মুখ্যমন্ত্রী পদে বসেই ল.জ্জার হার! মাত্র ৫ ভোট পেয়ে মুখ পো.ড়ালেন মোহন

তড়িঘড়ি তাঁকে মুখ্যমন্ত্রীর (Chief Minister) কুর্সিতে বসানো হলেও মানরক্ষা করতে পারলেন না। কয়েকদিন আগেই তাঁর মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথগ্রহণকে কেন্দ্র করে বিস্তর জলঘোলা হয়েছিল। তা সত্ত্বেও শিবরাজ সিং চৌহানকে সরিয়ে তাঁর উপরেই আস্থা রেখেছিল বিজেপির (BJP) থিঙ্ক ট্যাঙ্ক। কিন্তু সেই আস্থার ফল যে এমন হবে তা কেউ ভাবতে পারেননি। তবে মুখ্যমন্ত্রী পদে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে তাঁর রাজ্যে গায়ের জোরে একাধিক বিধিনিষেধ চাপিয়েছেন মোহন যাদব(Mohan Yadav)। মধ্য প্রদেশে (Madhya Pradesh) তাঁর হিটলারি শাসনের সমালোচনায় সরব রাজ্যবাসী। তবে এবার একেবারে গোহারা হারলেন মধ্যপ্রদেশের নয়া মুখ্যমন্ত্রী। জানা গিয়েছে, সর্বভারতীয় কুস্তি ফেডারেশনের নির্বাচনে (National Wrestling Federation সহ-সভাপতি পদে প্রার্থী হয়েছিলেন মোহন যাদব। আর সেই নির্বাচনে একেবারে লজ্জার হার হজম করতে হল মোহন যাদবকে (Mohan Yadav)। সূত্রের খবর, ৫০ জন ভোটারের মধ্যে মাত্র পাঁচ জনের সমর্থন পেয়েছেন তিনি। কুস্তি ফেডারেশনের প্রাক্তন সভাপতি এবং বিজেপি সাংসদ ব্রিজভূষণ শরন সিংহ সমর্থিত প্রার্থী ছিলেন মোহন।

এদিকে বৃহস্পতিবারই সর্বভারতীয় কুস্তি ফেডারেশনের নির্বাচনে নতুন সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন উত্তরপ্রদেশের সঞ্জয় সিং। আর তাঁর সহকারী হওয়ার কথা ছিল মোহনের। কিন্তু সেই পথ আর খোলা রইল না। এদিকে প্রাক্তন কুস্তিগির মোহন মধ্যপ্রদেশ কুস্তি ফেডারেশনের সভাপতি। সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত মুখ্যমন্ত্রী সর্বভারতীয় কুস্তি ফেডারেশনের সহ-সভাপতি পদে প্রার্থী হলেও বৃহস্পতিবার তিনি দিল্লি যাননি। প্রশাসনিক কাজের জন্য ভোপালেই ছিলেন। তবে নির্বাচনে ব্রিজভূষণ সমর্থিত প্রার্থী হলেও লাভের লাভ কিছুই করতে পারেননি মোহন। এদিকে সর্বভারতীয় কুস্তি ফেডারেশনের সহ-সভাপতি পদ চারটি। বৃহস্পতিবারের নির্বাচনে সব থেকে বেশি ৪৪টি ভোট পেয়েছেন পাঞ্জাবের কর্তার সিং। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪২ ভোট পেয়েছেন বাংলার অসিত কুমার সাহা। তৃতীয় এবং চতুর্থ সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে সহ-সভাপতি হয়েছেন মণিপুরের এন ফোনি ৩৮ এবং দিল্লির জয়প্রকাশ ৩৭ ভোট। তবে প্রতিদ্বন্দ্বীদের সামনে মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সেই অর্থে লড়াই করতেই পারেননি। যদিও কয়েক দিন আগে মোহনের উপরেই আস্থা রেখেছেন বিজেপি নেতৃত্ব। মধ্যপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির ১৬৩টি আসনে জিতে ক্ষমতায় আসেন তিনি।

 

এদিকে মধ্যপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচনের অনেক আগে গত জুলাই মাসে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন মোহন। গত অগাস্টে সর্বভারতীয় কুস্তি ফেডারেশনের নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও তা পাঞ্জাব-হরিয়ানা হাই কোর্টের স্থগিতাদেশের জন্য নির্বাচন পিছিয়ে যায়।

 

 

 

Previous articleনয়া ইলেকশন কমিশনার নিয়োগ পদ্ধতিতে ব্যাহত হবে স্বচ্ছ নির্বাচন প্রক্রিয়া: নরিম্যান
Next article“ওই টাকায় কী হবে?” উত্তরাখণ্ড সরকারের পুরস্কার ফেরালেন র‌্যাট হোল মাইনার্সরা