তৃণমূল করেন বলেই সিবিআই হেনস্থা! তল্লাশির শেষে প্রতিহিংসার তত্ত্ব দেবরাজের মুখে

ধর্মতলায় শাহি সভার পরদিনই ফের কোমড় বেঁধে মাঠে নামল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। বৃহস্পতিবার সাত সকালে বিধাননগর পুরসভার মেয়র পারিষদ সদস্য দেবরাজ চক্রবর্তীর বাড়িতে হানা দেন সিবিআইয়ের একটি টিম। কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ঘিরে ফেলা হয় গোটা বাড়ি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশও।

সকাল ৮ টা থেকে প্রায় চার ঘণ্টা ধরে তেঘরিয়ায় দেবরাজের বাড়িতে তল্লাশি চালানোর পর তাঁকে নিয়ে সেখান থেকে বেরিয়ে দমদম পার্কে আরও একটি রেসিডেন্সিয়াল ফ্ল্যাটে পৌঁছায় কেন্দ্রীয় এজেন্সির তদন্তকারীরা। এখানেই শেষ নয় দেবরাজ চক্রবর্তীর বিধায়ক-স্ত্রী তথা সঙ্গীত শিল্পী অদিতি মুন্সির গানের স্কুলেও পৌঁছে যান সিবিআই আধিকারিকরা। দমদম পার্কের বালাজি অ্যাপার্টমেন্টের ফার্স্ট ফ্লোরে অদিতির একটি গানের স্কুল ও স্টুডিও রয়েছে। সেখানেই তল্লাশির জন্য যায় সিবিআই টিম।

সবমিলিয়ে প্রায় ৬ ঘণ্টা পর দেবরাজ চক্রবর্তীর বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান সিবিআই আধিকারিকরা। এজেন্সি বেরিয়ে যেতে হাসিমুখে অপেক্ষারত সাংবাদিকদের সামনে আসেন দেবরাজ। তাঁর অভিযোগ, তৃণমূল করেন বলেই সিবিআই দিয়ে এই হেনস্থা। অর্থাৎ দেবরাজও তাঁর বাড়িতে তল্লাশি নিয়ে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার তত্ত্ব খাড়া করেন।

দেবরাজের কথায়, “সকাল ৮টায় বাড়িতে আসে সিবিআই। আমি ছিলাম না। মা ফোন করেন। প্রতিনিধি দলে ছিলেন সাতজন। সার্চ ওয়ারেন্ট ছিল। সার্চ করেছেন প্রতিটি ফ্লোর। উপযুক্ত প্রমাণ পাননি। আমার, আমার পরিবার, সংস্থার আয় সংক্রান্ত তথ্য নেয়। নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে এসেছিলেন। আমার দুটি বাড়িতে তল্লাশি চলে। আমি বলেছি আগামিদিনেও তদন্তে সহযোগিতার প্রয়োজন হলে করব। কিছু নথিপত্র স্ক্রুটিনির জন্য নিয়ে গিয়েছে। সার্চ লিস্ট দিয়ে গিয়েছে।”

এরপর আত্মবিশ্বাসের তৃণমূল কাউন্সিলর বলেন, “প্রাথমিক নিয়োগ সম্পর্কিত কোনও নথি আমার কাছে পায়নি। পাওয়ার কথাও নয়। আমি এবং আর যাঁদের বাড়িতে সিবিআই, ইডি তল্লাশি করছে, সকলের একটাই দোষ, আমরা সবাই তৃণমূল করি। আমরা গর্বিত তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী হিসেবে।”

Previous articleকন্যা সন্তানের মা হলেন শুভশ্রী! উচ্ছ্বসিত রাজ
Next articleগল্ফগ্রিনে মাঠ নিয়ে ধু.ন্ধুমার, পুলিশি হ.স্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে