যোগীরাজ্যে পুলিশ রক্ষকই ভক্ষক! দলিত মহিলাকে ধর্ষণ করে গলায় ফাঁস

দুজনে ঝাঁসিতে একসঙ্গে নার্সিংয়ের প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন বলে জানিয়েছে মৃতার পরিবার। সেখান থেকেই দুজনের মধ্যে সম্পর্ক হলেও রাঘবেন্দ্র পরিবারের অসম্মতিতে তাঁদের বিয়ে হয়নি।

পুরোনো সম্পর্কের জেরে মহিলাকে ঘরে ডেকে ধর্ষণ (rape) করে গলায় ফাঁস (strangling) দিয়ে খুনের অপরাধে গ্রেফতার করা হল এক পুলিশ কনস্টেবলকে। ২৫ বছরের ওই নির্যাতিতার দেহ উদ্ধার হয় ধৃত কনস্টেবলের ভাড়া বাড়ি থেকে। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার অভিযুক্ত।

ঝাঁসির বাসিন্দা রাঘবেন্দ্র সিং কর্মসূত্রে উত্তরপ্রদেশের আগ্রার (Agra) বেলানগঞ্জ এলাকায় একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। গুরুগ্রামের একটি বেসরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের নার্স হিসাবে কর্মরতা বছর ২৫-এর মহিলার সঙ্গে তাঁর ঝাঁসিতেই (Jhansi) আলাপ হয়। দুজনে ঝাঁসিতে একসঙ্গে নার্সিংয়ের প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন বলে জানিয়েছে মৃতার পরিবার। সেখান থেকেই দুজনের মধ্যে সম্পর্ক হলেও রাঘবেন্দ্রর পরিবারের অসম্মতিতে তাঁদের বিয়ে হয়নি। কিন্তু নিয়মিত যোগাযোগ ছিল তাদের।

ঘটনার আগের দিন তরুণী রাঘবেন্দ্রর ঘরে গিয়েছিল। সেদিন রাঘবেন্দ্র ডিউটিতে গেলেও তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরে যায়। পরে নিজের সহকর্মীদের এই ঘটনার কথা জানায় সে, দাবি উত্তর প্রদেশ পুলিশের। তবে ২৯ ডিসেম্বর তরুণীর দেহ উদ্ধার হলেও ময়নাতদন্তের (postmortem) রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত আগ্রার পুলিশকর্মীর গোটা ঘটনা চেপে রেখেছিল উত্তর প্রদেশ পুলিশ। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে দেখা যায় গলায় ফাঁস লাগার কারণে মৃত্যু হয়েছে তরুণীর।

শুক্রবার পুলিশ কনস্টেবলের ঘর থেকে দেহ উদ্ধার হলেও রবিবার গ্রেফতার করা হয় তাকে। তার বিরুদ্ধে ধর্ষণ, আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলা দায়ের হয়েছে।

Previous articleআজ আমির কন্যা ইরার বিয়ে, খোশ মেজাজে অভিনেতার দুই প্রাক্তন স্ত্রী!
Next articleসিট গঠন নয়, আদানি কেসে সেবিতেই আস্থা শীর্ষ আদালতের!