একনায়কতন্ত্রের পথে আরও একধাপ! বিরোধী শূন্য লোকসভায় পাশ ‘নির্বাচন কমিশনার বিল’

মোদি সরকারের একনায়কতন্ত্রের পথে আরও একধাপ। বিরোধী শূন্য লোকসভায় কোনও আলোচনা ছাড়াই একপেশে ভাবে পাশ হয়ে গেল নির্বাচন কমিশনার নিযুক্তি বিল ২০২৩। শুরু থেকেই এই বিলের বিরোধিতায় সরব ছিল বিরোধীরা। কারণ বিরোধীদের আশঙ্কা এই বিল পাশ হলে নিজেদের পছন্দের কাউকে নির্বাচন কমিশনারের পদে বসাবে শাসকদল। যার ফলে বিঘ্নিত হবে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়া।

চলতি মাসের শুরুতে রাজ্যসভায় পাস হয়ে গিয়েছিল ‘নির্বাচন কমিশনার বিলটি। সংখ্যাগরিষ্ঠতার সুযোগ নিয়ে রাজ্যসভায় মোদি সরকার এই বিল পাশ করায় রাজ্যসভা থেকে ওয়াকআউট করে বিরোধীরা। তিন জন নির্বাচন কমিশনার নিযুক্তির বিল এবার পাস হয়ে গেল লোকসভাতেও। এবার শুধু রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরের পালা। স্বাক্ষর করলেই এবার সেটি গৃহীত হবে আইন বলে। নয়া বিল অনুযায়ী কমিশনার নিয়োগে সিলেকশন কমিটির তিনজনের মধ্যে দুজনই সরকার পক্ষের, তাই নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের ক্ষমতা থাকবে শাসকদলের হাতেই। বিরোধীদের অভিযোগ, বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে লোকসভা ভোটের আগে এই বেআইনি বিল পাস করা হয়েছে। বিজেপিকে সুবিধা পাইয়ে দিতেই এই উদ্যোগ বলে অভিযোগ বিরোধীদের।

উল্লেখ্য, এত দিন দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগের কমিটিতে তিন সদস্য থাকতেন। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির পাশাপাশি কমিটিতে প্রধানমন্ত্রী, লোকসভার বিরোধী দলনেতা থাকতেন। তাঁরাই নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ করতেন। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে নয়া বিলে তিন সদস্যের কমিটি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। তাঁর জায়গায় থাকবেন প্রধানমন্ত্রী, লোকসভার বিরোধী দলনেতা এবং প্রধানমন্ত্রীর মনোনীত একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। ফলে বলার অপেক্ষা রাখে না নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের রাশ পুরোপুরি থাকবে মোদি সরকারের হাতে।

Previous articleবড়দিনের আগে ‘সান্তা’ শাহরুখ! রাজুর হাত ধরে ব্লকবাস্টারের পথে ‘ডাঙ্কি’
Next articleমাহিকে আরসিবিতে খেলার প্রস্তাব, প্রস্তাব শুনে কী বললেন সিএসকে অধিনায়ক?