‘দমদম উৎসব’ সূচনায় ‘দুর্বাদলশ্যাম’ উল্লেখ করে বিজেপির রামরাজ্যকে কটাক্ষ ব্রাত্য বসুর

শুভ চেতনার বিকাশ ঘটাতে সৃজনশীল পরিবেশনা নিয়ে প্রস্তুত দমদম উৎসব।

এই রাজ্যের সংস্কৃতির সঙ্গে তুলনা করে বিজেপির রামমন্দির প্রতিষ্ঠার নীতিকে কটাক্ষ শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর। দলের নাম না উল্লেখ করে বাংলায় ধর্মের ‘আফিম’ ঢুকিয়ে দেওয়া এবং তার মধ্যে দিয়ে ঈর্ষা ও বিদ্বেষ মানুষের মনে বাড়িয়ে দেওয়া নিয়ে কটাক্ষ করেন তিনি। দমদম উৎসবের উদ্বোধনে বাংলায় রামের চরিত্র কীভাবে বদলে যাচ্ছে বিজেপির রাম-তত্ত্ব প্রচারে, তা-ই ছবির মতো তুলে ধরেন।

শিক্ষামন্ত্রীর কথায় জীবনের সব ধরনের ঘটনা থেকে মুখ ফিরিয়ে রাখতে একটা আফিম দেওয়া হচ্ছে। আফিমের নাম ধর্ম। সেই আফিমের জেরে আমাদের মনের মধ্যে হিন্দু, খ্রীষ্টান আলাদা আলাদা কথাগুলো প্রতিষ্ঠা হচ্ছে। মানুষকে বিচার করতে হবে সেই আফিম নিয়ে তাঁরা ইতিহাসে পিছনের দিকে যাবেন, না সামনে এগোবেন।

পাশাপাশি তিনি প্রশ্ন তোলেন আমরা কী আবার কৃপাণ হাতে বেরিয়ে পড়ব রাস্তায়? অথচ বাঙালির কাছে পরিচিত দুর্বাদলশ্যাম রাম, যিনি রামরাজ্যের প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। কিন্তু সেই রামরাজ্যে তখন কোনও সুশাসন থাকবে না। গরিবের দিকে তাকিয়ে থাকা হবে না। পড়ে থাকবে শুধু একটা আফিম যার নাম ধর্ম। তিনি প্রশ্ন তোলেন, ঈর্ষা এবং বিদ্বেষ দুটোই আমাদের মধ্যে আছে। কিন্তু আমরা তার প্রকাশ্যে উদযাপন ঘটাবো?

মানুষের শুভ চেতনার বিকাশ ঘটাতে সৃজনশীল পরিবেশনা নিয়ে প্রস্তুত দমদম উৎসব। উৎসবের মধ্যে দিয়েই মানুষের রিপুগুলি নিজের ভিতরে লুকিয়ে রাখার বার্তা দেন। শিক্ষামন্ত্রীর দমদম উৎসবের মতো উদ্যোগকে আরও প্রচার করার বার্তা দেন সাংসদ সৌগত রায়। উৎসবের দমদমে ধুমধাম নাম উল্লেখ করেই তিনি বলেন ব্রাত্য বসুর এই উদ্যোগ ধুমধাম শব্দের মতোই জোরে সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ুক। পাশাপাশি দমদম হেরিটেজ ফেস্টিভ্যাল আয়োজন করার প্রস্তাব দেন তিনি । মঙ্গলবার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রী ও সাংসদ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দমদম পুরসভার পুরপ্রধান হরেন্দ্র সিং, উপপুরপ্রধান বরুন নট্ট।

Previous articleটি-২০ বিশ্বকাপে কি পাওয়া যাবে বিরাট-রোহিতকে? জবাব খুঁজতে প্রোটিয়াদের সিরিজের ফাঁকে বৈঠকে নির্বাচকেরা
Next article‘অসুস্থ’ প্রধান শিক্ষক মঞ্চে নাচলেন, মেয়ে ‘সামলালো’ স্কুল!