মোবাইল গেমের মা.রণ নে.শা! মুর্শিদাবাদে খু.ন না.বালক, অ.গ্নিদগ্ধ জলপাইগুড়ির গৃহবধূ

মোবাইল গেম (Mobile Game) খেলতে গিয়েই ভয়ঙ্কর পরিণতি দুজনের। একদিকে মোবাইল গেমে মত্ত হয়ে অগ্নিদগ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন এক গৃহবধূ (Housewife), অন্যদিকে মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) গেম খেলা নিয়ে বিবাদের জেরে নাবালককে খুন করে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ চার বন্ধুর বিরুদ্ধে। পুলিশ সূত্রে খবর, গেম খেলা নিয়ে পাঁচ নাবালকের মধ্যে ঝামেলা চরমে ওঠে। এরপর প্রতিহিংসার বশেই এক বন্ধুকে খুন করে তার দেহ পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল চার নাবালক বন্ধুর বিরুদ্ধে। পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্তদের গড় বয়স ১৬ বছরের মধ্যে। মুর্শিদাবাদের ফারাক্কা ব্যারেজ এলাকার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ইতিমধ্যে অভিযুক্ত চারজনকে আটক করেছে পুলিশ। মৃত নাবালকের নাম পাপাই দাস (১৭)। মুর্শিদাবাদের ফরাক্কা ব্যারাজ আবাসনের বাসিন্দা। পরিবার সূত্রে খবর, গত কয়েকদিন ধরেই নিখোঁজ ছিল পাপাই। এমনকী থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করলেও তার খোঁজ মেলেনি। এরপর গত ১৫ তারিখ পাপাইয়ের মৃতদেহ উদ্ধার হয় ফরাক্কা ব্যারাজ নিশিন্দ্রা ঘাট ফিডার ঘাট সংলগ্ন জঙ্গল থেকে।

অন্যদিকে, গেম খেলায় মগ্ন হয়ে ভয়ঙ্কর অবস্থা গৃহবধূর। পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার সন্ধেয় বাড়ির সামনেই আগুন পোহাচ্ছিলেন শিখা রায় নামে ওই গৃহবধূ। শুধু তাই নয়, সঙ্গে ফোন নিয়ে বসে গেমও খেলছিলেন। তিনি যখন গেম খেলায় মগ্ন তখন আচমকাই তাঁর কাপড়ে আগুন লেগে যায়। দ্রুত আগুন সারা শরীরে সরিয়ে পড়ে। জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়ি ব্লকের খাগড়া বাড়ি এক নং গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এদিকে, গহবধূ শিখা রায়ের চিৎকার শুনে বাড়ির অন্য সকল লোকজন ছুটে আসেন ওই এলাকায়। দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে ময়না গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরবর্তীতে তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজের অধীনে থাকা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরিবার সূত্রে খবর, গৃহবধূর হাত এবং কোমর থেকে নিচের অংশ সম্পূর্ণ পুড়ে গিয়েছে। বর্তমানে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন তিনি।

 

 

 

 

Previous articleতৃণমূল সরকারের জমানায় কত কর্মসংস্থান? বিভাগীয় প্রধানদের রিপোর্ট পেশের নির্দেশ মুখ্যসচিবের
Next articleআজ ভারতের সামনে উজবেকিস্তান