আইএনটিটিইউসি প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর মঞ্চ থেকে কেন্দ্রের জনবিরোধী সরকারকে উপড়ে ফেলার ডাক

শনিবার ছিল তৃণমূল কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি-এর প্রতিষ্ঠা দিবস। কলকাতার পাশাপাশি গোটা রাজ্যজুড়ে এই অনুষ্ঠান পালিত হয়। শিয়ালদহের অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন উত্তর কলকাতার সাংসদ তথা লোকসভায় তৃণমূলের দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, আইএনটিটিইউসি-এর রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়, দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ, শক্তিপদ মন্ডল, বিধায়ক নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়, স্বপন সমাদ্দার, অলোক দাস সহ বহু পুরপিতা ও সাংগঠনিক নেতৃত্ব। এদিনের মঞ্চ থেকে কেন্দ্রের জনবিরোধী সরকারকে উপড়ে ফেলার ডাক তৃণমূল নেতৃত্ব। তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে রক্তদানও হয়।

আইএনটিটিইউসি প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর মঞ্চ থেকে যা বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব—-

শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়

১৯৯৮ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূল গঠন করার পর আমরা যাঁরা তাঁর সঙ্গে প্রথম থেকে ছিলাম, তার মধ্যে ট্রেড ইউনিয়ন করার লোক সেভাবে ছিল না। আমি আগে থেকেই ট্রেড ইউনিয়ন করতাম। উনি তখন আমাকে দায়িত্ব দেন।

অন্যান্য দলের শ্রমিক সংগঠন থাকলেও আমাদের সংগঠনকে কোনও জায়গায় ঢুকতে দিত না। খুব কষ্ট করে সংগঠন তৈরি করেছিলাম। সংবিধান তৈরি করেছিলাম। আজকে সেই সংগঠন অনেক বড় হয়েছে। একটা সময় রাজ্যের সমস্ত ট্রেড ইউনিয়নের ধারাকে ধ্বংস করে দিয়েছিল সিপিএম। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, এটা হতে পারে না। শ্রমিকরা নিশ্চয় আন্দোলন করবে, কিন্তু সঙ্গে কাজটাও করতে হবে। সিপিএম শ্রমিকদের মধ্যে কাজ করার মানসিকতা নষ্ট করে দিয়েছিল। এখন আন্দোলনের পাশাপাশি কর্মসংস্কৃতি ফিরেছে। এখন সমস্যা হলেই ঋতব্রতরা ছুটে যাচ্ছেন, আলোচনা করেছেন, সমাধান করছেন। চা বাগান থেকে শুরু করে বিভিন্ন কারখানার গেটে পৌঁছে যাচ্ছেন। এটার মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে আসল ব্যাপার। শ্রমিকের অধিকারের মর্যাদা দেওয়ার পাশাপাশি রাজ্যের উন্নয়ন হচ্ছে।

শ্রমিকের দায়িত্ব এখন অনেক বেড়ে গিয়েছে। ট্রেড ইউনিয়ন মানে প্রতিদিন সংগ্রাম। নিজেদের অধিকার ছিনিয়ে আনতে হয়। সে জন্যই ট্রেড ইউনিয়ন সবচেয়ে সংঘবদ্ধ, শৃঙ্খলাপরায়ণ সংগঠন। সে জন্যই আমরা শ্রমিক আন্দোলনে সামিল হই।

বর্তমানে দেশের শাসন ক্ষমতায় যারা রয়েছে, তারা মানুষের সাংবিধানিক অধিকার কেড়ে নিচ্ছে। শ্রমিক বিরোধী আইন করছে কেন্দ্র। ছোট ছোট কলকরখানার অসংঘটিত শ্রমিকদের আন্দোলনের অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। ভারতবর্ষের বুকে সবচেয়ে বড় শত্রুর নাম বিজেপি। এই
স্বৈরাচারীদের বিরুদ্ধে একজোট হয়ে আমাদের লড়তে হবে।

