আজকের দিনে কী কী ঘটেছিল? চলুন দেখে নেওয়া যাক

১৯১২
হেমাঙ্গ বিশ্বাস
(১৯১২-১৯৮৭) এদিন অসমের শ্রীহট্ট জেলার হবিগঞ্জের মিরাশি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা হরকুমার বিশ্বাস ও মাতা সরোজিনী বিশ্বাস। মাঠে-প্রান্তরের শ্রমজীবী মানুষের মাঝেই বড় হয়ে উঠেছিলেন। মাটির কাছাকাছি থাকা লোকগায়ক মানুষটি গণসংগীতে দিয়েছিলেন এক নতুন রূপ। রসদ সংগ্রহ করেছিলেন নিজের দেশের মাটি থেকে। শুধু সংগীতের ক্ষেত্রেই নয়, আসলে বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী ছিলেন তিনি। গান-কবিতা লেখার পাশাপাশি দারুণ আবৃত্তি করতেন। ছবি আঁকার হাত যেমন ভাল, তেমনই ঘর সাজানোর জিনিস তৈরিতেও ছিলেন এক ওস্তাদ কারিগর। এক কথায় লোকজীবনের সঙ্গে যা কিছু জড়িত তার প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই ছিল তাঁর অবাধ বিচরণ। তাঁর ‘তোমার কাস্তেটারে দিও শান’, ‘কিসান ভাই, তোর সোনার ধানে বর্গী নামে’ প্রভৃতি গান বাংলা ও অসমে বিপুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিল। ভারতীয় গণনাট্য সংঘের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। ‘কল্লোল’, ‘তীর’, ‘লাল লণ্ঠন’ প্রভৃতি নাটকে সংগীত পরিচালনা করেছেন। ‘লাল লণ্ঠন’ নাটকের গানে বিভিন্ন চিনা সুর ব্যবহার করেছিলেন। বাংলায় অনুবাদও করেন চিনা ভাষার অনেক গান। ‘হেমাঙ্গ’ শব্দের চিনা অনুবাদ করেন ‘চিন শিন’। অসমিয়াদের প্রতি ভালবাসা থেকে বাড়ির নাম রাখেন ‘জিরণি’ অর্থাৎ বিশ্রাম।

১৯২৪
রাজ কাপুর (১৯২৪-১৯৮৮) এদিন অবিভক্ত ভারতের পেশোয়ারে জন্মগ্রহণ করেন। বলিউডের শোম্যান হিসেবে পরিচিত ছিলেন এই কিংবদন্তি অভিনেতা। কাপুরের পরিবারকে দেশে-বিদেশে সম্মান করা হত তাঁর বাবা পৃথ্বীরাজ কাপুরের সময় থেকেই৷ শ্রী ৪২০, মেরা নাম জোকার, আনাড়ি, ছলিয়া, আওয়ারা, ধরম করম ইত্যাদি ছবির জন্যই রাজ কাপুর অমর হয়ে থাকবেন৷ তাঁর পাঁচ সন্তান ঋষি কাপুর, রণধীর কাপুর, রাজীব কাপুর, রিমা কাপুর, ঋতু নন্দা৷ এঁরাও পরবর্তীকালে নিজ নিজ ক্ষেত্রে সুপ্রতিষ্ঠিত হয়েছিলেন৷

১৭৯৯
জর্জ ওয়াশিংটন
(১৭৩২-১৭৯৯) এদিন প্রয়াত হন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম রাষ্ট্রপতি। প্রেসিডেন্ট হওয়ার কয়েক বছর আগেই শেষ হয়ে যেতে পারত জর্জ ওয়াশিংটনের জীবন। সেবার এক ষড়যন্ত্রীর ভুলে বেঁচে যান ওয়াশিংটন। এদিন গলার প্রদাহের কারণে তাঁর মৃত্যু হয়। মৃত্যুর আগে চিকিৎসারত ডাঃ ক্রেককে বলেন, আমি সহজে মরব না, তবে মরতে আমি ভয় পাই না। তাঁর শেষ কথা ছিল, “ইট ইজ ওয়েল” অর্থাৎ ‘এই ভাল’।

১৯৭০
কুমুদরঞ্জন মল্লিক
(১৮৮৩-১৯৭০) এদিন পরলোকগমন করেন। প্রসিদ্ধ পল্লিপ্রেমী কবি ও শিক্ষাবিদ। রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন, কুমুদরঞ্জনের কবিতা পড়লে বাংলার গ্রামের তুলসীমঞ্চ, সন্ধ্যাপ্রদীপ, মঙ্গলশঙ্খের কথা মনে পড়ে। পেয়েছেন বঙ্কিমচন্দ্র সুবর্ণপদক, জগত্তারিণী স্বর্ণপদক এবং পদ্মশ্রী। তাঁর লেখা উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থগুলি হল— শতদল, বনতুলসী, উজানী, একতারা, বীথি, চুন ও কালি, বীণা, বনমল্লিকা, কাব্যনাট্য দ্বারাবত, রজনীগন্ধা, নূপুর, অজয়, তূণীর, স্বর্ণসন্ধ্যা ইত্যাদি। জীবদ্দশায় অপ্রকাশিত কাব্যগ্রন্থটি হল ‘গরলের নৈবেদ্য’। এটি সোমনাথ মন্দির সম্পর্কিত ১০৮টি কবিতার।

১৫০৩

নস্ত্রাদামুস (১৫০৩-১৫৬৬) এদিন (মতান্তরে ২১ ডিসেম্বর) জন্মগ্রহণ করেন। ফরাসি ভবিষ্যদ্বক্তা, জ্যোতিষী, লেখক এবং ঔষধ প্রস্তুতকারক ও চিকিৎসা সামগ্রী বিক্রেতা। তিনি তাঁর লিখিত ভবিষ্যদ্বাণীসমূহ প্রকাশ করে বিশ্বব্যাপী বিখ্যাত হয়ে ওঠেন। তাঁর লেখা লেস প্রোফেসিস গ্রন্থে ৬,৩৩৮টি ভবিষ্যদ্বাণী করে গিয়েছেন, যার মধ্যে অনেকগুলিই সত্য প্রমাণিত হয়েছে। এই গ্রন্থের প্রথম সংস্করণ প্রকাশ হয়েছিল ১৫৫৫ সালে।

 

 

 

 

Previous articleএকনজরে আজকের পেট্রোল-ডিজেলের দাম
Next articleলাগাতার তুষারপাতের জের! সিকিমে বেড়াতে গিয়ে বি.পাকে পর্যটকরা, জোরকদমে চলছে উদ্ধারকাজ