জলপাইগুড়ির সার্কিট বেঞ্চে চ.রম অ.চলাবস্থা! অ.ভিযোগ সামনে আসতেই নড়েচড়ে বসল হাই কোর্ট

আইনজীবীদের আরও অভিযোগ, সার্কিট বেঞ্চে বিশেষ করে ফৌজদারি মামলা ঘিরে অভিযোগ দীর্ঘদিনের। কলকাতায় বসে মামলার বিচার করতে গিয়ে বারংবার কেস ডায়েরি চেয়ে পাঠালেও সার্কিট বেঞ্চ থেকে সেই মামলার নথি কোর্টে পৌঁছয় না, এমন একাধিক উদাহরণ রয়েছে।

অভিযোগ (Complaints) ছিল দীর্ঘদিনের। কিন্তু সেই অভিযোগকে এতদিন কেউ ততটা পাত্তা দেননি। তবে বিষয়টি নতুন করে উস্কে দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। জলপাইগুড়ির সার্কিট বেঞ্চের (Jalpauguri Circuit Bench) এলাধিক মামলা নিয়ে বিস্তর অভিযোগ ছিল মামলাকারীদের। জামিন ও আগাম জামিন সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি মামলার গতিপ্রকৃতি নিয়েও উঠছিল ভুরিভুরি অভিযোগ। এবার সেই অভিযোগেই ‘মান্যতা’ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। সম্প্রতি এক মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চ জানায় জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে মাকড়সার মতো একটা ‘অদৃশ্য’ জাল চোখে পড়ছে। যারা সার্কিট বেঞ্চে কর্মরত তাঁদের অধিকাংশের বিরুদ্ধেই বিস্তর অভিযোগ সামনে আসছে।

এরপরই বেশ কয়েকটি জামিন ও আগাম জামিন সংক্রান্ত মামলার নথি খতিয়ে দেখে গত ৩০ নভেম্বর কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ বিধি নির্দেশককে (Legal Remembrance) নির্দেশ দেয়, একটি প্রতারণার মামলায় কী করে আগাম জামিনের আবেদন খারিজের নথি গোপন করা হলো, সে ব্যাপারে অনুসন্ধান করতে হবে। এক্ষেত্রে ঠিক কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে, সেটাও জানাতে বলা হয়েছে। তবে বিচারপতি বসাকের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ দীর্ঘদিনের একটা বড় অনিয়ম সামনে এল বলেই মত আইনজীবীদের একাংশের। পাশাপাশি  জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে ‘গায়ের জোরে’ সবকিছু চলে বলেও মত আইনজীবীদের একাংশের। আইনজীবীদের আরও অভিযোগ, সার্কিট বেঞ্চে বিশেষ করে ফৌজদারি মামলা ঘিরে অভিযোগ দীর্ঘদিনের। কলকাতায় বসে মামলার বিচার করতে গিয়ে বারংবার কেস ডায়েরি চেয়ে পাঠালেও সার্কিট বেঞ্চ থেকে সেই মামলার নথি কোর্টে পৌঁছয় না, এমন একাধিক উদাহরণ রয়েছে। এমন আবহে সোমবার থেকে সার্কিট বেঞ্চে ফৌজদারি মামলাগুলির বিচার করতে বসছে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ। অভিযোগ, এমন বেশ কয়েকটি মামলার নথি হাই কোর্ট সামনে এনেছে, যেখানে একইভাবে মাদক মামলায় অভিযুক্ত আদালতের সঙ্গে প্রতারণা করে জামিন বা আগাম জামিন পেয়ে গিয়েছেন।

আর এমন অভিযোগ সামনে আসতেই নড়েচড়ে বসে কলকাতা হাইকোর্ট। চারটি ফৌজদারি মামলার উদাহরণ টেনে এনে রাজ্য পুলিশের এডিজি (উত্তরবঙ্গ) নির্দেশ দিয়েছেন, এ ব্যাপারে যথাযথ পদক্ষেপ করতে। পাশাপাশি জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চের রেজিস্ট্রারকে গোটা বিষয়টি কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির কাছে জানানোর নির্দেশ দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ। এরপর বিষয়টির তদন্তে নেমে গত ১৭ নভেম্বর হাইকোর্টের নির্দেশে রেজিস্ট্রার এফআইআর দায়ের করেন তিন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে।

 

 

 

 

Previous articleভোটের আগে বাংলাদেশ পুলিশ-প্রশাসনে বিরাট বদল
Next articleসংসদে পেশ হল না মহুয়া মামলার এথিক্স কমিটির রিপোর্ট