চিনের ‘গবেষণা’ জাহাজের ওপর এক বছরের নিষেধাজ্ঞা জারি শ্রীলঙ্কার

এই গবেষণা জাহাজগুলি আসলে চিনের গুপ্তচর জাহাজ। প্রযুক্তির ব্যবহার করে দেশের সামরিক তথ্য হাতাতে কাজে লাগানো হয় এই জাহাজগুলিকে।

শ্রীলঙ্কার বন্দরে চিনের ‘গবেষণা’ (research) জাহাজ ভিড়তে পারবে না, ভারতকে জানালো প্রতিবেশী দ্বীপরাষ্ট্র। সরকারি ভাবে কোনও নির্দেশিকা (moratorium) প্রকাশ না করা হলেও কূটনৈতিক স্তরে ভারতের কাছে এই বার্তা পাঠায় শ্রীলঙ্কা। এমনকি বাতিল করা হয়েছে চিনের এরকম একটি জাহাজ নোঙর করার অনুমতিও। প্রতিবেশী রাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্তে কার্যত খানিকটা স্বস্তিতে ভারত।

সম্প্রতি বাইডেনের সঙ্গে শি জিনপিংয়ের বৈঠকের পর মন্ত্রিসভা ও সামরিক বাহিনীতে রদবদল এনেছে চিন। কূটনীতিক মহলে জল্পনা আমেরিকার সঙ্গে সম্পর্ক মেরামতির দিকে চিন। মালদ্বীপের পক্ষ থেকেও ভারতীয় সেনা সরিয়ে নেওয়ার যে আবেদন ভারতের কাছে এসেছে তাতেও চিনের হাত রয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে ভারতের চিন-নীতিতে সহযোগিতা করার বার্তা যায় শ্রীলঙ্কার কাছে। নভেম্বরে শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিঙ্ঘের (Ranil Wickremesinghe) সঙ্গে নরেন্দ্র মোদির বৈঠকে ভারতের পক্ষ থেকে চিনের গুপ্তচর জাহাজের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করার আবেদন করা হয়েছিল।

শ্রীলঙ্কার বন্দর এবং বিশেষ অর্থনৈতিক ক্ষেত্র (Exclusive Economic Zone) এলাকায় চিন ‘গবেষণা’র জন্য জাহাজ পাঠিয়ে থাকে। কূটনীতিকদের অনুমান, এই গবেষণা জাহাজগুলি আসলে চিনের গুপ্তচর (spy) জাহাজ। প্রযুক্তির ব্যবহার করে দেশের সামরিক তথ্য হাতাতে কাজে লাগানো হয় এই জাহাজগুলিকে। এরকমই একটি জাহাজ জানুয়ারিতে কলম্বো বন্দরে পাঠানোর কথা ছিল। শ্রীলঙ্কার পক্ষ থেকে সেই জাহাজের নোঙর করার অনুমতি বাতিল করা হয়েছে।

চিনের জাহাজের ওপর নতুন এই নিষেধাজ্ঞা নতুন বছরের প্রথমদিন থেকেই লাগু করেছে শ্রীলঙ্কা। গোটা ২০২৪ সাল জুড়ে এই নিষেধাজ্ঞা থাকবে বলেই কূটনৈতিক সূত্রে জানা যাচ্ছে। কার্যত প্রতিবেশী রাষ্ট্র পাকিস্তান যখন চিনের সহযোগী হিসাবে ভারতের ওপর চোখ রাঙাচ্ছে, সেখানে শ্রীলঙ্কার সিদ্ধান্ত ভারতের কূটনৈতিক (diplomatic) জয়।

Previous article“রাহুলকে নিয়ে এত মাতামাতির কী আছে?” শীর্ষ কংগ্রেস নেতার মন্তব্যে শোরগোল
Next articleঅলিম্পিক্সে অংশ নেওয়া দূরপাল্লার দৌড়বিদের অ.স্বাভাবিক মৃ.ত্যু