রান্নার গ্যাসের ভ.র্তুকি পেতে বায়োমেট্রিক বাধ্য.তামূলক! মোদির হঠ.কারী সিদ্ধান্তে বাড়ছে ধোঁয়া.শা

বি.পাকে পড়েছেন ডিলাররা, কারণ এত কম সময়ের মধ্যে কী ভাবে বিপুল সংখ্যক গ্রাহকের তথ্য যাচাই সম্ভব তা নিয়ে ধোঁ.য়াশা তৈরি হয়েছে।

রান্নার গ্যাসে ভর্তুকি (Subsidy on LPG Gas)পেতে এবার নয়া ঝঞ্ঝাট পোহাতে হবে সাধারণ মানুষকে। আগামী মাসের মধ্যেই বায়োমেট্রিক তথ্য (Biometric information) না দিলে নয়া বছরে আর ভর্তুকির টাকা আসবে না আপনার অ্যাকাউন্টে। অথচ এত বড় একটা সিদ্ধান্ত কাউকে কিছু না জানিয়ে, কোনও জনস্বার্থমূলক প্রচার না করেই নিয়ে ফেলল মোদি সরকার (Modi Government)।স্বাভাবিকভাবেই বিভ্রান্তি বাড়ছে কারণ বিষয়টি whatsapp মারফত ডিলারদের জানানো হয়েছে। যা ঘিরে গ্রাহক এবং বিক্রেতা (Distributor), দুই মহলেই ক্ষোভ বাড়ছে। আচমকা এই নির্দেশ জারি করার কোন যুক্তি আছে কি? উঠছে প্রশ্ন।

যখন তখন মানুষের উপর নিজের সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়াটা মোদি সরকারের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। পরিকল্পনাহীন নোট বন্দি থেকে আচমকা লকডাউন – সবই প্রধানমন্ত্রীর মস্তিষ্কপ্রসূত হঠকারী সিদ্ধান্ত। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে এই সবকিছুর মাশুল দিতে হয় সাধারণ মানুষকে। এবার রান্নার গ্যাসের ভর্তুকিতেও নয়া পরিবর্তন আনছে বিজেপি সরকার (BJP Government)। এবার থেকে নাকি সমস্ত গ্রাহকের আধার যাচাই করে বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহ করতে হবে গ্যাস ডিলারদের। আর এই গোটা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে। অথচ গ্রাহকদের এই সম্পর্কে কিছুই জানানো হয়নি। যার ফলে প্রবীণ গ্রাহকরা সবথেকে বেশি সমস্যায় পড়বেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। নরেন্দ্র মোদির সরকার স্বচ্ছ প্রশাসনিক পদক্ষেপ ও স্বচ্ছ জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধির বড়াই করলেও রান্নার গ্যাসের ভর্তুকি নিয়ে তাঁদের বিরুদ্ধে বরাবর অস্বচ্ছতার অভিযোগ উঠেছে। বছর চারেক আগে উজ্জ্বলা বাদে সাধারণ গ্রাহকদের ভর্তুকি কার্যত চুপিসারে ধাপে ধাপে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যে কজন মানুষ ভর্তুকি পাচ্ছেন সেটাও হাতেগোনা কয়েকটা টাকা। অর্থাৎ একদিকে রান্নার গ্যাসের দাম বাড়ানো অন্যদিকে ভর্তুকি বন্ধ করে দেওয়া আর এই দুয়ে মিলে মানুষকে ভাতে মারতে চাইছে বিজেপি সরকার, এমন কথাই মনে করছেন বিরোধীরা। উজ্জ্বলা যোজনা-সহ ভর্তুকিযোগ্য রান্নার গ্যাসের (LPG) সব গ্রাহকেরই আধার যাচাই করার এই সিদ্ধান্তের যৌক্তিকতা খুঁজতে চাইছেন বিশ্লেষকরা। বিপাকে পড়েছেন ডিলাররা, কারণ এত কম সময়ের মধ্যে কী ভাবে বিপুল সংখ্যক গ্রাহকের তথ্য যাচাই সম্ভব তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।

Previous articleদ্রাবিড়কে কোচ হিসাবে ধরে রাখতে এবার আসরে বিসিসিআই : সূত্র
Next articleGold Silver Rate: আজ সোনা রুপোর দাম কত? জেনে নিন এক ঝলকে