সাগরেও এবার আরতি, বাড়ছে বাস: গঙ্গাসাগর মেলার দায়িত্ব ভাগ করে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী

যে গঙ্গাসাগরে একবার যেতেও পুণ্যার্থীদের বেগ পেতে হত, সেই গঙ্গাসাগরে এখন বারবার যাচ্ছেন সারা ভারতের মানুষ। আর সেটা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে। প্রতিবারের মতো এবারও গঙ্গাসাগর মেলা (Gangasaga Mela) সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে সব দফতর ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নিয়ে বুধবার নবান্নে বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই জানালেন গঙ্গারতির ধাঁচে এবার হবে সাগর আরতি। এছাড়া পুণ্যার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে এবার বাড়ানো হচ্ছে বাসের সংখ্যাও। কোন মন্ত্রী বা প্রশাসনিক আধিকারিকের কী দায়িত্ব তাও এদিনের বৈঠক থেকে ভাগ করে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।

এবার ৭-১৫ জানুয়ারি সাগরদ্বীপে আয়োজিত হবে গঙ্গাসাগর মেলা। সেখানে ১২, ১৩, ১৪ জানুয়ারি সেখানে হবে ‘মহাসাগর আরতি’। তবে, এই বিষয়ে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে প্রশাসনকে কড়া নজর রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মিডিয়াকেও এই আরতি সরাসরি সম্প্রচার করার ব্যবস্থা করতে বলেছেন তিনি। মমতা জানান, এবারও ই-দর্শনের ব্যবস্থা থাকবে। ই-স্নানে জল যে কোনও প্রান্তে পৌঁছে দেওয়া হবে। কিউ আর কোড ব্যান্ড স্ক্যান করলে পরিষেবা সংক্রান্ত সব তথ্য পাওয়া যাবে।

মন্ত্রীদের মধ্যে দায়িত্ব ভাগ করে দেন মমতা। মন্দিরের দায়িত্বে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, বঙ্কিম হাজরা, অরূপ বিশ্বাস, স্নেহাশিস চক্রবর্তী, ইন্দ্রনীল সেন। কটুবেড়িয়ায় থাকবেন সুজিত বসু, গিয়াসুদ্দিন মোল্লা, মণীশ গুপ্ত। লট এইটে মন্টুরাম পাখিরা, ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে থাকবেন পার্থ ভৌমিকও।

গঙ্গাসাগরে ৩০০ বেডের হাসপাতাল, এমার্জেন্সি কেয়ার, এমার্জেন্সি অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা থাকছে। ২৮টি ফার্স্টএড, ১২টি মেডিক্যাল ক্যাম্প, ৫টি টেম্পোরারি হাসপাতাল, ১০০-র বেশি অ্যাম্বুল্যান্স, ৩টি ওয়াটার অ্যাম্বুল্যান্স, এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স থাকছে।

আরও পড়ুন:জয়েন্ট পরীক্ষার আগেই ছাত্রী-ট্রা.ন্সজেন্ডারদের সুখবর শোনাল রাজ্য! বড় ঘোষণা শিক্ষামন্ত্রীর

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ”গঙ্গাসাগর মেলা আমাদের গর্ব। পৃথিবীর সব থেকে বড় মেলা। ৪০ লক্ষ মানুষ আসে। ১ ঘণ্টা আগে চিড়িয়াখানার সামনে থেকে এলাম। দেখলাম খুব ভিড়। কলকাতা পুলিশ কিছু মাইক্রোফোন ব্যবহার করছে। ট্রাফিককে আরও ভাল করে দেখতে হবে। পূণ্যার্থীদের জন্য ২২৫০ তো সরকারি বাস, ৩২টি ভেসেল, ১০০ টি লঞ্চ ব্যবহার করা হবে। রেলকে অনুরোধ করব মেলার আগে ও পরে বেশি ট্রেন চালাতে। ১৩ থেকে ১৭ বেশি ট্রেন চালাতে হবে।”

 

শোলার ঘরগুলিতে অনেক সময় আগুন লেগে যায়। সেটার জন্য কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে- জানতে চান মমতা। দমকলের পক্ষ থেকে জানানো হয় ১৩টি টেম্পোরারি ফায়ার স্টেশন হচ্ছে। ৫০ মোটরসাইকেল ফায়ার অপারেটর থাকবে মেলা চত্বরে।

Previous articleবাঙালিকে অপমান করার যোগ্য জবাব বিজেপি ভোট বাক্সে পাবে, তোপ কুণালের
Next articleএবার ভারত ন্যায় যাত্রা: ৬৫ দিনে প্রায় সাড়ে ৬ হাজার কিমি পাড়ি দেবেন রাহুল