ভাষার ভুল বোঝাবুঝিতেই আক্রান্ত গঙ্গাসাগরগামী সাধুরা, হামলার ঘটনায় গ্রেফতার ১২

গঙ্গাসাগরগামী সাধুসন্তদের উপর হামলার ঘটনায় কড়া পদক্ষেপ নিল পুলিশ প্রশাসন। ইতিমধ্যেই ১২ জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে কাশীপুর থানার পুলিশ।ধৃতদের শনিবার রঘুনাথপুর মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়েছে। পুরুলিয়ার পুলিশসুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “কেউ কারও ভাষা বুঝতে পারেননি। ফলে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। তার থেকেই এমন ঘটনা বলে আমাদের অনুমান। সাধুদের মারধরের অভিযোগে ১২জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের আদালতে তুলে হেফাজতে চাওয়া হবে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা গেলেই বিষয়টি স্পষ্ট হবে।

এই ঘটনা অনভিপ্রেত বলে জানিয়েছে তৃণমূলও। রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজার দাবি, “সাধুদের বিরুদ্ধে তিন তরুণীকে উত্যক্ত করার অভিযোগ উঠেছিল। জনতা তাঁদের ঘিরে ধরে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। দুপক্ষই মামলা করেছে। পুলিশ নিজের কাজ করছে। তবে বিজেপি পুরুলিয়ার মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে।”

অন্যদিকে, আক্রান্ত সাধু মিহির গোস্বামী বলছেন, তরুণীরা তাঁদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। কোনও মামলা রুজু করেননি আক্রান্তরা। অভিযুক্তদের শাস্তিও চান না। আক্রান্ত মধুর স্বামীও পুলিশের সহায়তার কথা অকপটে স্বীকার করে নিয়েছেন।

গত বৃহস্পতিবার রাতে কাশীপুর থানার গৌরাঙ্গডি গ্রামে আক্রান্ত হন গঙ্গাসাগরগামী ওই সাধুরা। জানা গেছে, উত্তরপ্রদেশ থেকে আগত ৩ সাধু, তাদের রাঁধুনি এবং গাড়ির চালকের উপর হামলার ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করে। পুরুলিয়ার কাশিপুর থানা এলাকার গৌরাঙ্গডি গ্রামে তিন নাবালিকাকে দেখে গাড়ি থামিয়ে পথের খোঁজ নিচ্ছিলেন। সাধুদের ভাষা বুঝতে না পেরে ঘাবড়ে যায় ওই তিন কিশোরী। ভয় পেয়ে চিৎকার করে লোক জোগাড় করে। এরপরেই নারী পাচারকারী সন্দেহে সাধুদের মারধর শুরু করে স্থানীয়রা। তাঁদের গাড়িটিও ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া হয়। খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে কাশিপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। উন্মত্ত জনতার হাত থেকে আক্রান্ত সাধুদের উদ্ধার করেন পুলিশকর্মীরা।

Previous article‘ধর্ষকদের ভাড়া করে আইটি সেল চালাচ্ছে বিজেপির অমিত মালব্য! গদ্দাররা চুপ কেন? প্রশ্ন তৃণমূলের
Next articleChatGPT থেকে সমকামী বিবাহ, বছর শুরুতেও নজরকাড়া সেই অল্টম্যান