গ্যাসের জ্বালা অন্তত তিন গ্রামে, কীভাবে লিক জবাব চাইল গ্রিন ট্রাইবুনাল

এন্নোর, পেরিয়াকুপ্পম, এর্নাভুর - এই তিন গ্রাম ছেড়ে নিরাপদ জায়গায় পালাতে শুরু করেন বাসিন্দারা।

ঘুমের মধ্যে শ্বাসকষ্ট, তীব্র চোখে জ্বালা, সঙ্গে বমি। শুনলেই মনে পড়ে যাবে সম্প্রতি ব্যাপক জনপ্রিয় হওয়া ভোপাল গ্যাসলিক নিয়ে তৈরি হওয়া ওয়েব সিরিজের কথা। কিন্তু তামিলনাড়ুর এন্নোরের মানুষগুলো বোধহয় মঙ্গলবার রাতে একবারও ভাবেননি, ভোপালের মতো রাত তাদেরও হতে পারে। যদিও সৌভাগ্য এটাই যে প্রশাসন, সার কারখানা কর্তৃপক্ষের তৎপরতায় এড়ানো গিয়েছে আর একটা ভোপাল গ্যাসকাণ্ড (Bhopal Gas Leak)। তবে এন্নোরের আশেপাশের তিনটি গ্রামে এখনও বাতাসে বইছে বিষ।

মঙ্গলবার মধ্যরাতে এন্নোরের করমণ্ডল ইন্টারন্যাশানাল লিমিটেড থেকে প্রায় চারঘণ্টা ধরে অ্যামোনিয়া গ্যাস লিক হয়। প্রতি মাইক্রো মিলিমিটারে ২৪ ঘণ্টায় ৪০০ মাইক্রোগ্রাম অ্যামোনিয়া থাকতে পারে। সেন্ট্রাল পলিউশন কন্ট্রোল বোর্ডের (Central Pollution Control Board) বিচারে সেই মাত্রা ৪০০ থেকে বেড়ে ১৮০০ হলে তা ‘ভয়ঙ্কর’ বলে বলে ধরা হয়। সেখানে মঙ্গলবার ভোরে এন্নোরের সার কারখানায় অ্যামোনিয়ার পরিমাণ প্রায় ৩০০০ ছিল।

এই বিপুল পরিমাণ অ্যামোনিয়া বাতাসে মিশে যাওয়ার কারণেই অসুস্থ হয়ে হাসাপাতলে ভর্তি হন ৪২ জন। মৎস্যজীবীদের দাবি সমুদ্রেও আচমকা বুদবুদ উঠতে শুরু করে। এন্নোর, পেরিয়াকুপ্পম, এর্নাভুর – এই তিন গ্রাম ছেড়ে নিরাপদ জায়গায় পালাতে শুরু করেন বাসিন্দারা।

প্রাথমিক পরিস্থিতি হাতের মুঠোয় করার পরই সার কারখানার বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করে ন্যাশানাল গ্রিন ট্রাইবুনাল (National Green Tribunal)। তামিলনাড়ু পলিউশন কন্ট্রোল বোর্ডের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হয়েছে। এই মামলার শুনানি ২ জানুয়ারি।

Previous articleকলকাতায় বাড়ছে কোভিড! আরও ৪ জনের দেহে মিলল সংক্রমণ
Next articleদু.র্ঘটনা রুখতে নয়া পদক্ষেপ! মা উড়ালপুলে পুলিশ মোতায়েনের সিদ্ধান্ত লালবাজারের