আজকের দিনে কী কী ঘটেছিল? চলুন দেখে নেওয়া যাক

২০০৬
বিকাশ ভট্টাচার্য
(১৯৪০-২০০৬) এদিন প্রয়াত হন। ষাটের দশকের আশপাশে বাংলার শিল্পকলায় যে নতুন জোয়ার এসেছিল, সেই প্রবহমান তরঙ্গমালার একটি নাম বিকাশ ভট্টাচার্য। আধুনিক ছবির ভুবনকে নব উদ্যোগে সাধারণের সামনে মেলে ধরার ক্ষেত্রে তিনি ছিলেন অন্যতম কান্ডারি। বিকাশ ভট্টাচার্যের ছবির অন্যতম বৈশিষ্ট্য, বিষয়কে ছাপিয়ে দর্শকের মনের গভীরে প্রবেশ করা। চোখের দেখা আর মনের দেখাকে মিলেমিশে একাকার করে দেওয়া। কলকাতার গ্যালারিতে একদা প্রদর্শিত হয়েছিল লাইফ-সাইজের সেই ছবি। সাদা-লাল-পেড়ে শাড়ির ঘোমটায় মাঝবয়সি মহিলা বসেছেন পুজোর আসরে। রুপোলি ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন তাঁর মুখমণ্ডলের কেবল চোখ দুটো জ্বলজ্বল করছে। ছবিটিকে রাখা হয়েছে প্রায় মেঝের সঙ্গে, সামনে আলপনায় অলংকৃত মেঝেতে রাখা সিঁদুর মাখা ঘট, ফুল, তিরকাঠি ইত্যাদি পুজোর সরঞ্জাম— ছবি ও প্রকৃত উপকরণের চমৎকার সজ্জা। আধুনিকরা সেদিন যখন ইনস্টলেশনের নেশায় মগ্ন ছিলেন, তখন এই ছবি, বাঙালিয়ানায় অবগাহিত চিত্রীর এই অভিনব শিল্পচিন্তা শিল্পবোদ্ধাদের চমৎকৃত করেছিল। ১৯৮৮-তে পদ্মশ্রী পেয়েছিলেন, ২০০৩-এ ললিতকলা অ্যাকাডেমির ফেলোশিপ পান।

১৯৭৩

মুজফফর আহমদ
(১৮৮৯-১৯৭৩) এদিন কলকাতার কিম্বার নার্সিংহোমে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের সঙ্গে গভীর সখ্য ছিল। ১৯১৯-’২০ সালে সাহিত্য ও রাজনীতি মিলিয়ে তিনি সর্বক্ষণের রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে যে জীবন শুরু করেছেন, একটানা ৫৩ বছর রাজনৈতিক জীবনে তা আত্মত্যাগ ও অবদানে ক্রমভাস্বর হয়ে ওঠে। প্রচণ্ড আর্থিক অনটন, অর্ধাহার, অনাহারের মধ্যে এবং মতাদর্শগত সংগ্রামে বলিষ্ঠ ভূমিকা, দেশের প্রতি ও আন্তর্জাতিকতাবাদের প্রতি গভীর ভালবাসা, সুলেখক ও সংগঠক হিসেবে অবদান তাঁকে ইতিহাসের পাতায় মহান করে তুলেছে।

১৯৮৩

প্রফুল্লচন্দ্র ঘোষ
(১৮৯১-১৯৮৩) এদিন প্রয়াত হন। পশ্চিমবঙ্গের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী। তিনবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছেন। মেধাবী ছাত্র ছিলেন। প্রায় সমগ্র শিক্ষাজীবনে বৃত্তি-সহ প্রথম স্থান অধিকার করেন। ১৯১৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রসায়নে গবেষণা আরম্ভ করেন। ১৯২০-তে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে রসায়নে ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করে। বিজ্ঞানের কয়েকটি বিষয় নিয়ে আইনস্টাইনের সঙ্গে মতবিনিময়। প্রথমে অনুশীলন সমিতিতে যোগ দিলেও পরে মহাত্মা গান্ধীর দ্বারা প্রভাবিত হন। লবণ সত্যাগ্রহে যোগ দেন। অনেকে মনে করেন, প্রফুল্ল ঘোষকে কংগ্রেস নেতৃত্ব বারবার ক্ষুদ্রস্বার্থে ব্যবহার করেছিলেন।

২০০৪

বিজয় হাজারে
(১৯১৫-২০০৪) এদিন প্রয়াত হন। ভারতীয় ক্রিকেটার। মূলত ডানহাতি ব্যাটসম্যানের দায়িত্ব পালন করতেন। পাশাপাশি ডানহাতে মিডিয়াম পেস বোলিংয়েও পারদর্শিতা দেখিয়েছেন। ১৪টি টেস্টে অধিনায়কত্ব করেন। টেস্ট ম্যাচে ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রথম বিজয়ে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। পদ্মশ্রী উপাধি পান। ভারতের আঞ্চলিক ক্রিকেট প্রতিযোগিতা তাঁরই নামে নামাঙ্কিত, ‘বিজয় হাজারে ট্রফি’।

১৮৯০

এডউইন হার্ডওয়ার্ড আর্মস্ট্রং
(১৮৯০-১৯৫৪) এদিন নিউ ইয়র্কে জন্মগ্রহণ করেন। এফএম (ফ্রিকোয়েন্সি মডিউলেশন) সম্প্রচার প্রযুক্তিটি তাঁরই আবিষ্কার। প্রথম দিকে এটি তৈরি হয়েছিল এএম রেডিওর তুলনায় গ্রাহকদের আরও ভাল শব্দ শোনানোর জন্য। এফএম রেডিও সম্প্রচারের জন্য সাধারণত অত্যন্ত উচ্চ কম্পাঙ্কের তরঙ্গ, যেমন, ৮৭.৫ থেকে ১০৮ মেগাহার্টজ ব্যবহার করা হয়।

১৯৫২

সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত

(১৮৮৭-১৯৫২) এদিন প্রয়াত হন। বিশিষ্ট দার্শনিক। ২/৩ বছর বয়সে অক্ষরজ্ঞানের আগে থেকে রামায়ণ আবৃত্তি করতে পারতেন। ৫/৭ বছর বয়স থেকে শুনে শুনে দর্শনের বহু বিষয় আয়ত্ত করে ফেলেন। লোকে তাঁকে ‘খোকা ভগবান’ বলত। প্রেসিডেন্সি কলেজ ও এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ে দর্শনের অধ্যাপনা করেছেন। রোম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিলিট পান। ভারতের প্রথম মহিলা ডক্টরেট সুরমা দাশগুপ্ত তাঁর ছাত্রী ও স্ত্রী।

১৮২৪

লালবিহারী দে

(১৮২৪-১৮৯৪) এদিন বর্ধমানের সোনাপলাশিতে জন্মগ্রহণ করেন। গোঁড়া বৈষ্ণব পরিবারে জন্ম। কিন্তু রেভারেন্ড ডাফের সংস্পর্শে এসে খ্রিস্টধর্মে দীক্ষিত হন। হুগলি কলেজে ইংরেজি পড়াতেন। বেঙ্গল ম্যাগাজিনের সম্পাদক ছিলেন। তাঁর ‘গোবিন্দ সামন্ত বা হিস্ট্রি অব আ বেঙ্গল রায়ত’ গ্রন্থটি চার্লস ডারউইনের প্রশংসা অর্জন করেছিল।

 

 

 

Previous articleToday’s market price: আজকের বাজার দর
Next articleBreakfast Sports : ব্রেকফাস্ট স্পোর্টস