জাতীয় সঙ্গীত অবমাননা মামলায় হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে রাজ্য সরকার

কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে নবান্ন।জাতীয় সঙ্গীত অবমাননার মামলা আদালতে উঠতেই অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত।

বিধানসভা চত্বরে কয়কদিন আগে ধরনা শেষে জাতীয় সঙ্গীত গাইতে শুরু করেছিলেন শাসক দলের বিধায়করা। বিরোধী শিবির তখনও সোচ্চার ছিল স্লোগানে। এমন অভিযোগ তুলেই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য সরকার। অভিযোগ ছিল বিজেপি বিধায়কদের বিরুদ্ধে। সব শুনে আদালত বলেছিল, এই অভিযোগে বিজেপি বিধায়কদের গ্রেফতার করা যাবে না। তবে তাতেও মিলল না স্বস্তি। রক্ষাকবচের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে এবার ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হল রাজ্য। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে নবান্ন।জাতীয় সঙ্গীত অবমাননার মামলা আদালতে উঠতেই অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত।

ঘটনাটি ঘটে গত ২৯ নভেম্বর। ওই দিন বিধানসভার বাইরে জাতীয় সঙ্গীত চলাকালীন বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিজেপি বিধায়করা। জাতীয় সঙ্গীতের সময় স্লোগান দিয়ে অবমাননা করা হয়েছে বলে অভিযোগ তোলে তৃণমূল। কেন হঠাৎ জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হল? সেই প্রশ্নও তুলেছিল হাইকোর্ট। পরে ১০ বিধায়ককে রক্ষাকবচ দেওয়া হয়। পাশাপাশি, তদন্ত প্রক্রিয়ার ওপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত।তার পর্যবেক্ষণ ছিল, যেখানে সেখানে জাতীয় সঙ্গীত গাইতে পারেন না। গান গাওয়ার পরিবেশ যদি সঠিক না হয়। স্লোগান আর চেঁচামেচির মধ্যে গান হলে, কীভাবে আশা করেন বাকিরা যারা শুনছে?

কিন্তু সেই মামলায় হাল ছাড়তে নারাজ রাজ্য সরকার। এবার ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছে তারা। প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। মামলা দায়ের করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।সময়ই বলবে এই মামলার গতিপ্রকৃতি।

 

Previous articleশান্তির পক্ষে সওয়াল! রাষ্ট্রসংঘে পাশ গাজায় যু.দ্ধবিরতির প্রস্তাব, ভারত পাশে দাঁড়ালেও বি.রোধিতা আমেরিকার
Next articleবর্ধমান স্টেশনে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল জলের ট্যাঙ্ক! মৃত ৩, জখম কমপক্ষে ২৭