শীতের মেজাজে শুরু বই পার্বণ, ৪৭ তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলায় মুখ্যমন্ত্রী!

দু-সপ্তাহ জুড়ে প্রতিদিন দুপুর বারোটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত বইয়ের গন্ধ মেখে, ফেলে আসা শৈশব বা বর্তমানের চর্চায় চোখ বুলিয়ে নেওয়া, বইয়ের হরফে।

বঙ্গ জীবনের অঙ্গ বাঙালির বই পুজো উৎসব। পাতায় পাতায় নতুন গল্প আর কবিতার ডালি সাজিয়ে এবারেও হাজির আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা (International Kolkata Book Fair 2024)। দেখতে দেখতে বই পার্বণ আজ সাতচল্লিশে প্রবেশ করল। সল্টলেকের সেন্ট্রাল পার্ক বইমেলা প্রাঙ্গণে (Boimela Prangan, Central Park) স্টেট ব্যাংক অডিটোরিয়ামে কলকাতা বইমেলা ২০২৪-এর উদ্বোধনের নির্ধারিত সময়ের বেশ কিছুটা আগেই উপস্থিত হন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের আগেই বইমেলা প্রাঙ্গণে বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন মমতা। মেলা চলবে আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত।

এদিন বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ বইমেলায় পৌঁছে কলকাতা পুলিশের স্টলে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের অস্ত্রের ডিসপ্লে মডেল সংক্রান্ত বিষয়ে খোঁজখবর নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে ছিলেন রাজ্যসভার সাংসদ দোলা সেন, দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু, মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন, কলকাতার মেয়র তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, সাংসদ অপরূপা পোদ্দার, কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল, বিধাননগরের মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তীও। এরপর সুসজ্জিত ‘জাগো বাংলা’র স্টলে যান মমতা। প্রদীপ প্রজ্জলন করে ফিতে কেটে স্টলের উদ্বোধন করেন। সেখানে লোক শিল্পীদের সঙ্গে ছবিও তোলেন, এমনকি বাদ্যযন্ত্রেও তাঁদের সঙ্গত করেন।

এদিন বইমেলা প্রাঙ্গণে রাজ্যের বিভিন্ন জেলার আঞ্চলিক সংস্কৃতির পরিবেশনা দেখা যায়। এরপর পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মন্ডপে গিয়ে বেশ কয়েকটি বইয়ের পাতা উল্টে দেখেন মুখ্যমন্ত্রী। আধিকারিক ও আয়োজকদের একগুচ্ছ নির্দেশ দেন তিনি। এরপর একে একে বিভিন্ন স্টলে গিয়ে সকলের সঙ্গে কথা বলেন মমতা। ঢাকের তাল আর বাউলের সুরে বইমেলা প্রাঙ্গণ তখন জমজমাট।এবছরের বইমেলার লোকাল থিম কান্ট্রি ইউনাইটেড কিংডম (UK)। ব্রিটেনকে সামনে রেখে আগামিকাল বইমেলার দ্বিতীয় দিনে ‘ব্রিটেন ডে’ পালিত হবে বলে জানা যাচ্ছে। এবছর বইমেলায় আগামী ২১ জানুয়ারি শিশু দিবস পালিত হবে এবং ঐদিন গিল্ডের তরফে বাচ্চাদের জন্য বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজনও করা হয়েছে। প্রবীণদের জন্য ২৪ জানুয়ারি ‘সিনিয়র সিটিজেন ডে’ পালিত হবে। শেষ দিন অর্থাৎ ৩১ জানুয়ারি রাত নটায় সমাপ্তি অনুষ্ঠানে পুরস্কার বিতরণ করা হবে।অর্থাৎ দু-সপ্তাহ জুড়ে প্রতিদিন দুপুর বারোটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত বইয়ের গন্ধ মেখে, ফেলে আসা শৈশব বা বর্তমানের চর্চায় চোখ বুলিয়ে নেওয়া, বইয়ের হরফে।

Previous articleফের ইডির ডাকে ‘না’! চতুর্থবার সমন এড়িয়ে নিজের বি.পদ বাড়াচ্ছেন কেজরিওয়াল?
Next articleপিএসসির শূন্যপদ পূরণে রাজ্যপালের নির্দেশকে তীব্র আক্রমণ তৃণমূলের