আজ টেট! ভাগ্য নির্ধারণ হতে চলেছে ৩ লাখেরও বেশি পরীক্ষার্থীর, জোরদার নিরাপত্তা

প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা টেট (TET) অনুষ্ঠিত হচ্ছে ২৪ ডিসেম্বর, রবিবার। রবিবার দুপুর ১২টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত পরীক্ষা চলবে। পর্ষদ সূত্রে খবর, এ বছর ৩ লক্ষ ৯ হাজার ৫৪ জন টেট দেবেন। তাঁদের মধ্যে যোগ্যদের বেছে নেওয়া হবে। পাশাপাশি রাজ্যের মোট ৭৭৩টি কেন্দ্রে টেট হবে। যার মধ্যে পাঁচটি কেন্দ্র কলকাতায়। কলকাতার চেতলা গার্লস হাই স্কুল, যাদবপুর বিদ্যাপীঠ, সরকারি স্পনসরড মাল্টিপারপাস বয়েজ স্কুল টাকি, বাগবাজার মাল্টিপারপাস গার্লস স্কুল এবং কুমার আশুতোষ ইনস্টিটিউশন—এই পাঁচ কেন্দ্রে টেট হবে। এদিকে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ জানিয়েছে, প্রাথমিকের মোট ১১ হাজার ৭৬৫টি আসন খালি রয়েছে। সেই আসনগুলিতে নিয়োগ হবে। এদিকে রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে কলকাতার কেন্দ্রগুলিতে যাঁরা পরীক্ষা দিতে আসবেন, তাঁদের যাতায়াতে যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, তার জন্য সাহায্যের হাত বা়ড়িয়েছে কলকাতা মেট্রো (Kolkata Metro)। মেট্রো কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, পরীক্ষার্থীদের সুবিধার জন্য রবিবার অতিরিক্ত ট্রেন (Train) চলবে।

এদিকে চাকরিপ্রার্থীদের পরীক্ষার হলে প্রবেশ করতে গেলে তাঁর কাছে পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করা অ্যাডমিট কার্ড থাকা আবশ্যিক। পরীক্ষাকেন্দ্রে বৈধ অ্যাডমিট কার্ড নিয়ে প্রবেশ না করলে, তাঁকে পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হবে না। পাশাপাশি প্রাথমিক পর্ষদ জানিয়েছে, যে কোনও ধরনের লেখা কাগজপত্র, ভাঁজ করা কাগজের টুকরো, কাগজের বিট, জ্যামিতি/পেন্সিল বক্স, প্লাস্টিকের থলি, ক্যালকুলেটর, স্কেল, লেখার প্যাড, পেন ড্রাইভ, রাবার, লগ টেবিল, বৈদ্যুতিন পেন বা স্ক্যানার এবং কার্ডবোর্ড নিয়ে পরীক্ষা হলে প্রবেশ করা যাবে না। পাশাপাশি মোবাইল ফোন, ব্লুটুথ, ইয়ারফোন, মাইক্রোফোন, পেজার, হেলথ ব্যান্ডও নিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন না পরীক্ষার্থীরা। সঙ্গে রাখতে পারবেন না যে কোনও ধরনের ঘড়ি, ক্যামেরা, টাকা রাখার ব্যাগ, রোদ চশমা, সোনার অলঙ্কার।

তবে টেটের প্রশ্নের ধরন হবে ‘এমসিকিউ’ অর্থাৎ, প্রতিটি প্রশ্নের একাধিক বিকল্প থাকবে। যার মধ্যে সঠিক উত্তর নির্বাচন করতে হবে। মোট ১৫০ নম্বরের পরীক্ষা হবে। প্রশ্নপত্র হবে বাংলা এবং ইংরেজিতে। প্রতিটি প্রশ্নের মান এক। কোনও ‘নেগেটিভ মার্কিং’ থাকবে না। এক জন সাধারণ প্রার্থী ১৫০-এর মধ্যে ৬০ শতাংশ বা তার বেশি নম্বর পেলে দ্বিতীয় রাউন্ডের জন্য উত্তীর্ণ হবেন। তবে বিশেষ তালিকাভুক্ত যেমন, সংখ্যালঘু, প্রতিবন্ধী, প্রাক্তন সৈনিক ইত্যাদি পরীক্ষার্থীরা কমপক্ষে ৫৫ শতাংশ পেলেই টেট পাশ করবেন।

তবে চলতি বছরেও পরীক্ষার নিরাপত্তায় কোন ত্রুটি রাখতে চাইছে না প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। সরকারি সূত্রে খবর, সিসিটিভির নজরদারি থেকে বায়োমেট্রিক উপস্থিতি সব রকম ব্যবস্থা থাকছে পরীক্ষার্থীদের জন্য। নজরদারির জন্য কেন্দ্রীয় ভাবে কন্ট্রোল রুম খোলা হবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিসে। অন্যদিকে, গত বছরের তুলনায় এ বছর পরীক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় অর্ধেক হয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে পর্ষদের তরফ থেকে ব্যাখ্যা, ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে যে পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়েছিল সেখানে ডিএলএড এবং বিএড-এর সকল যোগ্য প্রার্থী আবেদন করতে পেরেছিলেন। তবে এ বছর শীর্ষ আদালতের নির্দেশে ডিএলএড উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীরাই শুধু আবেদন করতে পারবেন। তাই আবেদনের সংখ্যা অনেকটাই কমেছে। পর্ষদ জানিয়েছে, এ বছর ৩ লক্ষ ৯ হাজার ৫৪ জন পরীক্ষা দেবেন।

 

 

 

Previous articleBreakfast Sports : ব্রেকফাস্ট স্পোর্টস
Next articleToday’s market price: আজকের বাজার দর