একজন নির্বাচিত সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে অগণতান্ত্রিক ভাবে বহিস্কার করা হল। বিজেপি থাকলে আগামিদিনে আর কেউ আন্দোলন করতে পারবে না। দেশদ্রোহী আখ্যা দিয়ে সকলকে গ্রেফতার করবে।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়য়ের পাশাপাশি আমরা একজন যোগ্য নেতা পেয়েছি। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বয়স অনেক অল্প। আমাদের থেকে অনেক ছোট। পঞ্চায়েত ভোটের আগে নিজের দক্ষতা দেখিয়ে দিয়েছ অভিষেক।

কুণাল ঘোষ

কেন্দ্রের সরকার বাংলার উপর বৈষ্যম চালাচ্ছে। ইডি, সিবিআই দিয়ে হেনস্থা চলছে। মহুয়া মৈত্রকে সমস্তরকম নিয়ম-কানুন ভেঙে বহিষ্কার করেছে। সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে আমাদের সাংসদরা বিরোধিতা করেছে। কিন্তু বিজেপি কণ্ঠরোধ করেছে।

কেন্দ্রীয় সরকারের জনবিরোধী ও বাংলা বিরোধী নীতির বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই চলবে। প্রতিটা মানুষের জীবনে আর্থিক বিপর্যয় নামিয়ে আনছে কেন্দ্রীয় সরকার।

কৃষক বিরোধী আন্দোলনে দেশের কৃষকরা দিল্লির পাশে একবছর বসে আন্দোলন করেছেন। তাদের আন্দোলনে সমর্থন ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। আর সেই কারণেই কেন্দ্রের মোদি সরকার বাধ্য হয়েছিল সেই আইন প্রত্যাহার করতে। শ্রমিকদের জন্য যে আইন আনছে, আপনি প্রতিবাদ করার অধিকার হারাবেন। ভারতবর্ষের বুকে তৃণমূল কংগ্রেস একমাত্র দল, যারা বিজেপির চোখে চোখ রেখে কথা বলছে। কেন্দ্র থেকে নরেন্দ্র মোদিকে সরাতেই হবে।

তিন রাজ্যে যে নির্বাচন হয়ে গেল, সেখানে বিজেপি জেতেনি কংগ্রেস হেরেছে। ইন্ডিয়া জোটকে সামনে রেখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়য়ের পরামর্শ নিয়ে লড়াই করলে এই হাল হতো না। একা লড়তে গিয়ে কংগ্রেসের ভরাডুবি হয়েছে। কংগ্রেস ভুল শুধরে যদি ইন্ডিয়া জোটের অন্যতম মুখ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সামনে রেখে, তৃণমূলের ফর্মুলা মেনে চলে, তাহলে লোকসভা ভোটে এনডিএ, বিজেপি, মোদি, শাহের বিদায় নিশ্চিত। বাংলা দেখিয়ে দিয়েছে বিজেপিকে হারানো যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার বুকে যত প্রকল্প করেছেন, বিজেপি সেটা অন্য রাজ্যে করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। তাই দেশের মানুষ জেরক্স কপি কেন নেবে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত থেকে অরিজিনাল নেবে।

ইন্ডিয়া জোট ধর্মনিরপেক্ষ, প্রগতিশীল, গণতান্ত্রিক একটা জোট, সেখানে যোগ্যতম মুখ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলায় ৪২-এ ৪২ লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে আমাদের এগোতে হবে। শ্রমজীবি মানুষের পেটে হাত দিচ্ছে বিজেপি সরকার এটা প্রত্যেক পেশার মানুষকে বোঝাতে হবে।

সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়

আমি কখনও শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি হইনি। কিন্তু এর গুরুত্ব জানি। বিজেপি যেদিন তাদের বিরোধী দলনেতাকে দিয়ে বলিয়ে গা চিড়বিড় করায়, সেদিন কুণাল কী বলছে শুনে গা ঠাণ্ডা করি। ওকে বলেছি, মেদিনীপুরে গিয়ে একটু মাঝে মাঝে বলো।

ঋতব্রত ভাল সংগঠক। বিরাট সংগঠনে পরিণত হয়েছে। নানা সেক্টরে শ্রমিকদের সংগঠিত করেছে। কিন্তু যারা অসংগঠিত ক্ষেত্রে আছে তাদের আইএনটিটিইউসি’র ব‌্যানারে যদি নিয়ে আসা যায় তাহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত আরও শক্ত হবে।

স্বপন সমাদ্দার ভাল কাজ করছে। এই এলাকায় এত মানুষ আইএনটিটিইউসি’র সঙ্গে যুক্ত জানতাম না। এখানকার কাউন্সিলররা মনপ্রাণ দিয়ে ভালবাসে।

যে শিল্প সংস্থাগুলো আছে তাদের কমিটির আমি একজন সদস‌্য। প্রতিদিন কিছু না কিছু সরকারি সংস্থা বিক্রি হয়ে যাচ্ছে বেসরকারি সংস্থার কাছে। এই ইস্যু নিয়েও তৃণমূল প্রতিবাদ কর্মসূচি করেছে। আদানিরা বিমানবন্দর কিনে নিচ্ছে। রেল কিনে নিতে চাইছে ধীরে ধীরে। কৃষিজ উৎপাদিত বস্তুগুলোকে নিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে। আমরা তার প্রতিবাদ করব।

শিল্পাঞ্চলে এই সংগঠন প্রতিষ্ঠিত। কলকাতায় এদের আরও বেশি প্রতিষ্ঠিত হতে হবে। শ্রমিকদেরও প্রতিবাদ করতে হবে গ্রামের মানুষগুলোর জন‌্য। তাদের প্রাপ‌্য টাকা আটকে দেওয়া হচ্ছে কেন? আমি এবারও সংসদে বলেছি যাদের নামে অভিযোগ আছে, সেখানে টাকা আটকে দাও, কিন্তু বাংলায় ৩৮ হাজার গ্রাম আছে। সব টাকা কেন আটকাচ্ছো? বিজেপি তৃণমূলের বিরুদ্ধে নয়, মমতার বিরুদ্ধে নয়, বিজেপি আসলে বাংলাকে ভাতে মারতে চায়। এলাকায় এলাকায় বলুন যে, বাংলা বিরোধী বিজেপি। অর্থনৈতিক দিক থেকে বাংলাকে স্তব্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। প্রতিবাদ করতে হবে।

আমি গিরিরাজ সিংয়ের কাছে এই প্রশ্ন তুলি। সেসবের মধ্যে না গিয়ে তারা আমাদের মুখ‌্যমন্ত্রীর নামে অশ্লীল কথা বলল। সে আমাকে বলল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মুখ‌্যমন্ত্রীর একটা বৈঠকের ব‌্যবস্থা করলে ভাল হয়। আমি বললাম বাইরে সে কথা। অমনি সে পাল্টে গেল। কলকাতা থেকে বিজেপির নেতারা তাকে ধমকে দিয়েছে।

বাংলা থেকে মানুষের দাবি নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লি যাবেন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবেন। দরকারে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের সামনে ধরনা দেবেন।

