তৃতীয় লি.ঙ্গের অধ্যাপিকা শরীরে অ.স্ত্রোপচারের চিকিৎসা করতে গিয়ে প্রতারিত!

সেই কাজের জন্য কিছু ব্যক্তিগত তথ্য তিনি ওয়েবসাইটে দেন। তারপর একটি ফোন আসে তাঁর কাছে।

তৃতীয় লিঙ্গের এক অধ্যাপিকা শরীরে অস্ত্রোপচারের জন্য চিকিৎসকের সময় পেতে অনলাইনে টাকা দিয়েছিলেন। তারপর কয়েকটি বিষয় জানার জন্য সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের ওয়েবসাইট খুলে সে বিষয়ে খোঁজখবর করেন। সেই কাজের জন্য কিছু ব্যক্তিগত তথ্য তিনি ওয়েবসাইটে দেন। তারপর একটি ফোন আসে তাঁর কাছে।

এক ব্যক্তি ফোনে বলেন, চিকিৎসকের অ্যাপয়ন্টমেন্ট সংক্রান্ত একটি পেজ তৈরি আছে। সেটি অধ্যাপিকার হোয়াটসঅ্যাপে পাঠানো হয়েছে। তাতে থাকা লিঙ্কে ক্লিক করে নাম-ঠিকানা ইত্যাদি জানান। অধ্যাপিকা ক্লিক করেন লিঙ্কে। তার কিছুক্ষণের মধ্যে তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে তুলে নেওয়া হয় প্রায় পাঁচ হাজার টাকা।খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারেন হাসপাতালের এমন কোনও পেজ নেই। তারপর অধ্যাপিকা বুঝতে পারেন প্রতারণার শিকার হয়েছেন। বারাসত থানা ও সাইবার সেলে অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি। বারাসতের একটি বেসরকারি কলেজের বাংলা বিভাগে অধ্যাপনা করেন অপরাজিতা দাস। তিনি রানাঘাটের বাসিন্দা। বর্তমানে বারাসতের নওপাড়ায় থাকেন।

তিনি আগে অচিন্ত্য দাস নামে পরিচিত ছিলেন। পরে লিঙ্গ পরিবর্তন করে অপরাজিতা দাস হয়েছেন। শরীরে অস্ত্রোপচারের জন্য গত ২৮ নভেম্বর অনলাইনে মুম্বইয়ের এক সার্জেন্ট-চিকিৎসকের অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিয়েছিলেন অপরাজিতাদেবী। বুকিং-এর পর অনলাইনে ৫০০ টাকা দেন। ওই চিকিৎসক কলকাতার শ্যামবাজারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে প্রতি মাসে একদিন চিকিৎসা করেন।জানা গিয়েছে, এক ডিসেম্বর ছিল ওই চিকিৎসকের সঙ্গে অপরাজিতার অ্যাপয়েন্টমেন্ট। গত ২৮ নভেম্বর সেই হাসপাতালের ওয়েবসাইটে গিয়ে কিছু তথ্য জানার চেষ্টা করেন অধ্যাপিকা। সে জন্য অনলাইনে নিজের কিছু তথ্য শেয়ার করেন। তারপর তাঁর কাছে অজানা নম্বর থেকে ফোন আসে। ওই হাসপাতালের নাম করে বলা হয়, চিকিৎসকের বুকিং নিশ্চিত করতে যে পেজ পাঠানো হয়েছে সেখানে থাকা লিঙ্কে ক্লিক করতে হবে। তা করতেই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে ৪৪৯৯ টাকা গায়েব হয়ে যায়।

[25/10, 11:49 am] Chandan:

Previous articleশেষ ম‍্যাচেও অজিদের ৬ রানে হারাল টিম ইন্ডিয়া
Next articleমোদির ‘মি.থ্যাচার’! প্রতিশ্রুতি পালন অভিষেকের, বকেয়া আদায়ে ল.ড়াই চালাবে তৃণমূল