স্কুলের (School) বাইরেই ছুরি নিয়ে হামলা দুষ্কৃতীর। দুর্ঘটনায় তিন শিশু-সহ আহত হয়েছেন কমপক্ষে পাঁচজন। যার মধ্যে একজন খোদ হামলাকারীই। ঘটনাকে কেন্দ্র করে দাঙ্গা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে আয়ারল্যান্ডের (Ireland) রাজধানী ডাবলিনে (Dublin)। এদিনের ঘটনার জেরে দোকানপাট লুঠ থেকে শুরু করে বাসও গাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া, পুলিশের উপর হামলা সবকিছুরই সাক্ষী থাকল ডাবলিন। ঘটনার সূত্রপাত স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার বেলা দেড়টা নাগাদ। ডাবলিনের পার্নেল স্কোয়ারে একটি স্কুলের বাইরে শিশু-সহ বেশ কয়েকজনের উপর ছুরি নিয়ে হামলা চালায় এক ব্যক্তি। গুরুতর আহত হয় এক পাঁচ বছরের নাবালিকা, পাঁচ বছরের ছেলে এবং ছয় বছরের মেয়েও৷ তবে এদিন স্থানীয়রাই ওই হামলাকারীকে নিরস্ত্র করে, সেই সময় হামলাকারীও আহত হয় বলে খবর।

এদিন দুর্ঘটনার পর পুলিশ জানিয়েছিল, আততায়ীর বয়স পঞ্চাশের ঘরে। কিন্তু, সোশ্যাল মিডিয়ায় সে কোন দেশের নাগরিক, এই নিয়ে গুজব ছড়িয়ে পড়ে। আর এরপরই ডাবলিনের ও’কনেল স্ট্রিটকে কেন্দ্র করে হিংসা ছড়িয়ে পড়ে। রাস্তায় নেমে আসেন উদ্বাস্তু বিরোধী বিক্ষোভকারীরা। উদ্বাস্তুদের বের করে দাও বলে, স্লোগান দিতে থাকেন তারা। এরপর ড্যানিয়েল ও’কনেলের মূর্তির সামনে একটি ডবল ডেকার বাসে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। কাছাকাছি অবস্থিত বেশ কয়েকটি দোকান ও রেস্তোরাঁয় ভাঙচুর চালানো হয় এবং বেশ কয়েকটি দোকানে লুটপাটও চালায় বিক্ষোভকারীরা। পাশাপাশি হিংসা রুখতে প্রায় ৪০০ পুলিশ মোতায়েন করা হয়। এরপর পুলিশের সঙ্গেও সংঘর্ষে জড়ায় বিক্ষোভকারীরা। পুলিশের একটি গাড়িও পুড়িয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। পুলিশকে লক্ষ্য করে কাচের বোতল, পাথর, এমনকি আতশবাজিও ছুড়তে শুরু করে বিক্ষোভকারীরা।
এদিকে প্রায় তিন ঘণ্টা পর, স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাত ৯টা নাগাদ বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। কিন্তু তারপরও উত্তেজনা কমেনি। বন্ধ রাখা হয়েছে ও’কনেল স্ট্রিটের যান চলাচল। তবে ডাবলিনে এমন দাঙ্গা বা হিংসা প্রায় নজিরবিহীন।
