ডিসেম্বরের শুরুতেও সাবলীল ব্যাটিং করতে মাঠে নামল না শীত(Winter)। অনেকটা রিটায়ার হার্ট প্লেয়ারের মতো অবস্থা। কখনও নিম্নচাপ কখনও ঝঞ্জা, একের পর এক প্রাকৃতিক বাউন্সারে প্যাভিলিয়ন থেকে হেঁটে বাংলার আকাশে প্রবেশ করতে ব্যর্থ শীত। মনে হচ্ছে যেন কলকাতায় কোনও দিন হাড়কাঁপানো শীত পড়েছে বলে বাঙালির স্মৃতিতেও আসছে না। তার সঙ্গে মৌসম ভবনের (IMD )রিপোর্ট যেন গোদের উপর বিষফোঁড়া। বছর দশেক আগে, ২০১৩ সালের জানুয়ারিতে ৯ ডিগ্রির ঠান্ডা-প্রাপ্তি হয়েছে মহানগরের। তার আগের বছর ডিসেম্বরেও ১০ ডিগ্রিতে নেমেছে পারদ। সেই শেষ। শীত যে এ বার অতীতের ‘খেলা’ দেখাতে পারবে না, তা সোজাসুজি বলে দিল আবহাওয়া দফতর (Weather Department)।
ভোরে এবং রাতে হালকা ঠান্ডার আমেজ থাকলেও সেটা স্থায়ী হচ্ছে না।ডিসেম্বরের প্রথম সাত দিনেও ঠান্ডা পড়ার আশা নেই। আপাতত তাপমাত্রা স্বাভাবিকের উপরেই থাকবে। মৌসম ভবন বলছে, এই ট্রেন্ড বজায় থাকবে ফেব্রুয়ারি পর্যন্তই। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের হিসেব, এ বার ২২ বছরের ‘উষ্ণতম’ নভেম্বর কাটিয়েছে কলকাতা। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা স্বাভাবিকের পাঁচ ডিগ্রি নীচে নামলে শৈত্যপ্রবাহ বলে আবহাওয়া দফতর।IMD বলছে এ বার সর্বনিম্ন তাপমাত্রার গড় স্বাভাবিকের থেকে বেশি থাকবে। শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনাও তুলনায় কম। শীতের দাপট কায়েম না হওয়ার ক্ষেত্রে অনেকগুলো খলনায়ক রয়েছে। প্রথমত, প্রশান্ত মহাসাগরের এল নিনোর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। এল নিনো থাকলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কমতে পারে না। এর সঙ্গে আবার জুড়ে গেছে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা, দক্ষিণ ভারতের বর্ষা, বঙ্গোপসাগরের ঘূর্ণিঝড়। দক্ষিণ ভারতের বর্ষা অতিসক্রিয় থাকার কারণে উত্তর-পূর্বের হাওয়া বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে। অন্ধ্র উপকূলে মিগজাউম আছড়ে পড়লে দক্ষিণবঙ্গের আকাশে মেঘ ঢুকবে, কিন্তু তাপমাত্রা কমবে না। তাই শীতের দেখা নাইরে, শীতের দেখা নাই!