“কাজে তো ফিরতেই হবে”,উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গ থেকে ফিরে বলছেন হুগলির শৌভিক-জয়দেব!

আসলে একটু বেশি রোজগারের আশা। পেটের টানে ভিনরাজ্যে পাড়ি দিয়েছিলেন। সেখানে কাজে গিয়েই বিপত্তি।

উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গ থেকে বের হয়েই মা তপতী পরামানিকের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন জয়দেব। ভিডিও কলে মা-ছেলের দীর্ঘক্ষণ কথাও হয়। মাকে নিজের কুশল সংবাদও দেন জয়দেব। অন্যদিকে উদ্ধারকারী দলকে ধন্যবাদও জানান তপতী দেবী।

বাবা বলেছেন, খুব ভাল লাগছে এবার। খুব আনন্দিত লাগছে। আমাদের সাংসদ এখন আমাদের পাশে। এতে আরও ভাল লাগছে। উনি সবসময় আমাদের পাশে ছিলেন। প্রায়দিনই আমাদের পাশে ছিলেন। কথা বলেছেন। ছেলের এই সাহসী মনোবল আমি কোনওদিন ভাঙতে চাইব না।আসলে একটু বেশি রোজগারের আশা। পেটের টানে ভিনরাজ্যে পাড়ি দিয়েছিলেন। সেখানে কাজে গিয়েই বিপত্তি। উত্তরকাশীর টানেলে কাজ চলাকালীন আটকে পড়েছিলেন। তার পর টানা ১৭ দিন সুড়ঙ্গে জীবন সংগ্রাম। পরিবারের ভয়ংকর দিন কাটিয়ে অবশেষে ঘরে ফেরা। তাও মনের জোর রয়েছে একইরকম। “কাজে তো ফিরতেই হবে”, নিজের গ্রামে ফিরে বলছেন হুগলির সৌভিক পাখিরা এবং জয়দেব পরামানিকরা।হুগলির পুরশুড়ার নিমডাঙ্গির জয়দেব প্রামাণিক এবং হরিণখালির বাসিন্দা সৌভিক পাখিরা। দুপয়সা বেশি রোজগারের আশায় নিম্নবিত্ত পরিবারের দুই সন্তান গিয়েছিলেন উত্তরাখণ্ডে। টানেলে কাজ চলাকালীন আটকে পড়েন তাঁরা। একটানা ১৬ দিন সেখানেই দিন কাটে। রবিবার সকালে গ্রামে ফেরেন তাঁরা। মালা পরিয়ে ‘মৃত্যুঞ্জয়ী’দের বরণ করে নেওয়া হয়। বিপদকে হার মানিয়ে ঘরে ছেলেরা গ্রামে ফেরায় খুশি পরিবারের লোকজন, বন্ধুবান্ধব সবাই। গোটা গ্রামেই যেন উৎসবের মেজাজ। বাড়িতে এলাহি রান্নার আয়োজন করা হয়েছে।
গ্রামে ফিরে সুড়ঙ্গে আটকে থাকার ভয়ংকর অভিজ্ঞতার কথা সকলকে জানান দুজনে। তাঁরা জানান, সুড়ঙ্গ বিপর্যয়ের প্রথম দুদিন খুবই দুশ্চিন্তায় ছিলেন তারা। পরে যদিও আতঙ্ক কেটে যায়। পরিবারের লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগ হওয়ার পর থেকে অনেকটাই যেন শান্তি পান তাঁরা।
খাবারের কোনও অভাব হয়নি টানেলে। বেরিয়ে আসতে যে পারবেনই, সেই মনের জোর আগাগোড়াই ছিল তাঁদের। ‘মৃত্যুঞ্জয়ী’ দুই শ্রমিক নিজেদের লক্ষ্যে অবিচল। “কাজে তো ফিরতেই হবে”, বলছেন সৌভিক-জয়দেবরা।

Previous articleKIFF 2023: হাতে মাত্র একটা দিন, শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলচ্চিত্র উৎসব প্রাঙ্গণে!
Next articleস্বস্তি একমাত্র তেলেঙ্গানায়, কংগ্রেসের সাফল্যে ‘দক্ষিণ দুয়ার’ বন্ধ বিজেপির