বুধবার ধর্মতলায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Shah) সভা সুপার-ডুপার ফ্লপ! সেই ব্যর্থতা ঢাকতেই বৃহস্পতিবার একদিকে এজেন্সি দিয়ে তৃণমূল (TMC) নেতাদের হেনস্থা আর অন্যদিকে বিধানসভায় ফের ‘অসভ্যতা’ বিজেপির (BJP)। এই বিষয় নিয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে সাংবাদিক বৈঠক করে গেরুয়া শিবিরকে তুলোধনা করল তৃণমূল।

তৃণমূলের অভিযোগ, ফের তাদের দলীয় নেতা ও জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে কুৎসা ও ষড়যন্ত্রের চিত্রনাট্য তৈরি করেই মাঠে নামানো হয়েছে এজেন্সিকে। তৃণমূল ভবনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিজেপিকে ধুইয়ে দেন বিধানসভায় তৃণমূলের ডেপুটি চিফ-হুইফ তাপস রায় (Taposh Ray) ও দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। তাপস রায় বলেন, “বুধবার অমিত শাহর কলকাতার সভা সুপার-ডুপার ফ্লপ। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বেই ওদের সভা ভরেনি। বাংলার মানুষের জবাব ওরা পেয়ে গিয়েছে। বাংলা ওদের প্রত্যাখ্যান করেছে। আসলে ধর্মতলার ওই জায়গাটাই ওরা ভুল বেছে ছিল। ওটা ঐতিহাসিকভাবে তৃণমূলের ২১ জুলাইয়ের সভার জায়গা। সেখানে বাংলার মানুষ আর কোনও রাজনৈতিক দলকে দেখতে চায় না। “

২১ জুলাই তৃণমূলের সমাবেশ মঞ্চের পিছনে যে লোক থাকে, বিজেপির সামগ্রিক জমায়েতে সেটুকুও ছিল না। ফ্লপ শোয়ের ব্যর্থতা ঢাকতেই এদিন সাতসকালে কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে পাঠিয়ে দিয়েছে বিজেপি- মত কুণালের। তাঁর মতে, সুপার ফ্লপ সভা থেকে নজর ঘোরাতে অমিত শাহ চলে যাওয়ার পরের দিনেই সিবিআই মাঠে নেমেছে। বাংলার মানুষ বিজেপিকে আরও একবার প্রত্যাখ্যান করে বুঝিয়ে দিয়েছে এই বাংলায় ওদের ঠাঁই নেই।

এদিন সকাল থেকে কলকাতা পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্ত, তৃণমূল কাউন্সিলর দেবরাজ চক্রবর্তী, ডোমকলের তৃণমূল বিধায়ক জাফিকুল ইসলামের বাড়িতে হানা দেয় বিজেপি। সূত্রের খবর, জাফিকুল বাড়িতে নগদ মিলিছে। এই প্রসঙ্গে তৃণমূল মুখপাত্র জানান, কারও বাড়িতে টাকা পাওয়া গিয়েছে মানেই তা বেআইনি নয়। কারও ব্যবসায়ীক লেনদেনের টাকও থাকতে পারে। যতক্ষণ পর্যন্ত না সেই টাকার উৎস এবং তা আইনি নাকি বেআইনি পথে রোজগার হয়েছে সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে তার আগে কাউকে দাগিয়ে দেওয়া ঠিক নয়- মত কুণালের।

আরও খবর: আন্তর্জাতিক শিশু অধিকার দিবসে বীরপুরুষ-বীরাঙ্গনা পুরস্কার প্রদান!
একই সঙ্গে বিধানসভায় জাতীয় সঙ্গীতের অবমাননা নিয়ে গর্জে ওঠেন তাপস রায় (Taposh Ray)। বলেন, ১৯৭১-এর আইন অনুযায়ী জাতীয় সঙ্গীতের অবমাননায় জেল-জরিমানা দুটোই হতে পরে। গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে তোপ দেগে তিনি বলেন, “ওরা জাতীয় পতাকা, জাতীয় সঙ্গীতের সম্মান করে না।” মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বুধবার বিধানসভায় তৃণমূল সংযম দেখিয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তৃণমূলের ডেপুটি চিফ-হুইফ। তাঁর মতে, এই অসভ্যতা বিজেপির সংস্কৃতি, বাংলার নয়।

কুণাল ঘোষ জানান, এই মামলাতেও শুভেন্দু অধিকারীর যেন কোনও রক্ষা কবচ না পান। কারণ, জাতীয় সঙ্গীত আবমাননার পরেও যদি তাঁকে রক্ষাকবচ দেওয়া হয়, সেটা দুর্ভাগ্যজনক হবে।
