সরকার বদলেছে, তবে কর্নাটক আছে কর্নাটকেই। ফের একবার কর্নাটকে প্রকাশ্যে এলো সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগ। দৃষ্টিহীন এক মুসলিম প্রৌঢ়কে জোর করে জয় শ্রীরাম স্লোগান দিতে বাধ্য করা হল। পাশাপাশি ব্যাপক মারধোর করা হয় তাঁকে। শুধু তাই নয়, ওই প্রৌঢ়কে জোর করে মোটর সাইকেলে চাপিয়ে তুলে নিয়ে গিয়ে দুষ্কৃতীরা তাঁর দাড়ি পুড়িয়ে দেয়।

জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে কর্নাটকের কাপ্পাল জেলার গঙ্গাবতী শহরে। ২৫ নভেম্বর রাতে এই ঘটনা ঘটে। এর ৩ দিন পর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন আক্রান্ত। হুসেন সাব নামে ওই ব্যক্তির বক্তব্য, পুলিশে অভিযোগ করলে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। তারা সঙ্গে থাকা টাকা-পয়সাও কেড়ে নেয়। ভয়ে তিনি পুলিশের কাছে যাননি। কিন্তু পাড়া-প্রতিবেশী ঘটনাটি জানার পর তাঁকে নিয়ে থানায় যান। কাপ্পালের পুলিশ সুপার যশোদা ভান্তাগড়ির বক্তব্য, দুষ্কৃতীদের ধরা যায়নি। পুলিশ তদন্ত চালাচ্ছে। তাঁর বক্তব্য, ঘটনাটি লুঠতরাজের উদ্দেশে করা হয়ে থাকতে পারে। পুলিশ সুপার জানান, সাম্প্রদায়িক উদ্দেশে হামলার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না।

উল্লেখ্য, বিজেপি সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন কর্নাটকে সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতনের ঘটনা হামেশাই শোনা যেত। কখনও পোশাক নিয়ে আপত্তি, তো কখন গরুর মাংস বিক্রি অথবা খাওয়াতে বাধা। জোর করে জয় শ্রীরাম বলানোর অভিযোগও শোনা যেত প্রায়ই। মাস ছয় হল রাজ্যে কংগ্রেস সরকার ক্ষমতায়। কিন্তু সংখ্যালঘুদের উপর সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনায় যে লাগাম পরানো যায়নি এই ঘটনা তারই প্রমাণ।
