Tuesday, November 25, 2025

“রাজনীতি না করে সমস্যা সমাধানে জোর দেওয়া উচিত”: সংসদে নিরাপত্তা লঙ্ঘ.নকাণ্ডে মৌনতা ভা.ঙলেন প্রধানমন্ত্রী

Date:

Share post:

সংসদ ভবনে নিরাপত্তা লঙ্ঘন কাণ্ডে এবার মৌনতা ভাঙলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। একটি সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া বিবৃতিতে সম্প্রতি একথাই জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। মোদির মতে বিষয়টি অত্যন্ত গুরুতর। তবে এটা নিয়ে রাজনীতি না করে সমস্যা সমাধানে জোর দেওয়া উচিত বলেই সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলির কাছে আর্জি প্রধানমন্ত্রীর। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর মতে, বিষয়টি যথেষ্ট গুরুতর। আর সেকারণেই বিষয়টি নিয়ে রাজনীতি না করার আর্জি জানিয়েছেন মোদি। তিনি জানিয়েছেন, বিষয়টি জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়। ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তও চান প্রধানমন্ত্রী। তবে মোদির এমন মন্তব্যের সমালোচনায় সরব বিরোধীরা। বিরোধীদের অভিযোগ, বিজেপি সাংসদের এমন কাণ্ডে মুখ পুড়েছে মোদির। আর সেকারণে বিরোধীদের লাগাতার চাপে অবশেষে মুখ খুলতে বাধ্য হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

 

প্রধানমন্ত্রী আরও জানান, আমাদের সকলের এই ঘটনার গুরুত্ব বোঝা উচিত। ঘটনার গভীরে গিয়ে সকলে মিলে একটি সমাধান খুঁজে বের করা উচিত যাতে বিষয়টির পুনরাবৃত্তি না হয়। ঘটনার লোকসভার স্পিকার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। আমাদের সকলের বিশ্বাস খুব শীঘ্রই ষড়যন্ত্র ফাঁস হবে। মোদির আরও সংযোজন, এই ঘটনার পিছনে অভিযুক্তদের উদ্দেশ্য কী ছিল ও এই ঘটনার পিছনে কাদের মাথা কাজ করছে তা জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সংসদে জঙ্গি হামলার বার্ষিকীতে ঘটা এই নিরাপত্তা গাফলতি নিয়ে বিরোধী দলগুলি ক্রমাগত আক্রমণ করছে সরকারকে। গত দুই দিন ধরে সংসদের কার্যক্রম চলতে দেওয়া হচ্ছে না। তাঁদের দাবি, প্রথমে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে এই বিষয়ে উভয় কক্ষে বিবৃতি দিতে হবে। তারপর সংসদের নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা করা উচিত। তবে শনিবারই রাহুল গান্ধী জানান, সত্যিই সংসদের নিরাপত্তা বিচ্যুতি হয়েছে। কিন্তু প্রশ্নটা হল, কেন এই হামলা হল? আসল সমস্যা হল বেকারত্ব। সেটার জন্য দায়ী মোদিজির পলিসি। ভারতের যুবসমাজ কাজ পাচ্ছে না। ওয়ানড়ের সাংসদের সাফ বক্তব্য, মোদির ভ্রান্ত নীতির জন্য দেশে বেকারত্ব এবং মুদ্রাস্ফীতি বাড়ছে। আর পরোক্ষে সেটাই সংসদে গ্যাস হামলার জন্য দায়ী।

উল্লেখ্য, গত ১৩ ডিসেম্বর অধিবেশন চলাকালীন সংসদে ঢুকে পড়েন দু’জন। ভিজিটরস পাস থেকে ঢোকে ওই দুই যুবক। ভিজিটরস গ্যালারি থেকে লাফ দিয়ে সোজা লোকসভায় পৌঁছে যায়। এরপর জুতোর মধ্যে লুকিয়ে রাখা স্মোক ক্যান ছোঁড়ে। যার ফলে হলুদ গ্যাসে ঢেকে যায় সংসদ কক্ষ। ওই দুই যুবকের একজন লখনউয়ের বাসিন্দা সাগর শর্মা ও অপরজন মহীশূরের বাসিন্দা মনোরঞ্জন ডি। সংসদে ভিতরে যখন এসব কাণ্ড ঘটে ঠিক তখনই সংসদের বাইরে তাদের সঙ্গীরা বিশৃঙ্খলা তৈরি করে। নীলম ও অমল শিন্ডে নামে দুই ব্য়ক্তি গেটের বাইরে পরিবহন ভবনের দিকে স্লোগান দেয়। পুলিশ দু’জনকে দ্রুত হেফাজতে নেয়। অন্যদিকে, সংসদের কার্যক্রমে বাধা দেওয়ার জন্য ১৪ জন সাংসদকে গোটা অধিবেশন থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এদিকে সংসদ হামলার মূলচক্রী স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সাধারণ সম্পাদক।

 

 

 

spot_img

Related articles

মন্দিরবাজারের সভা থেকে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ তৃণমূলের, শুভেন্দুকে কটাক্ষ সুদীপের

দক্ষিণ ২৪ পরগনার মন্দিরবাজারে তৃণমূল কংগ্রেসের সভায় রবিবার জনস্রোত চোখে পড়ার মতো। সভার নেতৃত্বে ছিলেন তৃণমূলের মুখপাত্র সুদীপ...

ট্রেনে উঠে গন্তব্য বদল! রাজ্যপালের গতি প্রকৃতিতে ফের প্রশ্ন

ট্রেনে আচমকা আলাপেই নিজের গন্তব্য বদলে ফেললেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। মুর্শিদাবাদ সফরে নির্ধারিত পথ বদলে সোজা...

কমিশনে যাবে ১০ প্রতিনিধিই: ফের চিঠিতে জানালেন ডেরেক

নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগে আজও পর্যন্ত কোনও পদক্ষেপই নেয়নি কমিশন। তাই এবার দিল্লিতেই কমিশনের দফতরে গিয়ে তৃণমূল...

এসআইআর-আতঙ্কে মৃত্যু হল পঞ্চায়েত সদস্যার! অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে বিএলও

এসআইআরের কাজের চাপ ও আতঙ্ক ঘিরে ফের মৃত্যু এবং অসুস্থতার ঘটনা। সোমবার রাতে পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথির দেশপ্রাণ ব্লকে...