আজ চাকলার লোকনাথ মন্দিরে মুখ্যমন্ত্রী, তৃণমূল নেত্রীর কর্মিসভায় নজর রাজনৈতিক মহলের

লোকসভার আগে মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা শুনতে মুখিয়ে রয়েছেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। লোকসভা নির্বাচনে লড়াইয়ের কৌশল নিয়ে এদিনের সভায় জেলা নেতৃত্বকে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিতে পারেন তৃণমূল নেত্রী।

উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গার চাকলা লোকনাথ মন্দিরের (Loknath Temple) পরিকাঠামোগত উন্নয়নের পর আজ, বৃহস্পতিবার তা উদ্বোধনে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। পাশাপাশি গোটা উত্তর ২৪ পরগনার চারটি সাংগঠনিক জেলার সব স্তরের নেতা-কর্মীদের নিয়ে কর্মিসভাও করবেন তৃণমূল সুপ্রিমো (TMC Supremo)।

এদিন হাওড়ার ডুমুরজোলা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টায় হেলিকপ্টারে চাকলায় যাবেন মুখ্যমন্ত্রী। এর জন্য মন্দিরের ২৫০ মিটার দূরে অস্থায়ী ভাবে হেলিপ্যাড তৈরি হয়েছে। ১২টা ৪০মিনিটে মুখ্যমন্ত্রী পৌঁছবেন মন্দিরের মূল গেটে। সেখানেই মুখ্যমন্ত্রীকে সংবর্ধনা জ্ঞাপন করা হবে। এর পর বাবা লোকনাথকে পুজো দেবেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রথম পর্যায়ের কর্মসূচি শেষ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আসবেন যোগ দেবেন কর্মিসভায়। মন্দির থেকে ৫০ মিটার দূরে একটি মাঠে কর্মিসভা হবে। সেখানেই দলের সব স্তরের নেতা, কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করবেন দলনেত্রী। সভা শেষে কলকাতায় ফিরবেন মুখ্যমন্ত্রী।

তৃণমূল নেতা তাপস রায় জানান, চারটি সাংগঠনিক জেলার সমস্ত স্তরের নেতা-মন্ত্রী-পঞ্চায়েত-পুরসভার জনপ্রতিনিধিরাও থাকবেন। উত্তর ২৪ পরগণা জেলা পরিষদের সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামী বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে হিন্দুদের বিভিন্ন তীর্থস্থানগুলোর অভূতপূর্ণ উন্নয়ন হয়েছে। তাঁর হাত ধরে দক্ষিণেশ্বর থেকে শুরু করে তারাপীঠ, আদ্যাপীঠ, কালীঘাট, কচুয়া ও চাকলা লোকনাথ বাবার মন্দিরে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। দেগঙ্গার চাকলা লোকনাথ মন্দিরে সারা বছর ভক্তদের ভিড় থাকে। মন্দিরকে কেন্দ্র করে বেড়েছে ব্যবসা ও কর্মসংস্থান। সেই মন্দিরকেই পর্যটকদের কাছে আরও আকর্ষণীয় করতে বিশেষ উদ্যোগী হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মন্দিরের পরিকাঠামোগত উন্নয়নে রাজ্য সরকার ইতিমধ্যে ৩০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে।

অন্যদিকে, লোকসভার আগে নেত্রীকে বার্তা শুনতে মুখিয়ে রয়েছেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। লোকসভা নির্বাচনে লড়াইয়ের কৌশল নিয়ে এদিনের সভায় জেলা নেতৃত্বকে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিতে পারেন তৃণমূল নেত্রী। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বনগাঁ মহকুমা মতুয়া অধ্যুষিত। এছাড়া বারাসত মহকুমার বেশ কিছু এলাকায় রয়েছে মতুয়াদের বসবাস। জেলার মধ্যে একমাত্র বনগাঁ মহকুমাতেই বিজেপির তিন বিধায়ক। বনগাঁ লোকসভা দখলে রেখেছে বিজেপি। যদিও গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের বুথে হেরে গিয়েছেন বিজেপির প্রার্থী। তবে উত্তর ২৪ পরগনায় সিএএ নিয়ে অমিত শাহের পাল্টা দাওয়াই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী দেন সেদিকেই নজর রাজনৈতিক মহলের।

 

 

 

Previous articleবছর শেষের আগে ফের ইডির হা.না! নিয়োগ মামলার তদন্তে শহরের একাধিক প্রান্তে জোর তল্লাশি
Next articleডাম্পারের সঙ্গে ধা.ক্কা! মাঝ রাস্তায় জ্ব.লল যাত্রীবাহী বাস, ভিতরেই ঝ.লসে মৃ.ত কমপক্ষে ১৩ যাত্রী