ক্রিসমাস ইভে পর্তুগিজ চার্চে প্রার্থনা মুখ্যমন্ত্রীর, সঙ্গে সব ধর্মের প্রতিনিধিরা

প্রতি বছরের মতো এবারও ক্রিসমাসের আগে রাতে গির্জায় গিয়ে প্রার্থনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। রবিবার রাতে বড়বাজারের পর্তুগিজ চার্চে (Church) যান মুখ্যমন্ত্রী। সঙ্গে ছিলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন, কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল এবং বিভিন্ন ধর্ম সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা। সেখানে আর্চ বিশপ তাঁকে স্বাগত জানান। ফিতে কেটে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপর বড়দিনের বিশেষ ক্যারল অংশ গ্রহণ করেন মুখ্যমন্ত্রী।

মানব সেবা, বিশেষ করে গরিব মানুষদের পাশে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাঁড়ানো এবং সব ধর্মের মানুষের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর মানসিকতার ভূয়সী প্রশংসা করে চার্চ কর্তৃপক্ষ। চ্যানেলের শেষে মুখ্যমন্ত্রীর হাতে উপহারও তুলে দেওয়া হয়।

প্রতিবছরই ২৪ ডিসেম্বর রাতে গির্জায় ক্রিসমাসের বিশেষ ক্যারলে যোগ দেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর কথায় ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। সে কারণে বাংলায় সমস্ত উৎসবকে গুরুত্ব দিয়ে পালনের উপর জোর দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।দুর্গাপুজো-কালীপুজো-জগদ্ধাত্রীপুজোর উদ্বোধনের পাশাপাশি তিনি রেড রোডে (Red Road) ঈদের নমাজেও অংশগ্রহণ করেন। প্রতিবছর বড়দিনের ক্যারলে যোগ দেন। বাংলার সর্বধর্ম সমন্বয়ের ঐতিহ্য রক্ষার বিশেষ উদ্যোগী মুখ্যমন্ত্রী। আর সেই সর্বধর্ম সমন্বয়ের বার্তা দিতেই এদিন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন অন্যান্য সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা।

এর আগে রবিবার সন্ধেয় চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের মাধ্যমে ব্যান্ডেল চার্চে পৌঁছয় মুখ্যমন্ত্রীর শুভেচ্ছা বার্তা। ফাদার এন জে জনির হাতে সেই বার্তা পৌঁছে দেন চুঁচুড়া থানার আইসি অনুপম চক্রবর্তী। মুখ্যমন্ত্রীর শুভেচ্ছাবার্তা পেয়ে খুশি ফাদার জনি।

বড়দিন উপলক্ষে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে গির্জায় হয় বিশেষ ক্যারল। পর্তুগিজ চার্চের পাশাপাশি সেন্ট পলস ক্যাথিড্রাল-সহ বিভিন্ন গির্জায় হয় বিশেষ প্রার্থনা ও ক্যারল।

আরও পড়ুন- জা.তপাত তুলে অ.পমান প্রকাশ্য জায়গায় না হলে অ.পরাধ নয়, পর্যবেক্ষণ এলাহাবাদ হাইকোর্টের

Previous articleজা.তপাত তুলে অ.পমান প্রকাশ্য জায়গায় না হলে অ.পরাধ নয়, পর্যবেক্ষণ এলাহাবাদ হাইকোর্টের
Next articleজনসমক্ষে স্বামীকে অপমা.ন চূড়ান্ত নৃশং.স, মত দিল্লি হাইকোর্টের