শনিবার থেকেই মহুয়া মৈত্রর (Mahua Moitra) সাংসদ পদ খারিজের প্রতিবাদে উত্তাল হল নদিয়া। পথে নামল তৃণমূল কংগ্রেস। কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের একাধিক জায়গায় মিছিল, পথসভা ও বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল ছাত্র-যুব থেকে শীর্ষ নেতৃত্ব। জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি সংসদে কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে সরব হওয়ার জন্য পরিকল্পনা মাফিক হেনস্থা করা হল সাংসদকে।

কৃষ্ণনগরে প্রতিবাদ মিছিল করে ছাত্র-যুবরা। টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখানো হয়। রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের একটি মিছিলও কৃষ্ণনগর পোস্ট অফিস মোড়ে আসে। সেখানে পথসভায় সংগঠনের জেলা সভাপতি অতনু রায় দাবি করেন, মহুয়া মৈত্রকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হোক। একইসঙ্গে সাংসদ পদ খারিজের বিষয়টি বাতিল করার দাবি জানানো হয়। অন্যদিকে তেহট্ট-১ ব্লকে বিরাট মিছিল করা হয় জেলা তৃণমূলের পক্ষ থেকে। মিছিল থেকে বিধায়ক তাপস সাহা বলেন, গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে মোদি সরকার। ক্ষমতা দেখিয়ে অন্যায়ভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।
চাপড়ায় ব্লক তৃণমূলের পক্ষ থেকে যে মিছিল বের হয় তাতে নেতৃত্ব দেন ব্লক সভাপতি সুখদেব ব্রহ্ম। বিজেপির সামনে কোনও ইস্যু নেই, তাই বিজেপির অন্যায়ের বিরুদ্ধে যারা মুখ খুলছে তাদের বিরুদ্ধে এজেন্সিকে দিয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছে, দাবি করেন ব্রহ্ম। এই ইস্যুতে মিছিল বের হয় নাকাশিপাড়াতেও। ব্লক সভাপতি কণিষ্ক চট্টোপাধ্যায় প্রায় একই সুরে বলেন, চিত্রনাট্য আগেই সাজানো হয়েছিল। লগ ইন পাসওয়ার্ড বিষয়টি আসলে বাহানা করা হয়েছিল। সাংসদ বিজেপির বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ায় এই পদক্ষেপ কেন্দ্রের। শনিবার কৃষ্ণনগর-১ এবং তেহট্ট-২ ব্লকেও প্রতিবাদ মিছিল বের করে তৃণমূল।

আরও পড়ুন- ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার: সোমবার রায় দেবে সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চ
