বাড়ছে ভ্রূণহত্যা! কর্ণাটকে উদ্বেগজনকভাবে কমলো শিশুকন্যার হার

আইনত নিষিদ্ধ হলেও অসাধু নার্সিংহোমগুলির দৌলতে লুকিয়ে চুরিয়ে চলছে কন্যাভ্রুণ হত্যা। এই ঘটনা যে কী ব্যাপকভাবে বেড়ে উঠেছে তাঁর প্রমাণ মিলল চলতি বছরের সমীক্ষায়। সরকারী রেকর্ডের উদ্ধৃতি দিয়ে, কর্ণাটকের স্বাস্থ্যমন্ত্রী দীনেশ গুন্ডু রাও জানিয়েছেন রাজ্যে লিঙ্গ অনুপাত উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। গত বছরে প্রতি এক হাজার ছেলের তুলনায় মেয়ের সংখ্যা ছিল ৯৪৭ টি। চলতি বছরে সেই সংখ্যাটা নেমে এসেছে ৯২৯ টিতে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনায় রীতিমতো উদ্বিগ্ন সরকার। দ্রুত এই ধরণের অবৈধ কাজকর্মে রাশ টানতে তৎপর হল কর্ণাটক সরকার।

কর্ণাটকের স্বাস্থ্যমন্ত্রী দীনেশ গুন্ডু রাও এই প্রসঙ্গে বলেন, ডাক্তার, ল্যাব টেকনিশিয়ান, নার্স এবং হাসপাতাল ব্যবস্থাপনার সাথে জড়িত সংগঠিত র‌্যাকেট চলছে এই ধরনের অসাধু কাজ চালাচ্ছে। কন্যা ভ্রূণ হত্যার ক্রমবর্ধমান ঘটনা যথেষ্ট উদ্বেগের। এই সমস্যা মোকাবেলা করার জন্য, কর্ণাটক সরকার আইন সংশোধন, একটি নতুন নীতি প্রণয়ন এবং একটি রাজ্য-স্তরের টাস্ক ফোর্স প্রতিষ্ঠা সহ একাধিক পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “আমরা বর্তমান প্রি-কনসেপশন এবং প্রি-ন্যাটাল ডায়াগনস্টিক টেকনিকস (পিসিপিএনডিটি) আইন সংশোধন করতে যাচ্ছি যাতে কন্যা ভ্রূণহত্যার বিরুদ্ধে আরও কঠোর পদক্ষেপ করা যায়। বিষয়টি মোকাবেলায় আমরা পুলিশ বিভাগকেও অন্তর্ভুক্ত করব। কিছু ক্ষেত্রে, আমরা দেখেছি যে ভ্রূণহত্যা এমন ডাক্তারদের দ্বারা পরিচালিত হয় যারা প্রত্যয়িত নয় এবং আমরা এটি প্রতিরোধ করার জন্য আমাদের সার্বিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবো।” আইন ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী এইচ কে পাটিল বলেছেন যে অবৈধ গর্ভপাত নিষিদ্ধ করার প্রস্তাবিত সংশোধনী পরবর্তী আইনসভা অধিবেশনে চালু করা হবে।

Previous articleউচ্চমাধ্যমিকের সিলেবাস বদলাতে সিবিএসই শিক্ষকদের পরামর্শ নেবে সংসদ, জানুয়ারিতেই খসড়া পেশ
Next articleফের রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত, রাজ্যপালের স্বাক্ষরের পরেই নাম ঘোষণা