”সরকার গণতন্ত্রের শ্বাসরোধ করছে। এর আগে কক্ষের এতজন বিরোধী সদস্যকে সাসপেন্ড (Suspend) করা হয়নি এবং তাও একটা সম্পূর্ণ যুক্তিসঙ্গত এবং ন্যায্য দাবির জন্য।” চলতি অধিবেশনে ১৪১ সাংসদকে সাসপেন্ড করার ঘটনায় এভাবেই মোদি সরকারের (Modi Govt) বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi)। পাশাপাশি মোদি সরকারের এই পদক্ষেপকে দেশের ইতিহাসে ‘বেনজির’ বলেও মন্তব্য করেন সোনিয়া।

উল্লেখ্য, সংসদের নিরাপত্তা লঙ্ঘন নিয়ে আলোচনা চেয়ে লোকসভা ও রাজ্যসভা মিলে মোট ১৪১ জন বিরোধী সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তারই প্রতিবাদে মঙ্গলবারের পর ফের বুধবার সকালেও সংসদে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে বিরোধীরা একজোট হয়ে বিক্ষোভে দেখাল। সংসদ কাণ্ডের দায় নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Shah) পদত্যাগ দাবি করেন তাঁরা। একই সঙ্গে এই প্রতিবাদ থেকে ফের একবার বিজেপি সাংসদ প্রতাপ সিমহাকে বহিষ্কারের দাবি তোলা হয়। এদিন বিরোধী ইন্ডিয়া জোটের তরফে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, মালা রায়, অপরূপা পোদ্দার, দোলা সেন, শান্তনু সেন সহ লোকসভা ও রাজ্যসভার একাধিক সাংসদ। ছিলেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে, নেত্রী সোনিয়া গান্ধী ও কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। অন্যদিকে, এদিন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, দোলা সেনারা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহদের বিরুদ্ধে মুর্দাবাদ স্লোগান দিতে থাকেন। পাশাপাশি সংসদের মকর দ্বারের সিঁড়িতেও ধর্নায় সাসপেন্ডেড সাংসদরা।
উল্লেখ্য, গত ২৮ মে একেবারে ঢাকঢোল পিটিয়ে নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেপ্টেম্বরে গণেশ চতুর্থী তিথিতে অধিবেশন শুরু হয়েছিল নতুন ভবনে। কিন্তু তার তিন মাসের মধ্যেই সুরক্ষাব্যবস্থা নিয়েই বড়সড় প্রশ্ন উঠে গেল। গত বুধবার তিন স্তরের সুরক্ষা বলয় টপকে কী ভাবে চার বিক্ষোভকারী গ্যাস বোমা নিয়ে সংসদ ভবনের সংরক্ষিত এলাকায় পৌঁছে গেলেন, এমনকি তাঁদের মধ্যে দু’জন লোকসভার অধিবেশনে ঢুকে দর্শক আসন থেকে ফ্লোরে ঝাঁপ মারার সুযোগ পেলেন, তা নিয়ে বৃহস্পতিবার লোকসভা এবং রাজ্যসভায় সরব হন বিরোধী জোট ইন্ডিয়ার সাংসদেরা। শাহের বিবৃতি দাবি করে সংসদের দু’কক্ষেই ওয়েলে নেমে স্লোগান তোলেন বিরোধী সাংসদেরা। এরপরই চলতি শীতকালীন অধিবেশন থেকে ১৪১ সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়। যার প্রতিবাদেই সংসদ ভবনের গান্ধী মূর্তির সামনে ধর্না কর্মসূচিতে সামিল সাস্পেন্ডেড সাংসদরা।
