রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের সদস্য নির্বাচন, নবান্নের ডাক পেলেন শুভেন্দু

রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের পরবর্তী প্রধান কে হবেন তা ঠিক হবে আগামী ১৪ ডিসেম্বর। ওইদিন নবান্নে এই বিষয়ে আলোচনার জন্য ডাকা হয়েছে বৈঠক। প্রথা মেনে সেই বৈঠকে আসার জন্য আবেদন জানানো হল রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে(Shuvendu Adhikari)। যদিও বৈঠকে যোগ দিতে তিনি আসবেন কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। কারণ ইতিমধ্যে একাধিক বৈঠকে তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও বার বার বৈঠক এড়িয়েছেন শুভেন্দু।

এই বৈঠকের কথা জানিয়ে নবান্নের তরফে বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, সেই চিঠির প্রাপ্তি স্বীকার করেছেন শুভেন্দুও। তবে নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ওই বৈঠকে যোগ দেবেন কিনা তা এখনও স্পষ্ট করেননি বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দুর কথায়, ১৪ তারিখের আগেই তিনি যাবেন কি যাবেন না তা জানিয়ে দেবেন। যদিও তাঁর ঘনিষ্ট মহল সূত্রে খবর, এই বৈঠকে শুভেন্দুর যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা কম। তিনি নাও যেতে পারেন। কারণ এই ধরণের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনা পুরোপুরি এড়িয়ে চলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

উল্লেখ্য, গত ২৪ সেপ্টেম্বর রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের প্রশাসনিক সদস্যের পদ থেকে অবসর নিয়েছেন নপরাজিত মুখোপাধ্যায়। তাঁর ছেড়ে যাওয়া আসনে কে বসতে পারেন, সেই নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরেই জল্পনা চলছে। এই পদের জন্য ৩ জন আবেদন করেছেন। তাঁর মধ্যে আছেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যসচিব বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায়, অবসরপ্রাপ্ত বিচারক পার্থসারথি মুখোপাধ্যায় ও প্রাক্তন আইপিএস অধীর শর্মা। নবান্ন সূত্রে খবর, রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের পরবর্তী প্রশাসনিক সদস্য হিসেবে রাজ্য সরকারের প্রথম পছন্দ বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায়। নিয়ম অনুযায়ী, রাজ্য মানবাধিকার কমিশন তিন সদস্য নিয়ে গঠিত। রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি জ্যোতির্ময় ভট্টাচার্য, জুডিশিয়াল সদস্য হিসেবে আছেন কলকাতা হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মধুমিতা মিত্র। এখন দেখার প্রশাসনিক সদস্য হিসেবে কাকে দায়িত্ব দেয় নবান্ন।

Previous articleধ*র্ষণে অভি*যুক্তর স্ত্রীকেই মাম*লার সাক্ষী করল পুলিশ!
Next articleপাকিস্তান ক্রিকেট দলের নির্বাচকমণ্ডলীর পরামর্শদাতা প্রাক্তন এই পাক ক্রিকেটার