নৃ.শংস! পাকিস্তানে খু.ন একই পরিবারের ১১ সদস্য, কারণ নিয়ে ধোঁ.য়াশা

পারিবারিক বিবাদের জের! আর সেকারণেই এক পরিবারে ঘটে গেল নৃশংস ঘটনা! পরিবারের ১১ জন সদস্যকে খুনের অভিযোগ উঠল পাকিস্তানে (Pakistan)। তবে বিবাদের জেরে একই পরিবারের এতজনের হত্যার ঘটনায় চরম চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। পাকিস্তানের খাইবার-পাখতুনখাওয়া প্রদেশের লাকি মারওয়াত জেলার ঘটনা। এদিকে লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ (Police)। অভিযুক্তদের খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি। পাক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, পাকিস্তানের ওই জেলায় তখতি খেলা নামে একটি গ্রাম রয়েছে। আর সেই গ্রামেরই এক বাড়ি থেকেই পুলিশ একসঙ্গে ১১টি মৃতদেহ উদ্ধার করেছে বলে খবর। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন দুই ভাই, তাঁদের দুই স্ত্রী, তাদের ৬ সন্তান এবং একজন অতিথি। তবে খুনের প্রকৃত কারণ এখনও জানতে পারেনি পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে খবর, খুনের দু’দিন পর বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। জানা গিয়েছে, ওই পরিবারের অন্য একজন সদস্য বাইরে ছিলেন। তিনি বাড়িতে ফেরার পরই পুরো বিষয়টি জানাজানি হয়। এদিকে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, খাবারে বিষ মিশিয়ে ওই পরিবারের মোট ১১ জনকে হত্যা করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে খুনি ওই পরিবারের সদস্য হতে পারে অথবা পরিবারের আত্মীয় হতে পারে। কারণ সে বাড়িতে ঢুকেই এমন ঘটনা ঘটিয়েছে। এরপর নিজের কাজ সেরে বাইরে থেকে বাড়ির দরজা বন্ধ করে সেখান থেকে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত। পাশাপাশি স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অপরাধীর পরিকল্পনা ছিল পরিবারের সকল সদস্যকে খুন করা। কিন্তু ঘটনার দু’দিন পর পরিবারের অন্য এক সদস্য বাড়ি ফিরে দেখেন বাড়ির গেট বাইরে থেকে বন্ধ। এরপর তড়িঘড়ি বাড়িতে প্রবেশ্য করলে চক্ষু চড়কগাছ! বাড়িতে ঢুকেই পরিবারের ১১ সদস্যের মৃতদেহ দেখতে পান। এরপর তিনিই সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে ফোন করে বিষয়টি জানান। ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে বাড়িটি ঘেরাও করে এবং নমুনা সংগ্রহ শুরু করে। ইতিমধ্যে, মৃতদেহগুলি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ।

এছাড়া, প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ আরও জানতে পেরেছে দু’দিন আগে পাকিস্তানের ওই পরিবারের এক সদস্য খাবার কিনেছিলেন। আর সেই খাবার খেয়েই তাঁরা সকলেই মারা যান। অন্যদিকে, স্থানীয় এক বাসিন্দার অভিযোগ, ১১ জনকে ছুরিকাঘাতে খুন করা হয়েছে। তবে ইতিমধ্যে খাইবার পাখতুনখোয়ার তত্ত্বাবধায়ক মুখ্যমন্ত্রী তথা অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি আরশাদ হুসেন শাহ পুলিশের কাছে একটি রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন। পাশাপাশি অপরাধীকে দ্রুত গ্রেফতারের নির্দেশও দেন তিনি। তবে এদিন নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।


Previous articleহাইকোর্টের নির্দেশ মেনে সিআইডির বড় সাফল্য!
Next articleবেসরকারি হাসপাতালগুলির ICCU জীবাণু মুক্ত করার নির্দেশ, রাজ্যবাসীকে মাস্ক পরার পরামর্শ মুখ্যমন্ত্রীর