স্বামী ষড়যন্ত্রের শিকার, ইডির বিরুদ্ধে বিস্ফোরক জ্যোৎস্না আঢ্য!

আজ সকাল ১০ টা নাগাদ সিজিও কমপ্লেক্স (CGO complex) থেকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে।

১৭ ঘণ্টা ধরে তল্লাশি চালাবার পর রেশন মামলায় বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্যকে (Shankar Adhya)গ্রেফতার করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। গতকাল মধ্যরাতে শঙ্করকে গ্রেফতার করে কলকাতায় নিয়ে আসা হয়। আজ সকাল ১০ টা নাগাদ সিজিও কমপ্লেক্স (CGO complex) থেকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। দুপুরেই ব্যাঙ্কশাল কোর্টে পেশ করা হবে অভিযুক্তকে। কিন্তু স্বামীকে এভাবে গ্রেফতার করার পরই ইডির বিরুদ্ধে বিস্ফোরক জ্যোৎস্না আঢ্য (Jyotshna Adhya)। স্বামী রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার , বলেই দাবি তাঁর।

ইডি সূত্রে খবর, শঙ্কর আঢ্যর শ্বশুরবাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রায় ৮ লক্ষ টাকা, বাজেয়াপ্ত বেশ কিছু নথিও। জ্যোৎস্না বলছেন পুরোটাই ব্যবসার কাজের জন্য রাখা হয়েছিল। এর সঙ্গে রেশন মামলার কোনও সম্পর্ক নেই। যেহেতু তাঁরা তৃণমূল কংগ্রেস করেন সেই কারণে এই আক্রোশ বলেও অভিযোগ করেন তিনি। গতকাল রাতে গ্রেফতারের সময় এবং আজ সকালে সিজিও কমপ্লেক্স থেকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার সময় শঙ্কর আঢ্য জানান, তদন্ত করলেই সঠিক তথ্য বেরিয়ে আসবে। জ্যোৎস্না এখন তৃণমূল পরিচালিত বনগাঁ পুরসভার উপ পুরপ্রধান। তিনি বলছেন, সকাল থেকে সারাদিন ব্যবসা সংক্রান্ত কথা বলেছেন ED-র অফিসাররা। রাত সোয়া ১২টা নাগাদ জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক শঙ্কর আঢ্যর নাম উল্লেখ করেছে বলে নাটক করে গ্রেফতার করা হল। শঙ্করের স্ত্রীর অভিযোগ, মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানো হয়েছে তাঁর স্বামীকে।

অন্যদিকে ED-র তরফে দাবি, ধান-চাল-গম কেনাবেচা নয়, কালো টাকা কোন পথে, কীভাবে সাদা করা হবে, সেই পরিকল্পনায় শঙ্কর আঢ্যর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। আজ দুপুরে এই সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট আদালতে পেশ করতে চলেছেন কেন্দ্রীয় এজেন্সির গোয়েন্দারা।

Previous articleপশ্চিমী ঝঞ্ঝায় আপাতত শীতের বিরতি! 
Next articleযাদবপুরের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্যর পাশে রাজ্য সরকার