তৃণমূল সরকারের জমানায় কত কর্মসংস্থান? বিভাগীয় প্রধানদের রিপোর্ট পেশের নির্দেশ মুখ্যসচিবের

মঙ্গলবারই নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিরোধীদের সমস্ত অপপ্রচারের জবাবে পাল্টা জানান, কাউকে বঞ্চিত করা হয়নি। বিপুল চাকরি দেওয়া হয়েছে। শুধু এমএসএমই সেক্টরেই ১ কোটি ১৫ লক্ষ লোক চাকরি পেয়েছেন। কেন্দ্রে ৪০ শতাংশ বেকারত্ব বেড়েছে। আমাদের ৪০ শতাংশ দারিদ্র কমেছে।

আগামী ২২ জানুয়ারির মধ্যে রাজ্য সরকারের সব ক্ষেত্রে নিয়োগের (Recruitment) বিস্তারিত তথ্য (Detailed Information) জমা দেওয়ার নির্দেশ দিলেন মুখ্যসচিব (Chief Secretary)। ইতিমধ্যে সব দফতরের বিভাগীয় প্রধানদের লিখিত নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মুখ্যসচিব ভগবতীপ্রসাদ গোপালিকা স্পষ্ট জানিয়েছেন, তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) সরকারের সময়কাল অর্থাৎ ২০১১ সালের মে মাস থেকে ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত রাজ্যের কোন দফতরে কতজনকে নিয়োগ করা হয়েছে, সেই তথ্য সরকারকে জানাতে হবে। মঙ্গলবারই নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বিরোধীদের সমস্ত অপপ্রচারের জবাবে পাল্টা জানান, কাউকে বঞ্চিত করা হয়নি। বিপুল চাকরি দেওয়া হয়েছে। শুধু এমএসএমই সেক্টরেই ১ কোটি ১৫ লক্ষ লোক চাকরি পেয়েছেন। কেন্দ্রে ৪০ শতাংশ বেকারত্ব বেড়েছে। আমাদের ৪০ শতাংশ দারিদ্র কমেছে।

মুখ্যমন্ত্রীর এমন মন্তব্যের পরই সব দফতরকে লিখিত নির্দেশে মুখ্যসচিব ভগবতীপ্রসাদ গোপালিক জানিয়েছেন, ২২ জানুয়ারির মধ্যে রাজ্য সরকারের সর্বত্র নিয়োগের সবিস্তার তথ্য দিতে হবে বিভাগীয় প্রধানদের। তবে সরকারি সূত্রে খবর, বিগত বেশ কয়েকটি মন্ত্রিসভার বৈঠকে বহু নিয়োগে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। তাতে হাজার হাজার শূন্যপদ পূরণ হবে।

মুখ্যসচিব আরও জানিয়েছেন, সরকারের নির্দিষ্ট ইমেল আইডিতে বিভাগীয় প্রধানরা নিজেদের রিপোর্ট পেশ করবেন। মূলত, গ্রুপ-এ, বি, সি এবং ডি-তে কতজনকে নিয়োগ করা হয়েছে তার সংখ্যা নির্দিষ্ট করে জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি চুক্তিভিত্তিক এবং অস্থায়ী কর্মীদের পাশাপাশি অধ্যাপক, শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী এবং অন্যান্য পদে কত নিয়োগ হয়েছে তারও হিসাব জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

 

 

 

 

Previous articleআগামী ৪৮ ঘণ্টায় একাধিক জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা! ফের পারদ পতনের পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের
Next articleমোবাইল গেমের মা.রণ নে.শা! মুর্শিদাবাদে খু.ন না.বালক, অ.গ্নিদগ্ধ জলপাইগুড়ির গৃহবধূ