পৌষমেলার দাবিতে বিশ্বভারতীতে ধু.ন্ধুমার,নিরপত্তারক্ষীদের সঙ্গে ধ.স্তাধস্তি আন্দোলনকারীদের

বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ ও শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট যৌথ ভাবে প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছে এবারও হচ্ছে না ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলা

পৌষমেলার দাবিতে বিক্ষোভে ধুন্ধুমার বিশ্বভারতীতে। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে নিরাপত্তাকর্মীদের ধস্তাধস্তি হল। আন্দোলনকারীদের স্মারকলিপি জমা দিতে বাধা দেওয়া হলো। তাদের অভিযোগ, হাই কোর্টের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও বলাকা গেট বন্ধ রাখল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। যার নিট ফল, কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের বলাকা গেট ভেঙে ভেতরে ঢুকে চলল বিক্ষোভ। যদিও, কার্যালয়ে ছিলেন না ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য সহ কর্মসচিব। প্রসঙ্গত, বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ ও শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট যৌথ ভাবে প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছে এবারও হচ্ছে না ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলা। তারপর থেকে শান্তিনিকেতনের আবহাওয়া উত্তপ্ত হতে শুরু করে।

২০১৯ সালে শেষ বার শান্তিনিকেতনে হয়েছিল পৌষমেলা। ২০২০ সালে কোভিড পরিস্থিতির জন্য বন্ধ ছিল মেলা৷ কিন্তু, পরবর্তীতে, অর্থাৎ ২০২১ ও ২২ সালে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী পৌষমেলা বন্ধ করে দেন৷ যা নিয়ে বিক্ষোভ হয় শান্তিনিকেতন জুড়ে৷ ৮ নভেম্বর উপাচার্য হিসাবে মেয়াদ শেষ হয়েছে বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর। নতুন ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য হয়েছেন সঞ্জয় কুমার মল্লিক।তাই এবার বোলপুর-শান্তিনিকেতনবাসীরা  আশা করেছিলেন এবার হয়তো পৌষমেলা হবে৷

কিন্তু, দেখা গেল শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট ও বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ বৈঠক করে পুরো বিষয়টিকে দিয়ে বিশ বাঁও জলে ফেলে দিয়েছে। তার প্রতিবাদে এদিন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের কাছে স্মারকলিপি দিতে যান স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। কিন্তু সেখানে বাধা পাওয়ার পর, জেলা শাসক, মহকুমা শাসক, এস এস ডি এ এবং শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের কাছে স্মারকলিপি জমা দেন ব‍্যবসায়ী সমিতির সুনীল সিং, কবিগুরু মার্কেটের আমিনুল হোদা, আলাপিনি সমিতির মনীষা বন্দ‍্যোপাধ‍্যায় প্রমুখ।যদিও তাদের এই আন্দোলনকে পাত্তা দিতে নারাজ বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।

Previous articleসারারাজ্যকে ব.ঞ্চিত কেন! বাংলার প্রাপ্য নিয়ে কেন্দ্রের ‘প্রতিহিং.সা’ নিয়ে সরব সুদীপ
Next articleরাতভর দু.ষ্কৃতী তা.ণ্ডব, উ.ত্তপ্ত মুর্শিদাবাদের সামসেরগঞ্জ