প্রথম ম্যাচে পারলেও দ্বিতীয় ম্যাচে পারল না ভারতীয় দল। এদিন ভুবনেশ্বরের কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে কাতারের কাছে ৩-০ গোলে হারল ইগর স্টিম্যাচের দল। বিশ্বকাপের কোয়ালিফায়ার এবং ২০২৭ সালের এশিয়ান কাপের বাছাই-পর্বের দ্বিতীয় রাউন্ডের দ্বিতীয় ম্যাচে হারের মুখ দেখে সুনীল ছেত্রীরা। দুই অর্ধের শুরুতে ডিফেন্সের ঝিমুনির কারণে গোল হজম করতে হয়েছে ভারতের। এই হারের ফলে দুই ম্যাচে তিন পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলে দ্বিতীয় স্থানে টিম ইন্ডিয়া।

ম্যাচে এদিন প্রথম থেকেই আক্রমণে ঝাপায় কাতার। যার ফলে ম্যাচের ৪ মিনিটেই এগিয়ে যায় কাতার। কাতারের হয়ে ১-০ করেন মুস্তাফা মিশাল। ডিফেন্সের বাজে ভুলে গোল হজম করে ভারত। এরপর পাল্টা আক্রমণ করে ভারত। কিন্তু কাতারের ডিফেন্সে আটকে যায় উদান্ত সিং, সুনীল ছেত্রীরা। ম্যাচের ৩৯ মিনিটে দুর্দান্ত সুযোগ চলে আসে ভারতের সামনে। গতিতে কাতার ডিফেন্সকে ছারখার করে দেন ছাংতে। কাতারের বক্সের মধ্যে বিপজ্জনক জায়গায় বল বাড়ান ছাংতে। কিন্তু সেখানে কোনও ভারতীয় খেলোয়াড় ছিলেন না। শেষপর্যন্ত বক্সের মাথা থেকে দিশাহীন শট সুনীল ছেত্রীর। এরপর আক্রমণে গেলেও প্রথমার্ধে ম্যাচের ফলাফল থাকে ১-০।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই গোল হজম করে স্টিম্যাচের দল। কাতারের হয়ে ২-০ করেন আলি। ডানদিক থেকে ছাংতেকে ডামি দিয়ে বক্সের মধ্যে আফিফের উদ্দেশ্যে চিপ। যিনি গোলে শট মারেন। প্রাথমিকভাবে তালু দিয়ে বলটা রুখে দেন অমরিন্দর সিং। ফিরতি বলে আলি গোল করেন। এরপর আক্রমণে ঝাপায় ভারত। ৫৩ মিনিটে দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণ ভারতের। ডানপ্রান্ত থেকে ক্রস দেওয়ার চেষ্টা অনিরুদ্ধ থাপার। তবে কাতারের বক্সের মধ্যে ভারতের কেউ ছিলেন না। বল ক্লিয়ার করে দিল কাতার ডিফেন্স। এরই মধ্যে পাল্টা আক্রমণে ঝাপায় কাতার। যার ফলে ম্যাচের ৮৬ মিনিটে ৩-০ এগিয়ে যায় তারা। কাতারের হয়ে ৩-০ করেন আব্দুরিসাগ।

আরও পড়ুন:বিশ্বকাপ জয়ের পরই ভারতবাসীর কাছে ক্ষমা চাইলেন ওয়ার্নার, কিন্তু কেন?