কুণাল বলছিল লালকেল্লা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেশের পতাকা উত্তোলন করবেন। আমি এর মধ্যে বিন্দুমাত্র সন্দেহ করি না। আমাদের ইন্ডিয়া জোট হয়েছে। সেই জোট থাকবে কি, থাকবে না সে কথা মাঝেমাঝে আসে। কিন্তু মহুয়াকে নিয়ে যখন কাল এত ঘটনা ঘটল, তখন লোকসভার পার্টির তরফ থেকে বিরোধী দলগুলোর কাছে আবেদন করেছিলাম। তারা সাড়া দেয়। আমরা ওয়াকআউট করার পর সোনিয়া গান্ধীকে বলেছিলাম আমাদের সঙ্গে আসতে। আমরা গান্ধীমূর্তিতে অবস্থান করি। বাকিদেরও বলি। তারা সদলবলে আসে। এইভাবে সবাই যদি আসে তবে আমাদের ইন্ডিয়া জোট সফল হবে।

আমি হতাশ নই একটা বৈঠক হঠাৎ করে ডেকে দেওয়ায় বাস্তবে সেটা সম্ভব না হলেও তার ৪ দিনের মধ্যে তৃণমূলের ইসুতে বাকি বিরোধীরা এক জায়গায় আসতে সক্ষম হয়েছে। এটা কম কথা নয়। এটাকে ধরে রাখতে হবে।

মুখ‌্যমন্ত্রী কার্শিয়ং থেকে আমায় প্রত্যেকদিন বুঝিয়ে বুঝিয়ে বলতেন কী কী করতে হবে। সেখান থেকে দিল্লির বুকে একটা লড়াইকে নিয়ন্ত্রণ করে সঠিক দিকনির্দেশ করা যায়, তেমনই ১৫ আগস্ট লালকেল্লা থেকে দেশকে নেতৃত্বও তিনি দিতে পারেন।

কুণালের কাছে শিখেছি, মমতার নেতৃত্বে অভিষেকের সেনাপতিত্বে বলতে হয়। দলের কর্মীরাও উজ্জীবীত হয় এভাবে একটার পর একটা নাম পরপর এলে। সিপিএমকে যেমন পশ্চিম বাংলায় শূন‌্য করা গেছে বিধানসভা আর লোকসভায়, বিজেপিকেও শূন‌্য করা যাবে। আমরা সেটা করতে পারব, আইএনটিটিইউসি’র প্রতিষ্ঠাদিবসের মঞ্চ থেকে সেই বার্তা নেত্রীকে দিন।

সিপিএম যে শূন‌্য হয়ে গেছে, সেটা বিজেপি বিশ্বাস করতে পারে না। আমায় কথা প্রসঙ্গে স্পিকার বলছিলেন। এর কারণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সমস্ত জাতপাতের মানুষ যেভাবে গ্রহণ করেছিল তার প্রভাব। আপনি স্পিকার। কিন্তু বলে যাই, বিজেপিকে আমরা শূন‌্য করে দিতে পারি। মুখে অশ্রাব‌্য ভাষা। বলছেন ঠুমকে নাচ। লজ্জা করে না? কী সংস্কৃতি প্রচার করতে চাইছ?

আমাদের কর্মীদের বলব নির্বাচনে সবাইকে জোটবদ্ধ হতে হবে। নিজেদের মধ্যে বিবাদ মিটিয়ে বিজেপিকে পরাজিত করতে ঐক‌্যবদ্ধ হতে হবে

ইন্ডিয়া নেতৃত্বকে বলব, যখনই কোনও সিদ্ধান্ত নিন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরিয়ে রেখে সেটা করতে গেলে কোনও আলোচনাই ফলপ্রসু হবে না। ইন্ডিয়া জোট সঠিক দিশা পাবে না।

বিজেপি আবার ক্ষমতায় এলে একদলীয় শাসন ব‌্যবস্থা কায়েম করবে। দেশের সংস্কৃতিকে নির্মুল করে দেবে। সংসদে গণতান্ত্রিক ব‌্যবস্থাকে টুঁটি চেপে মারবে। বিরোধীদের কাউকে মাথা তুলে দাঁড়াতে দেবে না।

ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়

সুদীপদা, লোকসভায় বলেছিলেন আমাদের পার্টির তরফ থেকে যাকে পার্টি মনে করবে বলতে দিতে হবে। কিন্তু আমাদের সংসদে গণতান্ত্রিক চেহারা ধংস করে ফ‌্যাসিবাদের সমস্ত চেহারা প্রকট হচ্ছে। শুধুমাত্র সংখ‌্যার জোরে ২৯টা শ্রম আইন বাতিল করে ৪টে সর্বনাশা লেবার কোডকে আইনে পরিণত করেছে। ৮ ঘণ্টার বদলে ১২ ঘণ্টা কাজ করতে হবে। তার বেশি কাজ করলে মালিক ওভারটাইম দেবে। ৩০০-র বেশি শ্রমিক কর্মচারী নেই, সেখানে তাদের বার্গেনিং অধিকার থাকবে না। লেবার কোর্টেও আবেদন করার সুযোগ থাকবে না। এই ধরনের কালা কানুন পাস করিয়েছে।

তিরুপতির শ্রম সম্মেলনে কেন্দ্র সরকার বলল এই কানুন সমস্ত রাজ্যে বলবৎ করো। মুখ‌্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে তিরুপতির শ্রম সম্মেলনে শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক বলে দেন যে, কোথায় কী হচ্ছে জানি না। তবে বাংলায় যতক্ষণ তৃণমূলের সরকার থাকবে শ্রমিকের ৮ ঘণ্টা কাজের অধিকার এক মিনিটও কেউ বাড়াতে পারবে না। এই সরকার তা বাড়াতে দেবে না। কেন্দ্র যে আইন তৈরি করেছে তা এই রাজ্যে বলবৎ নয়।

স্বপনদাকে ধন‌্যবাদ, অ‌্যাপোলো হাসপাতালে কর্মীদের সঙ্গে চার্টার্ড অফ ডিমান্ড হয়েছে, তা মডেল হয়ে গেছে গোটা রাজ্যে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলে দিয়েছেন শ্রমিকের অধিকার খর্ব করা যাবে না। রাজ্যে প্রায় আড়াই কোটি অসংগঠিত শ্রমিক আছেন। ৯৩ শতাংশই অসংগঠিত শ্রমিক। পরিবহণ শিল্প, নির্মাণ শিল্পের কর্মীদের জন‌্য আলাদা বোর্ড রয়েছে। প্রয়োজনমতো এদের সুবিধা পৌঁছে দেওয়া হয়।

শিল্পবান্ধব সরকার। প্রয়োজনে ১০-২০ বার আলোচনা করা যেতে পারে। কিন্তু কোনওভাবে শ্রম-সেকেন্ড নষ্ট করা যাবে না। ৩ কোটি শ্রমজীবী মানুষের জন‌্য শপথ নিতে হবে। হলদিয়া শিল্প সংগঠনের শ্রমিক হোক, চা-বাগানের হোক, বিড়ি শ্রমিক হোক, সকলের জন‌্য অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের
নির্দেশে সংগঠন তৈরি করে কাজ করতে হবে।

যারা সিআইটিইউ করেন, বিজেপি-সহ আপনাদের কারও কথা বলার অধিকার নেই। নতুন যে শ্রম কোড শুরু হয়েছে তা আমাদের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার আর স্ট‌্যালিনের সরকার সেই কানুন মানেননি। বাকিদের মতো কেরলের সরকারও এই আইন বলবৎ করেছে। তাই আইএনটিটিইউসি ছাড়া এই নিয়ে কথা বলার অধিকার কারও নেই। তাই দেশ বাঁচানোর লক্ষ্যে শপথ নিতে হবে শ্রমিকদেরও।

Previous articleকংগ্রেস সাংসদের বাড়ি টাকার পাহাড়, গুনতে মোতায়েন ৫০ ব্যাঙ্ককর্মী!
Next articleমহুয়ার পাশে দাঁড়ানোর শাস্তি? সাংসদ দানিশ আলিকে সাসপেন্ড মায়াবতীর