে সেই কাজ শুরু হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। কিন্তু এত বড় একটা টানেলের ক্ষেত্রে কোন এসকেপ রুট (Escape Route) পরিকল্পনাতেই নেই? কর্তৃপক্ষের গাফিলতির খেসারত দিচ্ছেন ৪০ জন শ্রমিক।
ম্যাপ অনুযায়ী টানেল বানানোর সময় এসকেপ রুট তৈরি করা হয়েছিল বটে। কিন্তু সবটাই ছিল খাতায় কলমে। বাস্তবে সেই কাজ না হওয়ায় অষ্টম দিনেও শ্রমিকদের উদ্ধার করা গেল না। স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর অনুযায়ী, ৩ কিলোমিটারের বেশি দীর্ঘ সুড়ঙ্গে এসকেপ রুট থাকা বাধ্যতামূলক। প্রাকৃতিক বিপর্যয় বা অন্য কোনও বিপদের কথা মাথায় রেখেই এসকেপ রুট তৈরি করা হয়। সাড়ে ৪ কিলোমিটার দীর্ঘ সুড়ঙ্গেও এসকেপ রুটের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। কিন্তু তা বাস্তবায়ন করা হয়নি। ফলে ধস নামলে পালানোর পথ পাননি শ্রমিকরা। অষ্টম দিনের শেষেও কার্যত দম বন্ধ অবস্থায় ভিতরে আটকে রয়েছেন তাঁরা। কর্তৃপক্ষের এই নিয়ে কোন বিবৃতি নেই। আর কেন্দ্রীয় সরকারের কোনও হেলদোল নেই। দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থেকে শুরু করে প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত সকলেই মেতে রয়েছেন ক্রিকেটের উৎসবে। অন্যদিকে বিনিদ্র রজনী যাপন করছেন টানেলে আটকে থাকা শ্রমিকদের পরিবারের লোকেরা।