আজকের দিনে কী কী ঘটেছিল? চলুন দেখে নেওয়া যাক

১৯৭১
বাংলাদেশকে স্বীকৃতি

প্রথমে ভুটান ও তারপর ভারত এদিন সদ্য স্বাধীন হওয়া বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদান করে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী বিশ্বব্যবস্থায় বাংলাদেশই প্রথম দেশ যেটি কিনা উপনিবেশ থেকে স্বাধীন হওয়া কোনও দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে স্বাধীনতা অর্জন করে। এজন্য বাংলাদেশের সরকারকে স্বাধীন দেশ হিসেবে নিজেকে বিশ্ব দরবারে প্রতিষ্ঠিত করার পথটি সুগম ছিল না। কিন্তু দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ার দুটি দেশের স্বীকৃতি দানের মধ্য দিয়ে এই কণ্টকিত পথটি একটু হলেও মসৃণ হয়েছিল।

১৯৯২

বাবরি মসজিদ গুঁড়িয়ে দেয় করসেবক ও রামভক্তরা

উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন ও পুলিশ মসজিদ রক্ষায় কোনও তৎপরতা দেখায়নি বলে অভিযোগ ওঠে। সেদিনই উত্তরপ্রদেশে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করে নরসিংহ রাও সরকার। ১৫২৭ সালে অওধ দখল করেছিলেন বাবরের বিশ্বস্ত সেনাপতি মির বাকি। পরের বছর তাঁর মনিবের নামে সরযূ নদীর পাড়ে বানিয়েছিলেন তিন গম্বুজওয়ালা এক মসজিদ। সাড়ে চার শতক পরে সেই মসজিদই ভারতীয় রাজনীতির ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বিতর্কের কেন্দ্র হয়ে উঠেছিল।

১৮২৩ ম্যাক্সমুলার

(১৮২৩-১৯০০) এদিন তৎকালীন প্রুশিয়ার আনহান্ট রাজ্যের রাজধানী দেসাউতে জন্মগ্রহণ করেন। বিখ্যাত ভারতবিশারদ, দার্শনিক, ধর্মতত্ত্ববিদ, সমাজতত্ত্ববিদ, অধ্যাপক, সংস্কৃত ভাষায় সুপ্রসিদ্ধ জার্মান পণ্ডিত ও অনুবাদক। ছোটবেলা থেকেই সংস্কৃত ভাষার নিষ্ঠাবান সেবক ছিলেন। ১৮৬৮ থেকে আমৃত্যু অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনামূলক ভাষাতত্ত্ব বিভাগে অধ্যাপনা করেছেন।

১৮৫৩ মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী

(১৮৫৩-১৯৩১) এদিন জন্মগ্রহণ করেন। আসল নাম ছিল হরপ্রসাদ ভট্টাচার্য। তিনি ছিলেন আত্মবিস্মৃত জাতির কথাকার। উপাধি হিসেবে এক ‘বিদ্যাসাগর’ চিরজীবী— ঈশ্বরচন্দ্রের সহশব্দ হয়ে, কিন্তু একদা বিদ্যাসাগরের বাড়ির ছাত্রাবাসে থেকেই কিছুদিন পড়াশোনা করা, উত্তরকালে মস্ত সংস্কৃতজ্ঞ, পুরাতত্ত্ববিদ ও ভারতবিদ্যাবেত্তা হরপ্রসাদের ‘মহামহোপাধ্যায়’ উপাধি তাঁকে মনে রাখার পথে বাঙালির বিশেষ কাজে লাগেনি বলেই মনে হয়। অথচ সেকালে ব্রিটিশ সরকার তাঁর পরামর্শেই ঠিক করত, কাকে ‘মহামহোপাধ্যায়’ উপাধি দেওয়া হবে।

১৯১১ দীনেশচন্দ্র গুপ্ত

(১৯১১-১৯৩১) এদিন জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৩০ সালের ৮ ডিসেম্বর রাইটার্স ভবন আক্রমণ করেন তিনি, বিনয় বসু ও বাদল গুপ্ত। কারাবিভাগের অত্যাচারী ইন্সপেক্টর জেনারেল সিম্পসন-কে হত্যা করেন তাঁরা। পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধের পর বিনয় ও বাদল আত্মহত্যা করলেও, কোনওক্রমে বেঁচে যান দীনেশ। তাঁকে সারিয়ে তুলে বিচারের পর মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।

২০২০ মনু মুখোপাধ্যায়

(১৯৩০-২০২০) এদিন পরলোকগমন করেন। প্রম্পটার থেকে অভিনেতা হয়ে ওঠা, সত্যজিৎ রায়ের ‘জয় বাবা ফেলুনাথ’-এ মছলিবাবার চরিত্রে অভিনয়কারী মনুর আসল নাম ছিল সৌরেন্দ্রমোহন। সত্যজিৎ রায়ের পরিচালনায় প্রথম অভিনয় অবশ্য ১৯৭১ সালে, ‘অশনি সঙ্কেত’ ছবিতে। আর, বড় পর্দায় যাত্রা শুরু হয়েছিল ১৯৫৮ সালে মৃণাল সেনের পরিচালনায় ‘নীল আকাশের নীচে’ ছবিতে। এর পর ‘উত্তরায়ণ’, ‘শেষ থেকে শুরু’, ‘নায়িকার ভূমিকায়’, ‘মর্জিনা আবদুল্লাহ’, ‘সোনার খাঁচা’-সহ বিভিন্ন ছবির অন্যতম অংশ হয়ে ওঠেন তিনি।

১৯৫৬

বি আর আম্বেদকর
(১৮৯১-১৯৫৬) এদিন প্রয়াত হন। মুম্বইয়ের শিবাজি পার্ক এবং নিকটবর্তী দাদরের চৈত্য ভূমির স্মারক মঞ্চ যেখানে, সেখানে ভারতীয় সংবিধানের মূল স্থপতি ড. আম্বেদকরকে সমাধিস্থ করা হয়েছিল। প্রতিবছর এই দিনে এখানে দলিত সম্প্রদায়ের মানুষ হাজারে হাজারে সমবেত হন।

২০১০

সিদ্ধার্থশঙ্কর রায়
(১৯২০-২০১০) এদিন প্রয়াত হন। দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের নাতি, খ্যাতনামা ব্যারিস্টার, পাঞ্জাবের প্রাক্তন রাজ্যপাল ও ভারতের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় রাষ্ট্রদূতের দায়িত্বও সামলেছেন। ১৯৭২ থেকে ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত তিনি ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী।

 

 

 

Previous articleমিগজাউমের দা.পটে বানভাসি চেন্নাই! নৌকা নামিয়ে উদ্ধার করতে হল আমির খানকে
Next articleগভীর নিম্নচাপে পরিণত ‘মিগজাউম’! ল.ণ্ডভণ্ড চেন্নাই, লাফিয়ে বাড়ছে মৃ.তের সংখ্যা