গোটা বিশ্ব নতুন বছর শুরুর আনন্দে মাতোয়ারা। পিকনিক থেকে পার্টি, সামিল আট থেকে আশি। ভিড় বাড়ছে পর্যটনকেন্দ্রগুলিতে। আর এই ভিড়ে সাধারণ মানুষকে আরও সতর্ক থাকার পরামর্শ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের (Ministry of Health)। বছরের শেষদিনে গোটা দেশে গত সাতমাসের মধ্যে সর্বাধিক সংক্রমণ দেখা গিয়েছে। একদিনে সংক্রমিত হয়েছেন ৮৪১ জন। তবে বাংলায় সংক্রমণের হারে কোনও পরিবর্তন হয়নি। রবিবার নতুন করে সংক্রমিত ২ জন।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক গোটা দেশে ইনফ্লুয়েঞ্জা (influenza) ও শ্বাসকষ্ট জনিত রোগ সংক্রমণ থেকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়ে আসছে। বছরের শুরুতেও তাই স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পক্ষ থেকে ইনফ্লুয়েঞ্জা, হাঁচি-কাশি, শ্বাসকষ্ট সংক্রমণ থেকে নিরাপদ থাকার বার্তা দেওয়া হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। রবিবার গোটা দেশে সক্রিয় কোভিড রোগীর সংখ্যা ৪,৩০৯ জন। তবে মৃত্যু হয়েছে গোটা দেশে ৩ জনের। এরই মধ্যে আশার কথা দেশের প্রথম নতুন সাব ভ্যারিয়েন্ট JN.1-এর সংক্রমণের শিকার কেরালায় সংক্রমণের হারে কমেছে। যদিও দেশের সংক্রমণের অর্ধেক এই রাজ্যেই। অত্যধিক সংক্রমণ বাড়তে থাকা কর্ণাটক ও মহারাষ্ট্রেও সংক্রমণের হার কমেছে।
রবিবার রাজ্যে নতুন করে আক্রান্ত ২ জন। বারাসাতের পঞ্চাশোর্ধ্ব কোভিড আক্রান্ত ব্যক্তিকে স্থানান্তরিত করা হয়েছে বেলেঘাটা আইডি-তে। হালতুর আরেক কোভিড আক্রান্ত ব্যক্তিকেও আইডি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে বেলেঘাটা আইডি-তে ভর্তি সক্রিয় কোভিড রোগীর সংখ্যা ৫। কোভিডের অল্প বিস্তারেই নিয়ন্ত্রণ করা লক্ষ্য রাজ্য সরকারের। সংক্রমণের চরিত্র দেখে তাই সর্বোচ্চ চিকিৎসা নিশ্চিৎ করা হচ্ছে। তবে এখনও রাজ্যে JN.1 আক্রান্ত কোনও রোগীর খোঁজ মেলেনি।