নজরে বিশেষভাবে সক্ষম পড়ুয়ারা, এবার স্কুলে ‘বিশেষ’ শিক্ষক নিয়োগ করবে রাজ্য

বিশেষ ভাবে সক্ষম পড়ুয়াদের কথা মাথায় রেখে এবার থেকে প্রত্যেকটি স্কুলে অন্তত একজন করে বিশেষ শিক্ষক নিয়োগের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। ওইসব পড়ুয়াদের শিক্ষা দেওয়ার প্রশিক্ষণ আছে এমন ব্যক্তিদেরই ওই পদে নিয়োগ করা হবে। আগামী পাঁচ বছরে সমস্ত স্কুলে এধরনের শিক্ষক নিয়োগ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। রাজ্যের নিজস্ব শিক্ষানীতি মেনে এই নিয়োগের উদ্যোগ বলে শিক্ষা দফতর সূত্রে জানা গেছে। এর পাশাপাশি রাজ্য সরকারি ও সরকার পোষিত স্কুলে বিশেষভাবে সক্ষম শিশুদের অনুপাত সঠিক রাখার জন্যও রাজ্যের শিক্ষা নীতিতে জোর দেওয়া হয়েছে। এজন্য একটি সার্বিক নীতি তৈরির কথা বলা হয়েছে। যার মাধ্যমে বিশেষ ভাবে সক্ষম পড়ুয়ার সংখ্যা বেশি এমন স্কুল থেকে তাদের সংখ্যা কম এমন স্কুলের মধ্যে পড়ুয়া ভাগাভাগি করে নেওয়া যায়। তবে কোনোভাবেই যাতে পড়ুয়াদের নিজেদের বাড়ি থেকে এক কিলোমিটারের বেশি দূরত্বের স্কুলে না যেতে হয় তা নিশ্চিত করতে হবে। ব্যতিক্রমী ক্ষেত্রে তাদের যাতায়াতেরও ব্যবস্থা করবে রাজ্য সরকার।

শিক্ষার অধিকার আইন বলছে, ১৪ বছর বয়স পর্যন্ত প্রতিটি শিশুর শিক্ষার অধিকার সুনিশ্চিত করতে হবে। তাই আর পাঁচটা সাধারণ শিশুর মতো বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদেরও ভর্তি হতে হচ্ছে সরকারি সাধারণ স্কুলে। রাজ্য সরকার বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে যে ভাবে ছাত্রছাত্রীদের পাশে দাঁড়িয়েছে, অতি নিন্দুকও তার প্রশংসা না করে পারছেন না। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুরা এই সব সরকারি স্কুলের অন্তর্ভুক্ত হলে সুবিধাগুলি পাচ্ছে। কিন্তু শারীরিক ও মানসিক সক্ষমতার অভাব, সামাজিক গ্রহণযোগ্যতার অভাব ও সর্বোপরি সাধারণ শিশুর জন্য তৈরি পাঠ্যক্রমের সঙ্গে এই সব শিশুরা সখ্য গড়ে তুলতে পারছে না। দিশেহারা হয়ে তারা স্কুল ছাড়ছে। কোনও কোনও স্কুলের দয়া-দাক্ষিণ্যে তাদের নামটুকু স্কুলের খাতায় জ্বলজ্বল করে। কিন্তু যে উদ্দেশ্যে শিশুকে শিক্ষাঙ্গনে নিয়ে আসা, তা পূরণ হয় না। এই শূন্যস্থান পূরণ করার জন্য নতুন শিক্ষা নীতিকে হাতিয়ার করে মাঠে নামছে রাজ্য সরকার।

আরও পড়ুন- অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সাংবিধানিক ধারা প্রয়োগের আর্জি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে তৃণমূল ছাত্রনেতা

 

Previous articleরঞ্জিট্রফির প্রথম ম্যাচে এক পয়েন্ট বাংলার
Next articleমোদিকে নিয়ে ‘অবমাননাকর’ মন্তব্য: মালদ্বীপের হাইকমিশনারকে তলব বিদেশ মন্ত্রকের