আজকের দিনে কী কী ঘটেছিল? চলুন দেখে নেওয়া যাক

 

২০২২

নারায়ণ দেবনাথ

(১৯২৫-২০২২) পরলোক গমন করেন। হাঁদা ভোঁদা, বাঁটুল দি গ্রেট, নন্টে ফন্টে, বাহাদুর বেড়াল, ডানপিটে খাঁদু আর তার কেমিক্যাল দাদু, কৌশিক রায় প্রভৃতি বিখ্যাত কার্টুন চরিত্রের স্রষ্টা। পঞ্চাশ বছরেরও বেশি সময় ধরে তাঁর লেখা ও আঁকা কমিকস ছোট-বড় বাঙালিকে মাতিয়ে রেখেছে। ২০২১-এ পদ্মশ্রী লাভ করেন।

২০১৮

চণ্ডী লাহিড়ী

(১৯৩১-২০১৮) প্রয়াত হন। ব্যঙ্গচিত্রী ও লেখক। দীর্ঘ পাঁচ দশক ধরে বাংলা কার্টুনচর্চার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ১৯৫২-তে তাঁর কর্মজীবন শুরু হয় ‘দৈনিক লোকসেবক’ পত্রিকায় সাংবাদিকতার কাজে। এরপর ১৯৬১ সালে ব্যঙ্গচিত্রী হিসেবে ‘হিন্দুস্তান স্ট্যান্ডার্ড’ পত্রিকায় কার্টুনচর্চা শুরু করেন। আনন্দবাজার পত্রিকায় ১৯৬২-তে যোগ দিয়েছিলেন। রাজনৈতিক ও সামাজিক দুই ধরনের কার্টুন আঁকতেন চণ্ডী লাহিড়ী। তিনি কার্টুন নিয়ে বেশ কয়েকটি বই লিখেছেন। সেগুলোর মধ্যে রয়েছে কার্টুনের ইতিবৃত্ত, বাঙালির রঙ্গব্যঙ্গচর্চা, গগনেন্দ্রনাথ : কার্টুন ও স্কেচ ইত্যাদি। মৃত্যুর কিছুদিন আগেও তিনি রাজ্য সরকারের ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের সচেতনতামূলক কার্টুনের কাজ করছিলেন। অনেকে তাঁকে বাংলার আর কে লক্ষ্মণও বলতেন।

২০০৩

হরিবংশ রাই বচ্চন

(১৯০৭–২০০৩) এদিন প্রয়াত হন। বিশিষ্ট ভারতীয় কবি এবং বিশ শতকের সূচনাকালে হিন্দি সাহিত্যজগতের ‘নঈ কবিতা সাহিত্য আন্দোলন’-এর (রোমান্টিক ধারার) অন্যতম লেখক। ‘মধুশালা’, ‘মধুবালা’, ও ‘মধুকলশ’ এই কাব্যগ্রন্থত্রয়ীকে তাঁর সর্বাপেক্ষা উল্লেখযোগ্য সৃষ্টি হিসাবে গণ্য করা হয়।

১৯৯৬

নন্দমুরী তারক রমা রাও

(১৯২৩–১৯৯৬) প্রয়াত হন। এনটিআর নামে জনপ্রিয়। অভিনেতা, প্রযোজক, পরিচালক ও রাজনীতিবিদ। সাত বছর অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৯২

সুবোধকুমার চক্রবর্তী

(১৯১৯-১৯৯২) এদিন শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বাংলা ভ্রমণ সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কাহিনিকার। বিখ্যাত সৃষ্টি চব্বিশ পর্বের ‘রম্যাণি বীক্ষ্য’। এই বইয়ের জন্য তিনি রবীন্দ্র পুরস্কার লাভ করেন।

১৯৩৬

জোসেফ রুডইয়ার্ড কিপলিং

(১৮৬৫- ১৯৩৬) এদিন শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ইংরেজ লেখক, কবি, সাহিত্যিক। ভারতে জন্মগ্রহণ করেন। মূলত অসাধারণ শিশুসাহিত্যের জন্য সুখ্যাতি লাভ করেন। তাঁর অমর সৃষ্টিকর্মের মধ্যে রয়েছে শিশু সাহিত্য দ্য জাঙ্গল বুক, জাস্ট টু স্টরিস, পাক অফ পুক্‌স হিল, কিম; উপন্যাস কিম; কবিতা ম্যান্ডালে, গুঙ্গা ডিন ইত্যাদি। এছাড়াও ১৮৯৫ সালে তিনি অত্যন্ত জনপ্রিয় কবিতা ‘ইফ’ রচনা করেন। ১৯০৭- এ সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। কিপলিং-এর ভারত পরিবর্তনহীন ভারতবর্ষ। এই চিন্তাধারার মধ্যে প্রাচ্যবাদী উইলিয়াম জোন্স, এডমুন্ড বার্কি, কোলব্রুক, হেনরি মেইন, জেরেমি বেন্থাম, জেমস মিল, জন স্টুয়ার্ট মিলের রাজনৈতিক দর্শনের প্রভাব পরিষ্কার। যে দর্শনে মনে করা হয় ভারতবর্ষের এবং ইউরোপীয়দের উদ্ভবের আকর একই। তাই প্রাচীন ভারতীয় ইতিহাস ও তার সংস্কৃতি অনেকটাই উন্নত। কিন্তু যুগের অগ্রগতির সঙ্গে ভারতীয় সভ্যতার অগ্রগতি হয়নি। ভারতীয় সভ্যতা ও সংস্কৃতি একই জায়গায় এসে থেমে রয়েছে।

১৯৪৭

কুন্দন লাল সায়গল ওরফে কে এল সায়গল

( ১৯০৪–১৯৪৭) এদিন প্রয়াত হন। হিন্দি সিনেমার প্রথম সুপারস্টার। পঙ্কজ মল্লিকের কাছে রবীন্দ্রনাথের গান শিখে আত্মহারা কুন্দনলাল সায়গল। তাঁর জন্য ছবিতে পাল্টানো হয়েছিল গানের বাণীও! এজন্যই ‘জীবন মরণ’ ছবিতে ও রেকর্ডে সায়গল-কণ্ঠে ধরা রয়েছে যথাক্রমে ‘সেই কথাটি জানি…’ আর ‘সেই কথাটি কবি…’। আসলে পঙক্তিটি ছিল ‘সেই কথাটি কবি,/ পড়বে তোমার মনে…’ ।

 

 

 

Previous articleনিয়োগ মামলার তদন্তে ‘মিডলম্যান’ প্রসন্নর বাড়ি-সহ ৭ জায়গায় জোর তল্লাশি ইডির
Next articleজনসমক্ষে কাউকে ‘পা.গল’ বলা অ.পরাধ নয়! বড় নির্দেশ এলাহাবাদ হাই কোর্টের