মৃ.ত্যুর পরেও শ্যামসুন্দর বেঁচে রইলেন কলকাতা-গুরুগ্রামে

শুক্রবারই শহর কলকাতা দেখেছিল মরণোত্তর অঙ্গদানের এক নজির যেখানে তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবির নিজের বোনের ব্রেন ডেথের (brain death) পর উদ্যোগী হয়ে তাঁর অঙ্গদানের ব্যবস্থা করেছিলেন। শনিবারও একইভাবে মরণোত্তর অঙ্গদানের সিদ্ধান্ত নিল এক প্যারা টিচারের পরিবার। এসএসকেএম হাসপাতালে শিক্ষকের শরীরের চারটি অঙ্গের পাশাপাশি পরিবারের অনুমতিতে নেওয়া হয় তাঁর ত্বকও।

গত বুধবার স্কুল থেকে বাড়ি যাওয়ার পথে বাইকের ধাক্কায় গুরুতর আহত হন শ্যামসুন্দর দাস(৩৮)। প্রথমে তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় সেই রাতেই এস এস কে এম হাসপাতালের (SSKM Hospital) ট্রমা কেয়ারে ভর্তি করা হয়। বসে মেডিক্যাল বোর্ড। কিন্তু চিকিৎসকরদের সব চেষ্টা করে শুক্রবার রাতে তাঁকে ব্রেন ডেথ ঘোষণা করা হয়।

এরপরই এসএসকেএম কর্তৃপক্ষ শ্যামসুন্দরের দুটি কিডনি, লিভার, দুটি চোখ দানের অবেদন জানায় পরিবারের কাছে। পরিবারের পক্ষ থেকে দ্রুত সেই আবেদনে সাড়াও দেওয়া হয়। তারপরই দ্রুত শুরু হয় অঙ্গ প্রতিস্থাপনের প্রক্রিয়া। লিভার প্রতিস্থাপন করা হয় এসএসকেএম হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন এক ব্যক্তির দেহে। একটি কিডনি পাঠানো হয় শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। অপর কিডনিটি পিজি হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন এক রোগীর দেহে প্রতিস্থাপিত হয়। ফুসফুস পাঠানো হয়েছ গুরুগ্রামের মেদনতা হাসপাতালে। শ্যাম সুন্দরের স্ত্রীর অনুমতিতে পিজি হাসপাতালে তাঁর ত্বক সংগ্রহ করা হয়েছে। প্ৰতিস্থাপন করতে মাঝরাত হয়ে যায়। হাসাপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন অঙ্গের গ্রহীতারা সকলেই ভালো আছেন।

আরও পড়ুন- সাধ্বীর পর এবার মীনাক্ষির ভোলবদল! ‘মি.থ্যাচার’ না সমন্বয়ের অভাব কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের?

Previous articleসাধ্বীর পর এবার মীনাক্ষির ভোলবদল! ‘মি.থ্যাচার’ না সমন্বয়ের অভাব কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের?
Next articleপাকিস্তানের নেতৃত্ব ছেড়ে কি ঠিক করেছেন বাবর? মুখ খুললেন তাঁরই এক সতীর্থ