সাক্ষীর পর এবার প্রতিবাদী বজরং, ফিরিয়ে দিলেন পদ্মশ্রী সম্মান

এই নিয়ে বৃহস্পতিবার বজরং সোশ্যাল মিডিয়ায় জানান তিনি পদ্মশ্রী ফিরিয়ে দিচ্ছেন। এই নিয়ে বজরং তাঁর বার্তায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে লেখেন," আমি আমার পদ্মশ্রী সম্মান ফিরিয়ে দিচ্ছি।

সাক্ষী মালিকের পর এবার প্রতিবাদ বজরং পুনিয়ার। পদ্মশ্রী সম্মান ফিরিয়ে দিলেন অলিম্পিক্সে ব্রোঞ্জজয়ী কুস্তিগির। গতকালই কুস্তি ছেড়ে দেওয়ার কথা বলেন সাক্ষী মালিক। কুস্তি ফেডারেশনের সভাপতি হিসাবে সঞ্জয় সিং নির্বাচিত হওয়ার পর একে একে বিদ্রোহ করছেন দেশের নামী কুস্তিগিরেরা। বজরংদের অভিযোগ প্রাক্তন কুস্তি ফেডারেশন কর্তা ব্রিজভূষণ শরণ সিং-এর ঘনিষ্ঠ সঞ্জয় সিং। তিনি এখন কুস্তি ফেডারেশনের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। সেই নির্বাচনের পর থেকেই বিদ্রোহী কুস্তিগিরদের একাংশ।

এই নিয়ে বৃহস্পতিবার বজরং সোশ্যাল মিডিয়ায় জানান তিনি পদ্মশ্রী ফিরিয়ে দিচ্ছেন। এই নিয়ে বজরং তাঁর বার্তায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে লেখেন,” আমি আমার পদ্মশ্রী সম্মান ফিরিয়ে দিচ্ছি। আপনি নিশ্চয়ই বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত, তবুও আপনাকে লিখতে বাধ্য হচ্ছি। কারণ দেশের কুস্তিগিরদের সঙ্গে এমন অনেক কিছু ঘটছে যার প্রতি আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করা জরুরি।” বজরং তাঁর চিঠিতে চলতি জানুয়ারি থেকে ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে যে প্রতিবাদ তাঁরা শুরু করেছিলেন, সেটার উল্লেখ করেছেন। ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে যৌননিগ্রহের অভিযোগ ছিল কুস্তিগিরদের। সেই নিয়ে ধর্নাও দিয়েছেন প্রতিবাদি কুস্তিগিরেরা।

গতকাল ভারতীয় কুস্তি ফেডারেশনের সভাপতি নির্বাচিত হন সঞ্জয় সিং। নির্বাচনে জিতে কুস্তি প্রধান হন তিনি। সঞ্জয় হলেন অভিযুক্ত কুস্তিকর্তা ব্রিজভূষণ শরণ সিং-এর ঘনিষ্ঠ। এরফলে ব্রিজভূষণ না থাকলেও তাঁর প্রভাব কুস্তি সংস্থায় বহাল থাকবে বলে মনে করছেন অনেকে। একই রকম মনে করেছেন অলিম্পিক্সে পদকজয়ী কুস্তিগির সাক্ষী মালিক। এর প্রতিবাদে কুস্তি ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। সেই সিদ্ধান্ত জানাতে গিয়ে কেঁদে ফেললেন অলিম্পিক্স পদকজয়ী কুস্তিগির।

সাক্ষী বলেন, “৪০ দিন আমরা রাস্তায় ছিলাম। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ আমাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলেন। তারপরেও যদি ব্রিজভূষণের ব্যবসার সঙ্গী কুস্তি ফেডারেশনের কর্তা হয়, তাহলে আমি কুস্তি দিচ্ছি।” সাক্ষী আও বলেন,” আমাকে আর কেউ কখনও কুস্তি লড়তে দেখবে না।”

বজরং-সাক্ষীদের অভিযোগ ছিল মহিলা কুস্তিগিরদের যৌন হেনস্থা করেছিলেন ব্রিজভূষণ। এর জন‍‍্য যন্তর মন্তরের সামনে ধর্না দিয়েছিলেন বজরংরা। ২৮ মার্চ নতুন সংসদ ভবনের দিকে পদযাত্রা করছিলেন তাঁরা। সেই সময় দিল্লি পুলিশ গ্রেফতার করেছিল তাঁদের। ৭ জুন কুস্তিগিরেরা ক্রীড়ামন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরের সঙ্গে কথা বলার পর প্রতিবাদ থেকে সরে আসেন। ক্রীড়ামন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছিলেন ব্রিজভূষণের পরিবারের কেউ কুস্তি সংস্থার নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। সেটা না হলেও সঞ্জয় ব্রিজভূষণ ঘনিষ্ঠ হিসাবেই পরিচিত।

আরও পড়ুন:প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টের আগে হঠাৎ দেশে ফিরে এলেন কোহলি, খেলবেন কি প্রথম ম‍্যাচ?

 

Previous articleনিয়োগে কত পদে বেনিয়ম? আদালতে হলফনামা দিল SSC
Next articleমিলল না রেহাই! বড়দিনও জে.লেই কাটবে মণীশ সিসোদিয়ার