নিয়োগ মামলার তদন্তে ‘মিডলম্যান’ প্রসন্নর বাড়ি-সহ ৭ জায়গায় জোর তল্লাশি ইডির

ফের শহরের একাধিক জায়গায় হানা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৬টা থেকে শহরের মোট সাত জায়গায় তল্লাশি অভিযান শুরু করেছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকেরা। সঙ্গে রয়েছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরাও। এদিন সকালে প্রাথমিকের নিয়োগ মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হওয়া মিডলম্যান হিসাবে পরিচিত প্রসন্ন রায়ের ফ্ল্যাটে হানা দিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। এদিন সকাল সাড়ে ছ’টা নাগাদ নিউটাউনের একটি অভিজাত আবাসনে হানা দেয় ইডি।

কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, এই অভিজাত আবাসনেই ফ্ল্যাট রয়েছে প্রসন্ন রায়ের। প্রাথমিক নিয়োগ মামলার তদন্তে এই তল্লাশি অভিযান বলে জানা যাচ্ছে। তবে এদিন সকালে শুধুমাত্র প্রসন্নের ফ্ল্যাটই নয়, তল্লাশি চলছে আরও একটি আবাসনে। ইডি সূত্রে খবর, সেখানেই অফিস ছিল প্রসন্নের। এছাড়াও একদিন একযোগে নিউটাউনের দু’টি জায়গা এবং নয়াবাদের একটি জায়গাতেও তল্লাশি চলছে বলে ইডি সূত্রে খবর।

এদিন প্রসন্নের পাশাপাশি তাঁর একসময়ের সহকারী প্রদীপ সিংয়ের বাড়িতেও হানা ইডির। প্রদীপের বাড়ি ছাড়াও নয়াবাদ এলাকায় রোহিত ঝা নামে এক পরিবহণ ব্যবসায়ীর বাড়িতেও হানা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকরা। এসএসসি নিয়োগের উপদেষ্টা কমিটির প্রাক্তন প্রধান শান্তিপ্রসাদ সিন্‌হার ঘনিষ্ঠ ছিলেন প্রসন্ন। নিয়োগ মামলার তদন্তে নেমে তাঁর নাম হাতে উঠে আসে সিবিআই-এর। এরপর গ্রুপ ডি নিয়োগ মামলা এবং নবম-দশম নিয়োগ মামলায় অভিযুক্ত প্রসন্নকে গ্রেফতারও করে সিবিআই। কিন্তু পরে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলে শর্তসাপেক্ষে সিবিআইয়ের মামলায় জামিন পান তিনি।

তবে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে নিয়োগ মামলার তদন্তে ইতিমধ্যে কলকাতা হাই কোর্টে গঠিত হয়েছে বিশেষ ডিভিশন বেঞ্চ। সেই বেঞ্চেই চলছে নিয়োগ মামলার শুনানি। দ্রুত তদন্ত প্রক্রিয়া শেষ করার জন্য কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে সময়সীমাও বেঁধে দিয়েছে শীর্ষ আদালত। ইতিমধ্যে নিয়োগ মামলার প্রাথমিক চার্জশিটও আদালতে পেশ করেছে সিবিআই ও ইডি। ইডি সূত্রে খবর, প্রসন্ন রায় একাধিক ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। প্রসন্ন এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামে বহু সম্পত্তি রয়েছে বলেও সূত্রের খবর। তবে সময় যত গড়াচ্ছে তল্লাশি চালালেও মামলার কিনারা করতে পারছেন না তদন্তকারীরা। রাজনৈতিক মহলের মতে, লোকসভা নির্বাচন সামনে আসতেই উঠেপড়ে লেগেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। ইতিমধ্যে এই মামলায় অনেককে গ্রেফতার করলেও লাভের লাভ কিছুই হয়নি। কবে এই মামলার সুরাহা হবে তা নিয়েই এখন উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন।

 

 

 

Previous articleBreakfast Sport: ব্রেকফাস্ট স্পোর্টস
Next articleআজকের দিনে কী কী ঘটেছিল? চলুন দেখে নেওয়া যাক